পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ । কালের রাম শুমের মনে লাগে না বলিয়া প্রাচীন সব জিনিষই একেবারে ফেলিয়া দিতে হইবে, তাহারও কোন অর্থ নাই। অমুক মহাপুরুষ এই কথা বলিয়াছেন, অতএব ইহা বিশ্বাস কর, ধৰ্ম্মসকল এইরূপ বলাতে যদি তাহারা উপহাসের যোগ্য হয়, তবে আধুনিকগণ অধিক উপহাসের যোগ্য। এখনকার কালে যদি কেহ মুশ, বুদ্ধ বা ঈশার উক্তি উদ্ধৃত করে, সে হাস্তাম্পদ হয় ; frs grafi ( Huxley ), fisii ( Tyndall ) l ডাক্লইনেৱ Darwin ) নাম করিলেই লোকে সে কথা একেবারে অকাট্য বলিয়া গ্রাহ করিয়া লয়। হাক্সলি এই কথা বলিয়াছেন, অনেকের পক্ষে এই কথা বলিলেই যথেষ্ট! আমরা কুসংস্কার হইতে মুক্ত হইয়াছিই বটে। আগে ছিল ধৰ্ম্মের কুসংস্কার, এখন হইয়াছে বিজ্ঞানের কুসংস্কার ; তবে আগেকার কুসংস্কারের ভিতর দির জীবনপ্রদ আধ্যাত্মিকভাব আসিত, এই আধুনিক কুসংস্কারের ভিতর দিয়া কেবল কাম ও লোভ আসিতেছে। সে কুসংস্কার ছিল ঈশ্বরের উপাসনা লইয়া, আর আধুনিক কুসংস্কার—অতি ঘৃণিত ধন, যশ বা শক্তির উপাসনা। ইহাই প্রভেদ। এক্ষণে পূৰ্ব্বোক্ত পৌরাণিক গল্পগুলিসম্বন্ধে আবার আলোচনা করা যাউক । এই সমুদয় গল্পগুলির ভিতরেই এই এক প্রধান ভাব দেখিতে পাওয়া বার যে, মানুষ পূৰ্ব্বে যাহা ছিলেন, তাহ হইতে এক্ষণে অবনত হইয়া পড়িয়ছেন। আধুনিক কালের তাম্বেৰিগণ বোধ হয় যেন এই তত্ব একেবারে অস্বীকার করিয়া থাকেন। ক্রমবিকাশবাণী পণ্ডিতগণ বোধ হয় যেন এই সত্য একেবারে সম্পূর্ণরূপে খণ্ডন করিতেছেন। তাহাদের মতে মানুষ ক্ষুদ্র মাংসল জস্তবিশেষের