পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । দেবতারা মানুষকে তাহদের আদর্শে নিৰ্ম্মাণ করেন নাই, কিন্তু মানুষই দেবতা সৃষ্টি করিয়াছে। কৰ্ম্মরূপ ইন্দ্র রহিয়াছেন, তাহার চতুর্দিকে সমুদয় ব্ৰহ্মাণ্ডের দেবতার উপবিষ্ট রহিয়াছেন । তোমরাই তোমাদের নিজেদের এক অংশকে বাহিরে প্রক্ষেপ করিতেছ, তোমরাই কিন্তু মূল, আসল জিনিষ—তোমরাই প্রকৃত উপাস্ত দেবতা। ইহাই বেদান্তের মত এবং এইজন্তই ইহা যথার্থ কায়ে লাগাইবার যোগ্য। অবশু আমরা মুক্ত হইয়াছি বলিয়া উন্মত্ত হইয়। সমাজ ত্যাগ করিয়া অরণ্যে বা গুহায় মরিতে যাইব না। তুমি যেখানে ছিলে, সেইখানেই থাকিবে, তবে তফাৎ হইবে এইটুকু যে তুমি সমুদয় জগতের রহস্ত অবগত হইবে। পূৰ্ব্ব দৃশ্য সমস্তষ্ট আসিবে, কিন্তু উহাদের অর্থ তখন অন্যরূপ বুঝিবে। তোমরা এখনও জগতের স্বরূপ জান না ; মুক্ত হইলেই কেবল উহার স্বরূপ বুঝা যায়। সুতরাং আমরা দেখিতেছি, বিধি, দৈব বা অদৃষ্ট আমাদের প্রকৃতির অতি ক্ষুদ্র অংশ লইয়াই ব্যাপৃত। এটা কেবল আমাদের প্রকৃতির এক দিক, অপর দিকে মুক্তি সৰ্ব্বদা বিরাজিত, আর আমরা শিকারীর দ্বারা অনুস্থত শশকের ন্যায় মাটীতে আমr দের মুখ লুকাইয়া আমাদিগকে অশুভ হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করিতেছি। অতএব দেখা গেল, আমরা ভ্রমবশতঃ আমাদের স্বরূপ ভুলিতে চেষ্টা করিতেছি, কিন্তু উহা একেবারে ভুল যায় না—সৰ্ব্বদাই উহ কোন না কোনরূপে আমাদের সমক্ষে আসিতেছে, আমরা যে দেবতা ঈশ্বর প্রভৃতির অনুসন্ধান করিয়া থাকি, আমরা যে বধি "গতে স্বাধীনতা লাভের জন্য প্রাণপণ করিয়া থাকি, এসকল আর - రిసిపి