পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । কিছুই নয়, আমাদের মুক্ত প্রকৃতি যেন কোন না কোনরূপে আপনাকে প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিতেছে । কোথা হইতে এই বাণী উঠিতেছে, তাহ বুঝিতে আমরা ভুল করিয়াছি মাত্র । আমর প্রথমে ভাবি, এই বাণী, অগ্নি, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, তার বা কোন দেবতা হইতে উখিত—অবশেষে আমরা দেখিতে পাই, এই বাণী আমাদের ভিতরে। এই সেই অনন্ত বাণী অনন্ত মুক্তির সমাচার ঘোষণা করিতেছে । এই সঙ্গীত অনন্তকাল ধরিয়া চলিয়াছে। আত্মার সঙ্গীতের কিয়দংশ এই নিয়মাবদ্ধ ব্ৰহ্মাও, এই পৃথিবীরূপে পরিণত হইয়াছে, কিন্তু যথার্থতঃ আমরা আত্মাস্বরূপ আছি ও চিরকাল সেই আত্মাস্বরূপ থাকিব । এক কথায় বেদান্তের আদর্শ এই জগতে মনুষ্যোপাসনা, আর বেদান্তের ইহাই ঘোষণা যে, যদি তুমি ব্যক্ত ঈশ্বরস্বরূপ তোমার ভ্রাতাকে উপাসনা করিতে না পার, তবে বেদান্ত তোমার উপাসনায় বিশ্বাস করে না । তোমাদের কি বাইবেলের সেই কথা স্মরণ নাই যে, যদি তুমি তোমার ভ্রাত, যাহাকে তুমি দেখিতেছ, তাহাকে ভাল না বাসিতে পার, তবে ঈশ্বর, সাহাকে কখন দেখ নাই, তাহাকে কি করিয়া ভালবাসিবে ? যদি তাহাকে দেবভাবাপন্ন মনুষ্যমুথে না দেখিতে পার, তবে তাহাকে মেঘে, অথবা অন্ত কোন মৃত জড়ে অথবা তোমার নিজ মস্তিষ্কের কল্পিত গল্পে কিরূপ দেখিবে ? যে দিন হইতে তোমরা নরনারীতে ঈশ্বর দেখিতে থাকিবে, সেই দিন হইতে আমি তোমাদিগকে ধাৰ্ম্মিক বলিব, আর তখনই তোমরা বুঝিবে, ডান গালে চড় মারিলে বা গাল তাহার সম্মুখে ফিরানর শৰ্থ কি। যখন তুমি মানুষকে ঈশ্বরস্কপে দেখিবে, তখন সকল vరిన్స్లరి