পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । অনিষ্ট হয়, তাহা বিশেষরূপে দেখিয়াছি, কারণ, আমি যে দেশে জানুয়াছি সেখানে এই অপরের বাক্যে বিশ্বাসের চূড়ান্ত করিয়াছে। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, বেদ হইতে স্থষ্টি হইয়াছে । একটা গো আছে, কিরূপে জানিলে ? কারণ ‘গে’ শব্দ বেদে রহিয়াছে । মানুষ আছে কি করিয়া জানিলে ? কারণ বেদে ‘মমুম্বা’ শব্দ রছিয়াছে। হিন্দুরা ইহাই বলেন । এ যে বিশ্বাসের চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি । আর আমি যে ভাবে ইহার আলোচনা করিতেছি, সে ভাবে ইহার আলোচনা হয় না। কতকগুলি তীক্ষুবুদ্ধি ব্যক্তি ইঙ্গ লইয়া কতকগুলি অপূৰ্ব্ব দার্শনিক তত্ত্ব বাহির করিয়াছেন আর সহস্ৰ সহস্ৰ বুদ্ধিমান ব্যক্তি সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর এই মতান্দোলনে কালক্ষেপণ করিয়াছেন । লোকের কথায় যুক্তিশূন্ত বিশ্বাসের এতদুর শক্তি, উহাতে বিপদও এত । উহা মনুষ্যজাতির উন্নতির স্রোত অবরুদ্ধ করে,—আর আমাদের বিস্তৃত হওয়া উচিত নয় যে, আমাদের উন্নতিই আবশ্যক । সমুদয় আপেক্ষিক সত্যানুসন্ধানেও সত্যটা অপেক্ষ আমাদের মনের চালনাই বেশী আবশ্যক হইয় থাকে। এই মমনই আমাদের জীবন । অদ্বৈতবাদের এই টুকু গুণ যে ধৰ্ম্মমতের ভিতর এই মতটাই অনেকটা নিঃসংশয় ভাবে প্রমাণের যোগ্য । নিগুৰ্ণ ঈশ্বর, প্রকৃতিতে তাহার অবস্থিতি আর প্রকৃতি যে নিগুণ পুরুষের পরিণাম, এই সত্যগুলি অনেকট প্রমাণের যোগ্য আর অন্য সমুদয় ভাব—ঈশ্বরের শাংশিক ও সগুণ ধারণাসকল—বিচারসহ নহে। ইহার আর একটা গুণ এই যে, এই যুক্তিসঙ্গত ঈশ্বরবাদ ইহাই প্রমাণ করে যে, এই আংশিক ধারণাগুলি এখনও অনেকের পক্ষে আবশ্বক। এই 8Σ Σ