পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । সাদা কথা । এই সকল দার্শনিক বিচার ও কঠোর মানসিক ব্যায়ামের ভিতর দিয়া আমরা সমুদয় জগতের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ সহজ ও সরল আধ্যাত্মিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম । অদ্বৈত বেদান্ত যে আকারে আধ্যাত্মিক সিদ্ধান্ত স্থাপন করেন, তাহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা সরল ও সহজ । ভারতে এবং অন্ত সৰ্ব্ব স্থলেই এবিষয়ে একটী গুরুতর ভ্রম হইয়াছিল। বেদান্তের আচার্যগণ স্থির করিয়াছিলেন, এই শিক্ষা সাৰ্ব্বজনীন করা যাইতে পারে না, কারণ, তাহার যে সিদ্ধান্তগুলিতে উপনীত হইয়াছিলেন, সেই গুলির দিকে লক্ষ্য না করিয়া যে প্রণালীতে র্তাহারা ঐ সকল সিদ্ধান্ত লাভ করিয়াছিলেন—সেই প্রণালীর দিকেই বেশী লক্ষ্য করিলেন—অবশ্য ঐ প্রণালী অতি জটিল। এই ভয়ানক দার্শনিক ও নৈয়ায়িক প্রক্রিয়াগুলি দেখিয়া তাহারা ভয় পাইয়াছিলেন। র্তাহারা সৰ্ব্বদা ভাবিতেন, এগুলি প্রাত্যহিক কৰ্ম্মজীবনে শিক্ষা করা যাইতে পারে না আর এরূপ দর্শনের ব্যপদেশে লোক অতিশয় অধৰ্ম্মপরায়ণ হইবে। - কিন্তু আমি একথা আীে বিশ্বাস করি না যে, জগতে অদ্বৈততত্ত্ব প্রচারিত হইলে দুর্ণীতি ও দুৰ্ব্বলতার প্রাচুর্ভাব হইবে। বরং আমার ইহা বিশ্বাস করিবার বিশেষ কারণ আছে যে, ইহাই ফুর্ণীতি ও দুৰ্ব্বলতা নিবারণের একমাত্র ঔষধ। ইহাই যদি সত্য হয়, তবে যখন নিকটে অমৃতের স্রোত বহিতেছে, তখন লোককে পন্ধিল জল পান করিতে দিতেছ কেন ? যদি ইহাই সত্য হয় যে সকলে শুদ্ধস্বরূপ, তবে এই মুহূর্তেই সমুদয় জগৎকে এই শিক্ষা কেন না দাও ! সাধু অসাধু, নর নারী, বালক বালিকা, বড় ছোট, সকলকেই কেন . \වද්ඝ ·