পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । উৎপন্ন হয়, তাহ হইলে স্বভাবতঃই ইহা অতি অবৈজ্ঞানিক মত ভূইয়া দাড়াইল । আর চিরকালই সগুণ ঈশ্বরবাদের এইখানে একটু গোল আছে-ইহাই ইহার দুৰ্ব্বলতা। এই মতে ঈশ্বর মানবগুণসম্পন্ন, কেবল সেই গুণগুলি অপেক্ষাকৃত অধিক পরিমাণে বঙ্কিত। যিনি শূন্য হইতে এই জগৎ স্বষ্টি করিয়াছেন অথচ যিনি জগৎ হইতে সম্পূর্ণ পৃথকৃ, এরূপ ঈশ্বরবাদে দুইটী দোষ দেখিতে পাওয়া যায় । আমরা পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, প্রথমতঃ, ইহা সামান্যের সম্পূর্ণ সমাধান নহে। দ্বিতীয়তঃ, ইহা বস্তুর স্বভাব হইতে উহার ব্যাখ্যা নহে। উহা কাৰ্য্যকে কারণ হইতে পৃথক্ বলিয়া ব্যাখ্যা করে। কিন্তু মানুষ যতই জ্ঞানলাভ করিতেছে, ততই সে এই মতের দিকে অগ্রসর হইতেছে যে, কাৰ্য্য কারণের রূপান্তর মাত্র। আধুনিক বিজ্ঞানের সমুদয় আবিক্রিয় এই দিকেই ইঙ্গিত করিতেছে আর আধুনিক সৰ্ব্ববাদিসন্মত ক্রমবিকাশবাদের তাৎপৰ্য্যই এই যে, কাৰ্য্য কারণের রূপান্তর মাত্র। শূন্য হইতে স্বষ্টি আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের উপহাসের বিষয়। ধৰ্ম্ম কি পূৰ্ব্বোক্ত দুইটা পরীক্ষায় দাড়াইয়া থাকিতে পারে ? যদি এমন কোন ধৰ্ম্মমত থাকে, যাহা এই দুইটী পরীক্ষায় টিকিয় যায়, তাহাই আধুনিক চিন্তাশীল মনের গ্রাহ হইবে। যদি পুরোহিত, চর্চ, অথবা কোন শাস্ত্রের মতানুসারে কোন মত র্তাহাদিগকে বিশ্বাস করিতে বল, তবে বর্তমান কালের লোকে উহা বিশ্বাস করিতে পারিবেন না, তাহার ফল দাড়াইবে,-ঘোর অবিশ্বাস। যাহারা বাহিরে দেখিতে খুব বিশ্বাস, তাহারা বাস্তবিক ভিতরে 8o X - ২৬