পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। অন্ধকারযাত্ৰা তাহার আনন্দ ছিল। প্রথমতঃ সেই নীরব অবিচলিত ধৈর্য্যের ভাব, যাহা ইংরাজের কাছে এত প্রিয়। একটা কিছুর সহিত বুঝিতেছি অথচ হটিব না এইভাব। তারপর সাজের ঝনঝনি, কঠিন রাস্তার উপর ঘােড়ার খুরের অভিঘাত ধ্বনি, আর ভাসন্ত তুষার কণার মধ্য দিয়া অগ্রবর্তী অম্বদয়ের কাগের উপর দিয়া অন্ধকারভেদী দুই উজ্জ্বল লণ্ঠনের ভাস্বর আলােক শলাকা, আর গার্ডের শিঙ্গার উৎসাহপূর্ণ ভোঁ ভোঁ শব্দ, পথে কোন তন্দ্রালু সান্ত্রী কি পরবর্তী আড্ডার অশ্বপালকে সাবধান করিয়া দিতেছে এবং সূর্যোদয়ের নিমিত্ত আগ্রহপূর্ণ অপেক্ষা, এবং সর্বশেষ পায়ের আঙ্গুলে অনুভবশক্তির প্রত্যাবর্তন, এই সকলে সুখ বড় কম ছিল না। তারপর সদ্য-উদ্ভিন্ন উষা এবং সূৰ্য্যোদয় গাড়ীর ছাদথেকে ছাড়া এমন নিখুঁতভাবে আর কোথায় দিখিতে পাইবে ? যদি উহা সমুদিত সমারােহের মধ্যে দেখিতে চাও তা হলে গতি চাই, সঙ্গীত চাই, পরিবর্তন চাই। গায়ক গায়িকার সঙ্গীত নয়, কিন্তু সেই প্রশস্ত নীরব সঙ্গীত যাহা কৰ্ম্ম এবং পথতিবাহনের সহিত সঙ্গত দিয়া তােমামার নিজের মাথায় আপনা আপনি বাজিয়া উঠে। ট্যালিহ সেন্ট আলবান্স ছাড়াইল । টম যদি ও অর্থ জমাট হইয়া আসিয়াছে তবুও সে গাড়ী চড়ার সুখ বিশেষরূপ অনুভব করিতেছিল। গার্ড গাড়ীর পিছনে তাহার সহিত একলা, কোন কথা কহে না, কিন্তু সে টমের পা খড় দিয়া কাড়াইয়া দিয়াছে এবং একটা জইন্তের ছালার এক মুড়া টানিয়া টমের হাঁটুর উপর চাপাইয়াছে। এই অন্ধকার টমের মনকে অন্তর্ম করিয়াছে। সে তাহার ক্ষুদ্র অতীত জীবনটি পৰ্যালোচনা করিতেছে এবং তাহার কৃতকাৰ্য্য ও অঙ্গীকার এবং তাহার মা ও ভগ্নীর কথা এবং তাহার পিতার শেষ কথা বারবার গণ