পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ છેנשג איןזין?ט Y= STS SSAAAAS STS SS ASA SSASAS S S S S S S S S S S S SMAAAA =s* যাহার কোমল শ্রদ্ধা সে কনিষ্ঠ জন। সাধন ভক্তি দুই প্রকার বৈধী ও রাগানুগ। ক্রমে ক্রমে র্তিহো ভক্ত হইবেন উত্তম । রতি প্রেম তারতম্যে ভক্তি তর তম । একাদশ স্কন্দে তার করিয়াছে লক্ষণ ॥ সৰ্ব্ব বৈষ্ণব শরীরে । কৃষ্ণভক্তে কৃষ্ণের গুণ সকল সঞ্চারে । এই সব গুণ হয় বৈষ্ণব লক্ষণ । সবকহা না যায় করি দিগ দরশন । কৃপালু অকৃত দোহ সত্য সার সম । নির্দোষ বদান্য মৃদু শুচি অকিঞ্চন । সৰ্ব্বোপকারক শান্ত কৃষ্ণৈকশরণ। অকাম নিরীহ স্থির বিজিতষ ড়গুণ । মিতভুক 'ম প্ৰমত্ত মাদন অমানী । গম্ভীর করুণ মৈত্র কবি দক্ষ মে\নী । কৃষ্ণভক্তি জন্মমূল হয় সাধুসঙ্গ । কৃষ্ণপ্রেম জন্মে র্তিহো পুনঃ মুখ্য অঙ্গ । অসৎসঙ্গত্যাগ এই বৈষ্ণব আচার। স্ত্রীসঙ্গী এক অসাধু কৃষ্ণাভক্ত আর ॥ এত সব হাড়ি আর বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম । অকিঞ্চন হঞা লয় কৃষ্ণের শরণ ॥ ভক্তবৎসল কৃতজ্ঞ সমর্থ বদান্য । হেন কৃষ্ণ ছাড়ি পণ্ডিত নাহি ভজে অন্য ৷ বিজ্ঞ জনের হয় যদি কৃষ্ণ গুন গান । অন্য ত্যজি ভজে তাতে উদ্ধব প্রমাণ ॥ শরণাগত অকিঞ্চনের একই লক্ষণ । তার মধ্যে প্রবেশয়ে আত্ম সমপণ ॥ শরণ লঞা করে কৃষ্ণে আত্মসমপণ । কৃষ্ণ র্তারে করে তৎকালে আত্ম সম ॥ চৈ চঃ মধ্য খণ্ড ২২ অধ্যায় । চৈতন্য বলিলেন হে সনাতন ! সাধন ভক্তি হইতেই মহাধন ভগবৎপ্রেম লাভ | হয়। স্বভাবজাত স্বতঃসিদ্ধ ভাবগুলিকে হৃদয়ে উদ্দীপন করার নামই সাধন । ভগবৎপ্রেম নিত্যসিদ্ধ বস্তু, শুদ্ধান্তঃকরণে ভগবানের মহিমা শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদি দ্বারা হৃদয়ে সেই প্রেমরস উদ্দীপ্ত হইয়া থাকে। স্বাভাবিক অনুরাগ নাই, অথচ শাস্ত্রের আজ্ঞায় যে ভজন তাহাই বৈধ অর্থাৎ বিধিসিদ্ধ। গুরুপদাশয়, দীক্ষা, গুরুসেবা, সদ্ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা, সাধুদিগের অনুগমন, তীর্থবাস, ভোগত্যাগ; নির্বাহের অতিরিক্ত ভিক্ষা না করা, সেবা ও নামাপরাধ বর্জন, অবৈষ্ণব সঙ্গত্যাগ, সাধুসহবাস শিষ্যবৃদ্ধিবর্জন, বহু গ্রস্থাভ্যাস বর্জন, লাভক্ষতিতে সমজ্ঞান, শোকাদির অবশীভূতত, অন্যদেবতা ও অন্যশাস্ত্রের অবজ্ঞা না করা, মনোবাক্যে প্রাণীমাত্রের উদ্বেগের কারণ না হওয়া, ও শ্রবণ কীৰ্ত্তন পরিচর্ষ্যা বিজ্ঞপ্তি আত্মনিবেদন প্রভৃতি সাধনভক্তির চতুঃষষ্টি অঙ্গ । কেহ বা এক অঙ্গ কেহবা বহু অঙ্গ লইয়৷ সাধন আরম্ভ করেন। এক অঙ্গসাধনেও অনেক ভক্ত সিদ্ধ হইয়াছেন । অম্বরীষাদি ভক্তগণ বহু অঙ্গের সাধন করিয়া সিদ্ধ হইয়াছিলেন । ইহাতে নিষ্ঠা হইলে হৃদয়-নদীতে প্রেমের তরঙ্গ-লহরী ক্রীড়া করিতে থাকে । শাস্ত্রোক্ত এই সকল অঙ্গ সাধনের নাম বৈধ ভক্তি । শাস্ত্র আজ্ঞা মান্য করিয়া কমনাত্যাগ করত যাহারা বৈধ ভক্তিতে ঈশ্বরের ভজন করেন, তাহারা দেবতা ঋষি ও পিত্রাদির . ঋণ হইতে মুক্তি লাভ করেন । * “এবে সাধন ভক্তি কহি শুন সনাতন । যাহা হইতে পাই কৃষ্ণে প্রেম মহাধন ৷ |

  • - -سیحی- ح - - - - - -

兽 "দেবধিভূতাপ্তৰুণাং পিতৃণাং ন কিঙ্করো নায়মুণী চ রাজন সৰ্ব্বাত্মন। যঃ শরণং শরণাং 4 গতে মুকুনাং পরিহাতা কৃতাং ।” ^ ভাগরত — একাদশ স্কন্ধ ; ছে রাজনৃ! যিনি শাস্ত্রনিদিষ্ট কৃত্যাদি পরিত্যাগ পূবক সৰ্ব্বতোভাবে মুকুনেব শরণাপন্ন হইয়াছেন ; তিনি দেবতা ঋষি, প্রাণী, কুটুম্ব বা পি ত্ৰাদি নিকট ঋণী বা কাহারও কিঙ্কর নহেন ।