২২ ঝিলে জঙ্গলে শিকার . . ঘটেছিল। খবর এল একটি প্রকাণ্ড বাঘ বাথানের সব চেয়ে ভাল গরটিকে মেরেছে। তার পর সেটাকে টেনে নদীর তীরে নিয়ে গিয়েছে, হেঁটে নদী পার হয়ে শিকার শুদ্ধ এক শিমুলতলায় উঠেছে। আমরা সে দিন একটা আহত বাঘের সন্ধানে ফিরছিলাম। আগের দিন আমাদের শিকারকর্তা সেটীকে গুলি করেছিলেন, মারা পড়েনি। সেই জন্যে সে দিন আমরা নুতন আগন্তুকের খোঁজে আর গেলাম না। যদিও সহজেই এ কাজটা সেই দিনই উদ্ধার হতে পারত। আমাদের শিকারকর্তা কিন্তু মৃগয়া-ব্যবসায়ীর হজ সংস্কার বশতঃই হাতের কাজ শেষ করে, পরের দিনের জন্যে অন্যটি স্থগিত রাখলেন। আহত বাঘটি তে পাওয়া গেলই, উপরন্তু সেই জঙ্গলেই আর একটিও আমরা মারলাম। ডাক্তার –শষের বাঘটির জন্যে প্রথম গুলির ব্যবস্থা করেন, কিন্তু চরম ঔষধ, নিদান কালের বিষবড়ি, প্রয়োগ করবার ভার অন্যের হাতেই ছেড় দিয়েছিলেন। আমরা আশাতীত ফল লাভ করে আনন্দে তাঁবুতে ফিরে পরের দিনের অভীষ্ট লাভের প্রত্যাশায় উৎসুক হয়ে প্রতীক্ষা করে রহিলাম । গরুর হাড়ৰ খব: বাড়তে খবার মত প্রসঙ্গ নয়। বিশেষ 'তাহাতে কাক কি কোকিলের এক দান সর ও প্র •্যাশ ছিল না। আমরা এই গােহত্যাকারীকে পাহাড়, ম ঠে, খানাখলে, ম্ভব , সব জায়গায় খুজ পন বেলা দুটা প্যন্ত বোন কিনারা করতে পারলাম না তখন অতিথিদের ম. ; কেউ কেউ মধ্যাহ্ন ভেনের চোয় তাঁবুতে ফিরে গেলেন। এই কারণে আমাদের লাইন হতে নিটা হাতী কম পড়ে গেল। তাদের ফিরে আতেও অনেক সময় কেটে গেল। আমাদের শিকার-নেতা এই সময়টি বৃথা অপব্যয় না করে শিকারের সন্ধানেই ফিরছিলেন, বেলাও পড়ে আছিল। তাই আর একটিবার মাত্র খোঁজে বেরুবার মত সময় তখন হাতে ছিল। নদীটি যেখানে অর্ধচন্দ্রাকার ঘুরে এসেছে তারই তীরে ঘাস আর শর দিয়ে ঢাকা একখণ্ড জমি ছিল। লম্বায় প্রায় তিন কি চার শ’ আর প্রস্থ ১০ কি ১৩০ গজ। কোণায় জঙ্গলটি ক্রমে ফাক হায় এসেছে ; গাইপলা বড় একটা ছিল না। বাঘ যে পথে আসছিল সেটা ছেড়ে অন্য দিকে ফিরে ছিল। তাই তাম!দও এগোবার লাইন নূতন করে বেঁধে হাতীর মুখ ঘুরিয়ে বিপরীত পথে যাত্রা করতে হল ! আমি একেবারে লাইনের শেসে ছিলাম। ঠিক ডাইনের দিকে খানিকটা খােলা ময়দান আর গােচারণের মাঠ ছিল। আমার ব্যায়ে তিন হাওদায় তিনজন শিকারী ছিলেন। উভয় দিক হতেই তাদের অধিকৃত কানগুলিকে উত্তম উত্তমতর আর অত্যুত্তম বলা যেতে পারে। পঞ্চম হাওদা যার অ:কারে ছিল। তিনি নদীর পারে বিরাজ করছিলেন। আমি যে জায়গাটি পে’য়ছিলাম তাতে দৈব সুপ্রসন্ন ন হলে কিছুই ঘটবার আশা ছিল না। সম্মুখে প্রায় ৮০ গজ পর্যন্ত ফাকা জমির মাঝে দুএকটি গাছের গুচ্ছ দেখা যাচ্ছিল। সে যেন ঠিক ন্যাড়ার মাথায় অর্কফলার মত,এদিকে ওদিকে খোঁচা খোঁচা শূয়োর কুচির মত খাড়া খাড়া ! দুএকটি গাছ সমস্ত মাঠটির অনুর্বরতা আরও যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি। নদীর বাক পরে হাতীর সারি ক্রমে অগ্রসর হচ্ছিল। অল্পক্ষণের মধ্যে বাঘের সান্নিধ্য যন্তই নিকটতর হতে লাগল চারিদিকে উত্তেজনার আভাস ততই দৃষ্টি ও শ্রুতি গােচর হল। হাতর হুঙ্কার শুণ্ড আলন, প্রহরী জমাদারের ভঙ্গী হ’তেই বুঝা গেল বাঘ নির্দিষ্ট পথে আসছে না, কিন্তু হাতর শারির মণ্যে সে স্থানটি সব চেয়ে নিরাপদ সেইখান দিয়ে পলায়নের মােগ' 'চে। তা যেমন দৃঢ়ভাবে শেীবদ্ধ হয়ে গড়িয়েছি সহজে সেখান হতে পলা . IT ।।।
পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/৩৬
অবয়ব