পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । কতকগুলি জাহাজ * প্রশান্ত মহাসাগরস্থ দ্বীপপুঞ্জের নিকট ঝটিকাক্রান্ত হয়। ঐ পত্রিকায় ঐ ঘটনার একখানি চিত্রও ছিল। একথানি ব্রিটিশ জাহাজ ছাড়া সকলগুলিই ভগ্ন হইয়া ডুবিয়া যায়। সেই ব্রিটিশ জাহাজখানি বড় কাটাইয়া চলিয়া আসে। আর ছবিখানিতে ইহা দেখাইতেছে, যে জাহাজগুলি ডুবিয়া যাইতেছে, তাহাদের মজ্জমান আরোহিদল ডেকের উপর দাড়াইয়া যে জাহাজখানি ঝড় কাটাইতেছে, তাহার লোকগুলিকে উৎসাহ দিতেছেন। অপর লোককে টানিয়া নিজের ভূমিতে লইয়া যাইও না। আবার লোকে নিৰ্ব্বোধের দ্যায় আর এক মতবাদ পোষণ করিয়া থাকে যে, যদি আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র আমিত্ব হারাইয়া ফেলি, তবে জগতে কোনরূপ নীতিপরায়ণতা থাকিবে ন, মনুষ্যজাতির কোন আশাভরসা থাকিবে না। যেন র্যাহারা উহা বলেন, তাহারা সমগ্র মনুষ্যজাতির জষ্ঠ সৰ্ব্বদা প্রাণ দিতে প্রস্তুত হইয়া আছেন । যদি সকল দেশে অন্ততঃ দুইশত নরনারী বাস্তবিক দেশের শুভাকাঙ্ক্ষী হন, তবে ছুদিনে সত্যযুগ উপস্থিত হইতে পারে। আমরা জানি, আমরা মনুষ্যজাতির উপকারের জন্ত কেমন মরিতে প্রস্তুত । এ সকল লম্বী লম্বা কথামাত্র-এ সকল কথা বলিবার কোন বাৰ্থপূর্ণ অভিসন্ধি আছে। জগতের ইতিহাসে ইহা প্রকাশ ৭ নীহার এই ক্ষুদ্র আমিকে একেবারে ভুলিয়া গিয়াছেন, তাহারাই মনুষ্যজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ হিতকারী, আর যতই লোকে

  • প্রশান্ত মহাসাগরন্থ সামোয় দ্বীপপুঞ্জের নিকট ব্রিটিশ জাহাজ ক্যালিয়োপী ° শমিরিকার কতকগুলি যুদ্ধ-জাহাজ। . . .

৪৩৩