পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । এই দুই শক্তির লীলাক্ষেত্র। ইহা কোন প্রমাণসাপেক্ষ নহে— ইহ। স্বতঃপ্রমাণ । - সমাজের এক সম্প্রদায়ের লোকের বলিবার কি অধিকার আছে যে, জগতের সমুদয় কাৰ্য্য ও বিকাশ ঐ দুই শক্তির মধ্যে অন্ততম “অহং”শক্তিপ্রস্তুত প্রতিদ্বন্দ্বিত ও সংঘর্ষণ হইতে উখিত হয় ? জগতের সমুদয় কাৰ্য্য রাগ, দ্বেষ, বিবাদ ও প্রতিযোগিতার উপর স্থাপিত, এ কথা বলিবার তাহদের কি অধিকার আছে ? এই সকল প্রবৃত্তি যে জগতের অনেকাংশ পরিচালিত করিতেছে, ইহ। আমরা অস্বীকার করি না । কিন্তু তাহদের অপর শক্তিটীর অস্তিত্ব একেবারে অস্বীকার করিবার কি অধিকার আছে ? আর র্তাহারা কি অস্বীকার করিতে পারেন যে, এই প্রেম, এই অহংশূন্তত, এই ত্যাগই জগতের একমাত্র ভাবরূপিণী শক্তি ? অপর শক্তিটা ঐ নাহং বা প্রেমশক্তিরই বিপরীতভাবে নিয়োগ এবং উহা হইতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার উৎপত্তি। অশুভের উৎপত্তিও । নিঃস্বার্থপরতা হইতে—অশুভের পরিণামও শুভ বই আর কিছুই । নয়। উহা কেবল মঙ্গলবিধায়িনী শক্তির অপব্যবহার মাত্র। এক ব্যক্তি যে অপর ব্যক্তিকে হত্যা করে, তাহাও অনেক সময় তাহার নিজের পুত্রাদির প্রতি মেহের প্রেরণায়—তাহাদিগকে ভরণপোষণ করিবে বলিয়া। তাহার প্রেম অন্ত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি হইতে গুটাইর, তাহার সন্তানের উপর পড়িয়া সসীম ভাব ধারণ করিয়াছে। কিন্তু সীমাবদ্ধই হউক বা অসীমই হউক, উহা সেই ভগবান बहे अन्न किङ्कु नाश्। . . * অতএব সমগ্র জগতের পরিচালক, জগতের মধ্যে একমাত্র ৪৩৭