পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । সম্ভব নহে। কোন ধৰ্ম্ম হয়ত কিছু বীভৎস ব্যাপার করিতে আজ্ঞা দিল । * * * * * * মনে কর, মুসলমান ধৰ্ম্মের কোন আদেশের উপর একজন খ্ৰীশ্চিয়ান কোন এক দোষারোপ করিল। তাহাতে মুসলমান স্বভাবতঃই জিজ্ঞাসা করিবেন, “কি করিয়া তুমি জানিলে উহা ভাল কি মন্দ ? তোমার ভালমদের ধারণা ত তোমার শাস্ত্র হইতে । আমার শাস্ত্র বলিতেছ, ইহা সৎকাৰ্য্য।’ যদি তুমি বল, তোমার শাস্ত্র প্রাচীন, তাহ হইলে বৌদ্ধের বলিবেন, আমাদের শাস্ত্র তোমাদের অপেক্ষ প্রাচীন। আবার হিন্দু বলিবেন, আমার শাস্ত্ৰ সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন । অতএব শাস্ত্রের দোহাই দিলে চলিবে না। তোমার আদর্শ কোথায়, যাহাকে লইয়া তুমি সমুদয় তুলনা করিতে পার ? খ্ৰীশ্চিয়ান বলিবেন, ঈশার শৈলোপদেশ দেখ, মুসলমান বলিবেন, ‘কোরাণের নীতি দেখ। মুসলমান বলিবেন, এ দুয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে, তাহ কে বিচার করিবে, মধ্যস্থ কে হইবে ? বাইবেল ও কোরাণে যখন বিবাদ, তখন উভয়ের মধ্যে কেহই মধ্যস্থ হইতে পারেন না। কোন স্বতন্ত্র ব্যক্তি উছার মীমাংসক হইলেই ভাল হয়। উহা কোন গ্রন্থ হইতে পারে ল, কিন্তু সাৰ্ব্বভৌমিক কোন পদার্থ এই মীমাংসক হওয়া আবশ্যক। যুক্ত হইতে সাৰ্ব্বভৌমিক আর কি আছে ? কথিত হইয়া থাকে, কি সকল সময়ে সত্যানুসন্ধানে ক্ষমবান নহে। অনেক সময় ই স্কুল করে বলিয়া এই সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, কোন পুরোহিত "প্রদায়ের শাসনে বিশ্বাস করিতে হইবে। * * আমি কিন্তু * দি যুক্তি দুৰ্বল হয়, তবে পুরোহিতসম্প্রদায় আরও অধিক 8 ০৯