পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । করিলে চলিবে কেন ? তাহার সারা জীবন এই এক চিন্তা ছিল—জগতে এত দুঃখ কেন ? তোমরা কি মনে কর, আমরা । র্তাহার মত নীতিপরায়ণ ? 樂 發 姿 馨 যীশু খ্ৰীষ্ট যে ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন, সেই খাটি খ্ৰীষ্ট ধৰ্ম্ম ও বেদান্তধৰ্ম্মে অতি অল্পই প্রভেদ ছিল । তিনি অদ্বৈতবাদও প্রচার করিয়াছেন আবার সাধারণকে সন্তুষ্ট রাখিবার জন্ত, তাহাদিগকে উচ্চতম আদর্শ ধারণা করাইবার সোপানস্বরূপে দ্বৈতবাদের কথাও বলিয়াছেন। যিনি ‘আমাদের স্বৰ্গস্থ পিতা’ বলিয়া প্রার্থনা করিতে উপদেশ দিয়াছেন, তিনিই আবার ইহাও বলিয়াছেন, “আমি ও আমার পিতা এক ? আর তিনি ইহাও জানিতেন, এই স্বৰ্গস্থ পিতারূপে দ্বৈতভাবে উপাসনা করিতে করিতেই অভেদবুদ্ধি আসিয়া থাকে। তখন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম কেবল প্রেম ও আশীৰ্ব্বাদপূর্ণ ছিল, কিন্তু অবশেষে নানাবিধ মত উহাতে প্রবিষ্ট হইয়া উহ। বিকৃতভাব ধারণ করিল। এই যে ক্ষুদ্র ‘আমি’র জন্য মারামারি, “আমি’র প্রতি অতিশয় ভালবাসা, শুধু এ জীবনে নহে, মৃত্যুর পরও এই ক্ষুদ্র ‘আমি, এই ক্ষুদ্র ব্যক্তিত্ব লইয়া থাকিবার ইচ্ছ, ইহা ঐ ধৰ্ম্মের বিকৃত ভাব হইতেই উৎপন্ন হইয়াছে। র্তাহার বলেন, ইহা নিঃস্বার্থপরতা—ইহা নীতির ভিত্তিস্বরূপ! ইহা যদি নীতির ভিত্তি হয়, তবে আর দুর্নীতির ভিত্তি কি ? স্বার্থপরতা নীতির ভিত্তি, আর যে সকল নরনারীর নিকট আমরা অধিক জ্ঞানের প্রত্যাশা করি, তাহার, এই ক্ষুদ্র আমি নাশ হইলে 8GH