পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । আপনাকে ভুলিবে, ততই পরোপকারে অধিক সমর্থ হইবে। উহার মধ্যে একটী স্বার্থপরতা, অপরটা নিঃস্বার্থপরত। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভোগমুখে আসক্ত হইয়া থাকা এবং এইগুলিই চিরকাল থাকিবে মনে করাই ঘোর স্বার্থপরতা। উহা সত্য নুরাগ হইতে উৎপন্ন নহে, অপরের প্রতি দয়াও এই ভাবের উৎপত্তির কারণ নহে-উছার উৎপত্তির কারণ ঘোর স্বার্থপরতা । অপর কাহারও দিকে দৃষ্টি না রাখিয়া নিজেই সমস্ত ভোগ করিব, এই ভাব হইতে উহার উৎপত্তি। আমার ত এইরূপই বোধ হয়। আমি জগতে প্রাচীন মহাপুরুষ ও সাধুগণের তুল্য চরিত্র বলশালী পুরুষ আরও দেখিতে চাই—র্তাহার একটী ক্ষুদ্র পশুর উপকারের জন্ত শত শত জীবন ত্যাগ করিতে প্রস্তুত ছিলেন ! নীতি ও পরোপকারের কথা কি বলিতেছ ? ইহা স্ত আধুনিক কালের বাজে কথামাত্র। আমি সেই গৌতমবুদ্ধের ন্তায় চরিত্রবলশালী লোক দেখিতে চাই, যিনি সগুণ ঈশ্বর বা ব্যক্তিগত আত্মায় বিশ্বাসী ছিলেন না, যিনি ও সম্বন্ধে কখন প্রশ্নই করেন নাই, ও সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন, কিন্তু যিনি সকলের জন্ত নিজের গ্র দিতে প্রস্তুত ছিলেন—সার জীবন সকলের উপকার করিতে নিযুক্ত ছিলেন, সারা জীবন অপরের হিত কিসে হয়, ইহাই যাহার চিন্তা ছিল, তাহার জীবনবৃত্তলেখক বেশ বলিয়াছেন যে, তিনি “বহুজনহিতায় বহুজনমুখার” জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি নিজের মুক্তির জন্য পৰ্য্যন্ত চেষ্টা করিতে বনে গমন করেন নাই। জগৎ জলিয়া গেল—কেহ উহা হইতে বাচিবার পথ " - 808