পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ঝিলে জিঙ্গলে শিকার। বিশে। সাদা Teal রা গাছের কোটরে বাসা বাঁধে দেখেছি। শুনেছি ভাঙা বাড়ী, ঘরের দেয়ালের ফঁাক, কার্ণিসের কোনও এ উদ্দেশ্যে বেছে নেয়। শীষ দেওয়া Tea! যা এদের মত দেশান্তরে প্রবাস যাত্রা করে না—বারো মাই এক গায়ে কাটায়। তাই দেরি মত সাদাসিধা গেঁয়াে ধরণের জীব। এই কারণেই এদের সম্বন্ধে বিশেষ বক্তব্য কিছু নেই। কি ভাবে হাঁস আর Talদের সম্মুখীন হতে হয়, চতুর রাজ হাঁসকে ঘেরাও করতে হয়, সে সব উপায় তুমি সেই আয়ত্ব করতে পারবে। তারা কি আবার প্রকারের ঝিল বা জলাশরে বসবাস করে সেটা জানা থাকতেই কাজ কঠিন হবে না। তবে তুমি যেমনই নিপুণ শিকারী হও না কেন আর তােমার অস্ত্রটি যেমনই দামী হকনা কেন, পাড়া গায়ের শিকারী, যাদের এই ব্যবসায়, যারা এই করেই খায়, কখনই তাদের সমকক্ষ হতে পারবে না। সে যে মাথায় ঘাসের চাবলা ঢাকা দিয়ে সম্মুখে পদ্ম প্রভৃতি জলজ ফুল পাতা শেওলার চলন্ত দ্বীপ ঠেলে ঠেলে এক পেশে ভাবে কঁকড়ার মত, নি:সনিগ্ধ পাখীদের একেবারে কাছে গিয়ে পেীছাস আর ঝাকে ঝাকে মেরে নিয়ে আসে, সে এক অদ্ভুত ব্যাপার! একবার পরীক্ষা করে দেখবার জন্য আমি কতকগুলো Spoonbill আর shoyellor (পাটাবুকো সি) আমাদের বাড়ির পুকুরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। Spoonbillটার ডানা ভাঙা ছিল, অন্তগুলি উড়ে না পালাতে পারে এলে তাদের ডানার পাক কেটে দিয়েছিলাম। ডানাভা। পাখা অস্ত্রচিকিৎসায় অল্প দিনের মতোই আরাম হয়ে উঠল ; বিন্তু তাকে এতটা সুস্থ সবল হতে দেওয়া হল না যে পাঠিয়ে যেতে পারে। কিছু দিনের ম্যই তাদের লাজুক প্রকৃতি কেটে গেল সত্যি, কিন্তু কিছুতেই তারা পো। হাঁদের সঙ্গে ‘জ-চলা মেনে নিলেনা। রাতেও পুকুরে থাকত, বাদলা দিনে কেবল জল ছে েভাঙ্গায় উত। শীতকাল এলে ভারি চঞ্চল হয়ে উঠল, ডানাভাঙা পাখটি ছাড়া আর সবাই এদিক ওদিকে উড়ে চলে যেতে আরম্ভ করলে, যদিও দিনের বেলায় আবার সবাই ফিরে আসত। বহুকাল আসবা মাত্র ডানা ভাঙা পাখীটিকে একা ফেলে সবাই পালিয়ে গেল। পরে আশ্বিনে সংখ্যায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে তারা ফিরে এসেছিল। নবাগত গুলি বোধ হয় তাদের পুত্রকন্যা। আবার বসন্ত আসবার আগেই আমরা অন্যত্র চলে গেলাম। কাজেই যথাকালে তারা মানস পথের যাত্রী হয়েছিল কিনা সে সংবাদ জানার সুযোগ ঘটেনি। | প্রবাস যাত্রা করতে নীল শীরা হাঁসের সব য় (শী দেরী হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়েও এ ‘স অামি অনেক বার শিকার করেছি। সেই ঐ প্রখর দিনে এদের নীল আঙরাখা গুলি আর উজ্জ্বল হয়ে সাটিনের মত ঝক কক্‌ করে। সেবার আমরা শিকারী তিনজন ছিলাম। জল এত কমে এসেছি যে অনেক জায়গায় ভেলা ভাসান চলেনি, হেঁটে পাড়ী জাতে হয়েছিল। সেদিন আমাদের যা ভ্য হয় তাতে মন খুসী হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ভাঙ্গায় উঠে হাঁটু হতে পা পর্যন্ত কিযে যাতনা আয় হয়েছিল সে কথা আমি কখনাে ভুলে যাব । একজন কৃষকের টোটকা ওষুধে আরাম পেলাম। এর আগে কি পরে আর কখনো এমন হয়নি। যেখানে যাতনা হচ্ছিল সেখানটা শাবান ও গরম জল দিয়ে বেশ করে ধুয়ে অনেকখানি সরিষার তেল দিয়ে যেন প্রলেপ দিলে। বন্ধু ছু জনেই বয়সে আমার চেয়ে বড় ছিলেন। তাদের এ দুঃখ পেতে হয়নি বলে তখন আমার প্রতি প্রায় কোন সাহু ও দেখাননি। পনি কিন্তু তাঁদেরও ভাগ্য বিপর্যয় ঘটল, “চিরদিন কখনাে সমান