পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । যদি আমরা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি—কেন তাহার এইরূপ করিতেছে, তাহারা উত্তর দিবে—এ তোমাদের বুঝিবার ভ্রম। জামাদের দ্বারা কোন জন্তায় কাৰ্য্য হওয়া অসম্ভব। এই সকল লোককে পরীক্ষা করিবার উপায় কি ? উপায় এই— যদিও সদসৎ উভয়ই আত্মার খণ্ড প্রকাশমাত্র, তথাপি অসভাবই আত্মার বাহ আবরণ, আর সৎ ভাব-মানুষের প্রকৃত স্বরূপ যে আত্মা, তাহার অপেক্ষাকৃত নিকটতম আবরণ। যতদিন না মানুষ ‘অসংএর ভর ভেদ করিতে পারিতেছেন, ততদিন তিনি সতের স্তরে পন্থছিতেই পরিবেন না ; আর যতদিন না তিনি সদসৎ উভয় স্তর ভেদ করিতে পারিতেছেন, ততদিন তিনি আত্মার নিকট পহুছিতে পারিবেন না। আত্মার নিকট পন্থছিলে তাহার কি অবশিষ্ট থাকে ? অতি সামান্ত কৰ্ম্ম, ভূত-জীবনের কার্যের অতি সামান্ত বেগই অবশিষ্ট থাকে, কিন্তু এ বেগ – শুভকৰ্ম্মেরই বেগ। যত দিন না অসম্বেগ একেবারে রহিত হইয়া যাইতেছে, যতদিন না পূর্বের অপবিত্রত একেবারে দগ্ধ হইয়া যাইতেছে, ততদিন কোন ব্যক্তির পক্ষে সভ্যকে প্রত্যক্ষ এবং উপলব্ধি করা অসম্ভব। সুতরাং, যিনি আত্মার নিকট পহুছিয়াছেন, যিনি সত্যকে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, তাহার কেবল ভূত-জীবনের শুভ সংস্কার, গুড বেগগুলি অবশিষ্ট থাকে। শরীরে বাস করিলেও এবং অনবরত কৰ্ম্ম করিলেও তিনি কেবল সংকৰ্ম্ম করেন , তাহার মুখ সকলের প্রতি কেবল আশীৰ্ব্বচন বর্ষণ করে, তাহার স্তে কেবল সংস্কাৰ্যই করি থাকে, তাহার মন কেবল সংচিৰ করিতেই সমর্থ গুহা, উপস্থিতিই, তিনি যেখানেই বান না কেন, সর্বত্রই মানবাড়ির షోు