পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ ; মানুষ উহা আবিষ্কার করে, উহাকে ভিতর হইতে বাহির করে। উহ। তথায়ই রহিয়াছে। এই যে ক্রোশব্যাপী বৃহৎ বটবৃক্ষ রছি. য়াছে, তাহ ঐ সর্ষপবীজের অষ্টমাংশের তুল্য ঐ ক্ষুদ্র বীজে রহি য়াছে—ঐ মহাশক্তিরাশি তথায় নিহিত রহিয়াছে। আমরা জানি, একটা জীবাণুকোষের ভিতর অত্যদ্ভুত প্রখরা বুদ্ধি কুণ্ডলীভূক্ত হইয়া অবস্থান করে ; তবে অনন্ত শক্তি কেন না তাহাতে থাকিতে পারিবে ? আমরা জানি, ইহা সত্য। প্রহেলিকাবৎ বোধ হইলেও, ইহা সত্য। আমরা সকলেই একটা জীবাণুকোষ হইতে উৎপন্ন হইয়াছি আর আমাদের যাহা কিছু ক্ষুদ্রশক্তি রহিয়াছে, তাহ তথায়ই কুণ্ডলীভূত হইয়া অবস্থান করিতেছিল। তোমরা বলিতে পার না, উহা খাদ্য হইতে প্রাপ্ত ; রাশিক্ত খাদ্য লইয়া খাদ্যের এক পৰ্ব্বত প্রস্তুত কর, দেখ, তাহা হইতে কি শক্তি বাহির হয়। আমাদের ভিতর শক্তি পূৰ্ব্ব হইতেই অন্তর্নিহিত ছিল, অব্যক্তভাবে কিন্তু উহা ছিল নিশ্চয়ই। অতএব সিদ্ধান্ত এই, মানুষের আত্মার ভিতর অনন্ত শক্তি রহিয়াছে, মামুষ উহার সম্বন্ধে না জানিলেও উহ রহিয়াছে। কেবল উহাকে জানিবার অপেক্ষপমাত্র। ধীরে ধীরে যেন ঐ অনন্তশক্তিমান দৈত্য জাগরিত হইয় আপনার শক্তি সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করিতেছে, আর যতই সে এই জ্ঞানলাভ করি তেছে, ততই তাহার বন্ধনের পর বন্ধন খসিয়া যাইতেছে, শৃঙ্খল ছিড়িয়া যাইতেছে, আর এমন একদিন অবশু আসিবোৰ খন এই অনন্তজ্ঞান পুনলাভ হইবে ; তখন জ্ঞানবান ও শক্তিমান হইয়া এই দৈত্য দাড়াইয় উঠবে। এস, আমরা সকলে এই অবস্থা আনয়ন সাহায্য করি। . 8>や