পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । মনুষ্যবৃদ্ধিতে কতকগুলি জিনিষ একরূপ বলিয়া প্রতীত হয়। তুমি আমি উভয়েই একখানি চেয়ার দেখিতেছি । ইহাতে ইহাই প্রমাণিত হইতেছে যে, আমাদের উভয়ের মনই কতকটা একভাবে গঠিত। মনে কর, অপর কোনরূপ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন জীব আসিল ; সে আর আমাদের অনুভূত চেয়ার দেখিবে না, কিন্তু যাহাবা যাহারা সমপ্রকৃতিক, তাহার। সব একরূপ দেখিবে । অতএব সুগৎই সেই নিরপেক্ষ অপরিণামী পারমার্থিক সত্তা আর ব্যবহারিক সgা তাহাকেই বিভিন্নভাবে দর্শনমাত্র। ইহার কারণ, প্রথমতঃ দাবহারিক সত্ত। সৰ্ব্বদাই সসীম। আমরা যে কোন ব্যবহারিক সত্তা দেখি, অনুভব করি বা চিন্তা করি, আমরা দেখিতে পাই, উহ! অবশ্যই আমাদের জ্ঞানের দ্বার সীমাবদ্ধ অতএব সসীম হইয় থাকে, আর সগুণ সম্বন্ধে আমাদের যেরূপ ধারণা তাহাতে তিনিও ব্যবহারিকমাত্র। কাৰ্য্যকারণভাব কেবল ব্যবহারিক জগতেই সম্ভব, আর র্তাহাকে যখন জগতের কারণ বলিয়া ভাবিতেছি, তখন অবশু তাহাকে সসীমরূপে ধারণা করিতেই হইবে । তাহা হইলেও কিন্তু তিনি সেই নিগুণ ব্রহ্ম। আমরা পূৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, এই জগৎও আমাদের বুদ্ধির মধ্য দিয়া দৃষ্ট সেই নিগুণ ব্ৰহ্মমাত্র। প্রকৃত পক্ষে জগৎ সেই নিগুণ পুরুষমাত্র আর আমাদের বুদ্ধির দ্বারা উহার উপর নামরূপ দেওয়া হইয়াছে। এই টেবিলের মধ্যে যতটুকু সত্য তাহ সেই পুরুষ, আর এই টেবিলের আকৃতি আর অন্তান্ত যাহা কিছু, সবই সদৃশ মানববুদ্ধি দ্বারা তাহার উপর প্রদত্ত হইয়াছে। উদাহরণ স্বরূপ গতির বিষয় ধর। ব্যবহারিক সত্তার উহ। 8) రి