পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృృbూ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১• কল্প, ১ ভাগ কিন্তু এই বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিবার এক একটা সূত্র যেরূপ স্থকৌশলে নিৰ্ম্মিত হয়, তাহা ভাবিতে গেলে একেবারে নির্বাক্ হইয়া পড়িতে হয় । প্রত্যেক মাকড়সার উদরের শেষভাগে চারিটী বা ছয়ট সূত্রনিৰ্ম্মাণ যন্ত্র আছে। প্রত্যেক যন্ত্রে আবার কতকগুলি অতি সূক্ষ ছিদ্র আছে । কোন স্থবিখ্যাত পণ্ডিতপ্রবর (Reaumar) বলেন যে, এই এক একটা যন্ত্র এক একটা সূচীর অগ্রভাগের ন্যায় সূক্ষ হইলেও ইহাদের প্রত্যেকটাতে সহস্ৰ করিয়া সূক্ষতর ছিদ্র আছে। ঐ সকল ছিদ্র হইতে সহস্রধারে সূত্র নির্গত হইয়া সূত্ৰ-নিৰ্ম্মাণ-যন্ত্র হইতে দশ ইঞ্চি দূরে একত্র মিলিত হয়। তখন আমরা জাল নিৰ্ম্মাণ করিবার একটা মাত্র সূত্র প্রস্তুত দেখিতে পাই। চারি হাজার সূত্রে একটা সূত্র প্রস্তুত হইল, অথচ তাহা এত সূক্ষ যে সহজে চক্ষু দ্বারা দেখা যায় না । কে এই মহান কৌশলের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া বলিতে পারে যে ইহার অষ্টা নাই—ইহা ঘটনার চক্রে ঘটিয়া গিয়াছে ? ইহাও সেই বিশ্বকৰ্ম্মার স্বষ্টি, র্যার ইচ্ছায় এই স্থ্যলোক ভূলোক সমুদয় বিষ্কৃত হইয়া স্থিতি করিতেছে । கற সৎ প্রসঙ্গ । ধৰ্ম্মের বল। আমেরিকার কোন সুপ্রসিদ্ধ কবি র্তাহার দৈনন্দিন লিপিতে লিখিয়া রাখিয়াছেন যে তিনি এক দিন এক ধৰ্ম্মপ্রচারকের সহিত কোন উন্মাদনিবাসে গমন করিয়াছিলেন। প্রচারক সেইখানে উপাসনা করিলেন এবং তৎসঙ্গে একটা সঙ্গীতও করিয়াছিলেন । এই | -- উন্মাদ রোগগ্রস্ত ব্যক্তিগণ যদিও অপরাপর সময়ে অত্যন্ত গোলমাল করিত কিন্তু প্রচারক যখন উপাসনা ও সঙ্গীত করিতেছিলেন, তখন তাহারা সকলেই পুত্তলিকার ন্যায় নিৰ্ব্বাক্ হইয়া শ্রবণ করিতেছিল ; অনেকে উক্ত সঙ্গীতে যোগদান পর্য্যন্ত করিয়াছিল । কবি দেখিয়া শুনিয়া অবাকৃ হইলেন; এবং জিজ্ঞাসা করিয়াছেন যে, বুদ্ধির অতীত সেই পরমেশ্বর যে ইহা দিগের অন্তরে শান্তি প্রদান করিতেছেন, ইহাই কি তাহাদিগের এইরূপ অন্তর্নিহিত ধৰ্ম্মভাবের মধ্যে, উপাসনাকালীন এই রূপ শান্তভাবের মধ্যে প্রকাশ পায় না ? বাস্তবিক ধৰ্ম্মের বলে আমরা যে শান্তি লাভ করিতে পারি, তদপেক্ষা আর কিসে অধিকতর শান্তি লাভের প্রত্যাশা করিতে পারি ? ধৰ্ম্মে রক্ষা । অর্থে মত্ত হইয়া আমাদের যতক্ষণ পরের বিষয়ে হিংসা হয়, ধৰ্ম্মে মত্ত হইয়া আমাদের ততক্ষণ পরের বিষয়ে হিংসা শুভ । (ধৰ্ম্মের সময় যে পরের বিষয়ে হিংসার কথা বলিলাম, তাহার অর্থ ষড়রিপু হননেচ্ছ) । ধৰ্ম্ম অর্থের শীর্ষে । ধৰ্ম্মকে আগে দেখা চাই তাহার পরে অর্থ। ধৰ্ম্মের আশ্রয়ে অর্থ বিরাজ করিতেছে । তাড়াতাড়ি যে আমরা ধৰ্ম্মকে বাদসাদ দিয়া অর্থের প্রতি আকৃষ্ট হই তাহ আমাদের পক্ষে অশুভ লক্ষণ । ধৰ্ম্মকে বাদ দিয়া ধৰ্ম্মকে অগ্রে স্থান না দিয়া অর্থকে অগ্রে স্থান দিতে যাইলেই আমাদের ক্ষতি বই লাভ নাই । অাগে ধৰ্ম্মকে রক্ষা কর পরে অর্থ কাম সমস্তই রক্ষা পাইবে । αμμο