পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెby বিহিত উপায় হইতেছে না। আমার মতে এক্ষণে এই একটী মহৎ অভাব হইয়াছে । সকলের ভােব সমান তেজস্ব না ; সকলের উৎসাহ সমান নহে । কত ব্রহ্মের উৎসাহ অগ্নি ইন্ধন না পাওয়াতে নিৰ্বাণ প্রায় স্তইয়। যাইতেছে । হৃদয়ে হৃদয়ে ঘর্ষণ না হুইলে কেমন করিয়াই বা অগ্নি প্রজ্বলিত হইবে ? আমাদের কত বল তাহ আমর আপনারাই জানি না অমর মিলিত হইলে । কি না করিতে পারি ? " কিন্তু এই প্রকার মিলিত হুইবার যে কোন উপায় হইতেছে । মা, এমন কখনই নহে। এই উদ্দেশেই এক্ষণে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সঙ্গত সভা হইমাছে । সেখানেই “হৃদয়ে হৃদয়ের ঘর্ষণ হইত প'রে । ত্ৰ"হ্মের। স্থানে স্থানে এই ধাপে ভ্ৰাতৃ ভাবে মিলিত হইয়। আপনাদের চরিত্র সংশোধন বিষয়ে তৎপর হইলে বিস্তর উপকারের সম্ভাবনা | প্রথমে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এই প্রকার এক এক ব্রাহ্মদল হইলে পরে সেই ভিন্ন ভিন্ন দল অপর এক দলে বদ্ধ হইতে পারে ; এবং সেই এক দলই ব্রহ্ম:দর সৈন্য দল স্বৰূপ পরিগণিত হইণ্ডে রে ; অতএব ব্রাহ্মের। এই প্রকারে একত্র ক্লউন, অবশ্যই তাহাতে অশেষ মঙ্গল সাধন হইবে । আমাদের পত্র লেখক ঠিক বলিয়ছেন যে, “ যে কোন কুরীতির উচ্ছেদ সাধন করিতে হুইবে তাহীর জন্য সকল লাহ্ম একত্র হইলে তাহার বিশেষ উপায় অবশ্যই হইতে পারে । আপনি কি মনে করেন, দুই তিন শত ব্রান্ধের সাধারণ বল ? ধৰ্ম্ম ভীরু তা কাহারদিগের ? বাহঃদের হৃদয় বিশ্ব{স-শুন্য, তাহারাই ভীরু স্বভাব—তাছারাই কপট বেশী। কিন্তু যাহার বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মের অপ্রিয় গ্রহণ করিয়াছে তাহার একত্র হইলে তাহদের বলের কি সীমা থাকে ? এজন্য বলিতেছি ব্রাহ্মদের

তত্ত্ববোধিনী পত্রিক একত্র হওয়া নিতান্ত আবশ্যক ৷ ” পরে তিনি যাহা বলিয়াছেন,তাহাতে কোন বিশেষ ফল দর্শিতে পারে কি না সে বিষয়ে অণ মদের সন্দেহ আছে। “ এই দুর্গোৎসবের সময় আসিতেছে, ইহার পূর্বে ব্রাহ্মের কেন আপনাদের একটী সভা আহবান না করেন । সেই সভtয় বিবেচনা করুন এই পূজার সময় তঁহীরা কিৰূপে চলিবেন । র্তাহারা গৃহে প্রতিমা স্থাপন করিতে পারেন কি না ? তাহারা পূজার কে নিমন্ত্রিত হইলে তথায় ঘাইতে পারেন কি না ? সে ঈ সভায় যাক সৰ্ব্ব সম্মতিতে স্থির হইবে, সকলে সেই ৰূপে চলিতে প্রতিজ্ঞ ৰূঢ় হউন। এই প্রকার করলে কে। মই উপকার হুইবে না, এমন কেহ বলিতে পরিবেন ন। । এই প্রকারে সকল ব্রহ্মেরা যাই। এ ক মতে স্থির করবেন তাঙ্গর বিপরীত আচ রণ কেন ব্রাহ্মই করবেন না, এমল যtয় না । কি স্তু তাহা করিতে ব্রাহ্ম মনে রই একটী অ!শঙ্ক। উপস্থিত হইবে সন্দেহ এখন কোন এক জন ব্রাহ্ম, যে পৌত্তলিক সে পৌত্তলিক থাকিলে তঁহিব একটী কথাও শুনিতে হয় • । এখন ব্রাহ্মের ন। ব্রাহ্ম-মণ্ডলীর মতামত বিবেচনা করিয়া চলিতে হয়, না পৌত্তলিক পরিবার হইতে কোন বাধা আশঙ্কা করিতে হয়। পরিবারের মধ্য হইতে কেহ এক জন খ্রীস্টান হইলে তাহার জন্য হাঙ্গকার পড়িয়া যায় কিন্তু ব্রাহ্ম হইলে সকলেই নিশ্চিন্তু থাকে। কেন ? কেন না পৌত্তলিকের। সকলেই জানে ব্রাহ্ম তে। অামারদের ঘরের লোক । তাহারা নিশ্চয় জানে হিন্দুধৰ্ম্মে মনে বিশ্বাস না থাকুক, বাহিরে তাহার সেই মত সকলি করিতে হইবে । এই প্রকার কপট ব্যবহার ও ধৰ্ম্ম তীৰুতা কি ব্রাহ্মের উচিত ? " এ কথা আমরা মুক্তকণ্ঠে ব ল মাট ।