পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ઝ જ્ય ના সমাজকে চ্ছিন্নভিন্ন করিয়া তৎপরিবর্তে | দেহান্তরযোজনার ব্যঞ্জ बीच किख ইন্দ্ৰিয়-স্বৰ, বিলাস-মুখ-পূর্ণ স্বেচ্ছাচার | সামান্য বিষয় বুদ্ধি ধারা অথবা ব্যবহারিক প্রধান নূতন সমাজ সংগঠনের চেষ্টা করা | পদার্থবিদ্যার সাহায্যে সে নিগুঢ় ডৰ হৃদয় ঙ্গম করা যায় না । শাস্ত্রের এই একটী সার, কোন রূপেই সৎশিক্ষা সৎবৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ রুচি-প্রবৃত্তির কার্ষ্য নহে । ধৰ্ম্মপ্রধান আর্ষ্যসমাজ, স্বনিয়ম ও স্বশাসন-প্রভাবে যেরূপে আর্য্য সন্তান সস্ততি সকলকে যে সকল পাপ তাপ ও দুষ্কৰ্ম্ম হইতে এতাবৎকাল রক্ষা করিয়া আসিতেছে, বর্তমান সময়ের বিজাতীয় উচ্চ শিক্ষা বৈদেশিক সভ্যতা প্রভূতি সে সকল পাপ-স্রোত রুদ্ধ করিতে পারিতেছে ন! ৷ দীঘ-কাল-ব্যাপী অরাজক অবস্থাতেও কার্য্য-সমাজের এক ধৰ্ম্ম-বন্ধন যে রূপে লক্ষ লক্ষ নর-নারীকে যে সমস্ত অসৎকার্য্য হইতে রক্ষা করিয়াছে, এখন এমন দোদগু-প্রতাপ নরপতিগণের কঠোর রাজদণ্ড, অসংখ্য অগণ্য ধৰ্ম্মধিকরণ, যোজনব্যাপী কারাই সকলও সে সমুদায় দুরাচার ও দুষ্কৰ্ম্ম স্থগিত করিতে সমর্থ হইতেছে না । ধৰ্ম্মপ্রধান সমাজ-বলের নিকটে, সকল বল পরাভূত হয় । অতএব বিজাতীয় সভ্যতার বাহা চাকচিক্যে বিভ্রান্ত হইয়া বিলাস ও স্বেচ্ছাচারকে প্রশ্রয় স দিয়া আর্য্য-সমাজ সংস্কার ও সংরক্ষণে সকলে যত্নশীল হ? যে ধন সম্পদ বল-বীৰ্য্য জ্ঞান ধৰ্ম্ম এবং "রতের স্পৰ্দ্ধাস্থল ও গৌরবনিধি নারী রক্ষা হুইবে । পরলোক তত্ত্ব । হিন্দুশাস্ত্র মুলক ( পূৰ্ব্ব প্রকাশিভের পর ) ১০ শাস্ত্রানুসারে দেহান্তরপ্রাপ্তি স্বাভাবিক মনঃপ্রধান সূক্ষম দেহই তাহীর অবশ্যম্ভাবী হেতু। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে সূক্ষ্যদেহ মায়ার রূপবিশেষ ভৌতিক সুক্ষ উপাদানে বিরচিত। মন সূক্ষ দেহের প্রধান অঙ্গ এবং পরিচালক । সুতরাং মনই f সিদ্ধান্ত যে, কেবল বাসনাকে চরিতার্থ করার নিমিন্তেই পদার্থের আবির্ভাব। পদার্থ আবিভূত হওয়ার বীজ বাসনাতেই আছে । স্থূলদেহ প্রকাশের বীজও সেইরূপ বাসনাক্ষেত্র মনেতেই আছে। তাহ অঙ্কুরিত হইবার জন্য জগদীশ্বর যে সমস্ত বিধিরূপ ক্ষেত্রাদি নিরূপণ করিয়াছেন তৎসংযোগধীন ভোগায়তন-স্বরূপ শরীর প্রকাশ পায় । মনেতে যেরূপ ভোগের স্পৃহা, যেরূপ শরীরের ধ্যান, যেরূপ প্রকৃতির আবির্ভাব, যেরূপ কৰ্ম্মের ভাব এবং যেরূপ জ্ঞান ধর্শের প্রভাব থাকে মানসিক বীজশক্তির এমনি মহিমা যে মৃত্যুর পর জীবকে তদুপযুক্ত দেহরূপে আশ্রয় করে। যেমন বট-বীজস্থা শক্তিকে আশ্রয় করিয়া সেই শক্তির পুষ্টিঅপুষ্টি-অনুযায়ী ভাবি বটবৃক্ষ অবস্থিতি করে, তাহার ন্যায় মনঃপ্রধান সুক্ষদেহকে আশ্রয় পূর্বক ভাবি স্থূলদেহ অপেক্ষা করিয়া থাকে । বীজকোষ বিদীর্ণ হইয়। যেমন অঙ্কুর দেখ। দেয়, স্থূলদেহ বিনাশে সেইরূপ মৃতন দেহ অঙ্কুরিত হইয় থাকে। শাস্ত্রে কহেন, স্থল দেহকে জীব স্বপ্নাবস্থায় ব্যবহার করিতে পারে না। তৎকালে | যনঃপ্রধান সূক্ষ দেহরূপ বীজ হইতে পূৰ্ব্ব ংস্কার অনুসারে অভিনব স্বপ্নদেহ জন্মে:। তাহাই অবলম্বন পূৰ্ব্বক জীব স্বপ্ন-রাজ্যের ফল রচনা ও ভোগ করেন। মনই ঐয়প দেহ ও ভোগ-রাজ্য ঘটনের হেতু । অন্ধ্রপ মৃত্যুর পর সেই মনঃস্থিত পূৰ্ব্বসংস্কারানুসারে এই পৃথিবীতে বা অন্য লোকে জীবের ষে অভিনব দেহ জাঞ্চিত হইবে তাহাতে বিচিত্র কি আছে। ।