পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । ব্ৰহ্মাণ্ডে বর্তমান, তাহার সমুদয়ই তোমার ও আমার । তুমি, আমি, এমন কি, প্রত্যেক ব্যক্তিই যেন কতকগুলি প্রণালীর মত— যাচাদের ভিতর দিয়া সেই অনন্ত সত্তা আপনাকে অভিব্যক্ত করিতেছে, আর এই যে পরিবর্তনসমষ্টিকে আমরা ক্রমবিকাশ’ নাম দিই, তাহারা বাস্তবিকপক্ষে আত্মার নানারূপ শক্তিবিকাশমাত্র, কিন্তু অনন্তের এ পারে, সান্ত জগতে আত্মার সমুদয় শক্তির প্রকাশ হওয়া অসম্ভব। আমরা এখানে যতই শক্তি, জ্ঞান বা আনন্দ লাভ করি না কেন, উহার কখনই এজগতে সম্পূর্ণ হইতে পারে না। অনন্ত সত্তা, অনন্ত শক্তি, অনস্ত আনন্দ আমাদের রহিয়াছে । উহাদিগকে যে আমরা উপার্জন করিব, তাহা নহে, উহারা আমাদেরই রহিয়াছে, প্রকাশ করিতে হইবে। অদ্বৈতবাদ হইতে এই এক মহৎ সত্য পাওয়া যাইতেছে আর ইহা বুঝা বড় কঠিন। আমি বাল্যকাল হইতেই দেখিয়া আসি, তেছি, সকলেই দুৰ্ব্বলতা শিক্ষা দিতেছে ; জন্মাবধিই আমি শুনিয়া আসিতেছি, আমি দুর্বল। এক্ষণে আমার পক্ষে আমার স্বকীয় অন্তর্নিহিত শক্তির জ্ঞান কঠিন হইয়া পড়িয়াছে ; কিন্তু যুক্তি বিচারের দ্বারা দেখিতে পাইতেছি, আমাকে কেবল আমার নিজের অন্তর্নিহিত শক্তিসমন্ধে জ্ঞানলাভ করিতে হইবে মাত্র, তাহা হইলেই সব হইয় গেল। এই জগতে আমরা যে সকল জ্ঞান লাভ করিয়া থাকি, তাহারা কোথা হইতেআসিয়া থাকে ? উহার! আমাদের ভিতরেই রহিয়াছে। বহির্দেশে কোন জ্ঞান আছে ? আমাকে এক বিন্দুও দেখাও। জ্ঞান কখন জড়ে ছিল না ; উহা বরাবর শয়ন্ধের ভিতরই ছিল। কেহ কথন জ্ঞানের স্বষ্টি করে নাই ; 8Ᏹ☾