পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ব্ৰহ্মাণ্ডের সাক্ষিস্বরূপ, তোমারই আত্মাস্বরূপ। জ্ঞান যেন একটা নিম্ন অবস্থা—অবনত ভাবমাত্র। আমরাই সেই আত্মা ; উহাকে আবার জানিব কিরূপে ? প্রত্যেক ব্যক্তিই সেই আত্মা এবং সকলেই বিভিন্ন উপায়ে ঐ আত্মাকে জীবনে প্রকাশিত করিতে চেষ্টা করিতেছে ; তা ন হইলে এত নীতিপ্রণালী কোথা হইতে আসিল ? সমুদয় নীতিপ্রণালীর তাৎপৰ্য্য কি ? সকল নীতিপ্রণালীতে একটী ভাবই ভিন্ন ভিন্ন আকারে প্রকাশিত হইয়া বৰ্ত্তমান-অপরের উপকার করা। মানবজাতির সমুদয় সৎকৰ্ম্মের মূল অভিসন্ধি—মানুষ, জন্তু সকলের প্রতি দয়া । কিন্তু এই সকল গুলিই "আমিই জগৎ ; এই জগৎ এক অখণ্ডস্বরূপ, এই সনাতন সত্যের বিভিন্ন ভাব মাত্র । তাহ না হইলে, অপরের হিত করিবার যুক্তি কি ? কেন আফ্রি অপরের উপকার_করিব ? কিসে আমায় অপরের উপকার করিতে বাধ্য করে ? এই সৰ্ব্বত্র সমদর্শনজনিত সহানুভূতির ভাব হইতেই ইহা হইয়া থাকে। অতি কঠোর অন্তঃকরণও কখন কখন অপরের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন হইয় থাকে। এমন কি, যে ব্যক্তি—এই আপাঙপ্রতীয়মান জহং প্রকৃতপক্ষে ভ্রমমাত্র, এই ভ্ৰমাত্মক অহংএ আসক্ত থাকা অতি নীচ কার্য,এই সকল কথা শুনিলে ভয় পায়—সেই ব্যক্তিই তোমাকে বলিবে, সম্পূর্ণ আত্মত্যাগই সমস্ত নীতির ভিত্তি। কিন্তু পুর্ণজাত্ম ত্যাগ জর্গে এই আপাতপ্রতীয়মান “অহংএর ত্যাগ, সৰ্ব্বপ্রকার স্বার্থপরতার পৱিত্যাগ। এই জ্ঞার ও মমগ্ন পূর্বকুসংস্কাt ফলস্বরূপ, আর যতই এই মহং ত্যাগ হইতে থাকে, ততই আত্মা