পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و « سالامة يffجة রাজা রামমোহন রায় ১৩৭ o


তাহার অনুষ্ঠান করে।” পঞ্চম বিষয়ে বলিলেন যে তাহদের ধৰ্ম্মভয় অল্প, “এ অতি অধৰ্ম্মের কথা । দেখ কি পর্য্যন্ত দুঃখ, অপমান, তিরস্কার, যাতনা, তাহার। কেবল ধৰ্ম্মভয়ে সহিষ্ণুতা করে। অনেক কুলীন ব্রাহ্মণ, র্যাহারা দশ পনর বিবাহ অর্থের নিমিত্ত করেন, তাহাদের প্রায় বিবাহের পর অনেকের সহিত সাক্ষাৎ হয় না ; # তথাপি ঐ সকল স্ত্রীলোকের মধ্যে অনেলে ই ধৰ্ম্মভয়ে স্বামীর সহিত সাক্ষাৎ ন রেকেও এবং স্বামী দ্বারা কোন উপ - র বিনাও পিতৃগৃহে অথবা ভ্রাতৃগৃহে সে বল পরাধীন হইয়া নানা দুঃখ সহি ন পূর্বক থাকিয়াও যাবজ্জীবন ধৰ্ম্মনির্বাহ করেন । * # দুঃখ এই যে, এই পৰ্য্যস্ত অধীন ও নানা দুঃখে দুঃখিনী, তাহারদিগকে প্রত্যক্ষ দেখিয়াও কিঞ্চিৎ দয়া অাপন কারদের উপস্থিত হয় না, যাহাতে বন্ধনপূর্বক দাহ করা হইতে রক্ষা পায়।” এইরূপে তিনি সতীদাহ পক্ষপাতীদিগের নারীজাতির প্রতি অযথা অপবাদ সমূহের সম্পূর্ণরূপে প্রতিবাদ করিয়৷ তবে শান্তি লাভ করিতে পারিয়াছিলেন। স্ত্রীজাতির কষ্ট দেখিলে র্তাহার কোমল হৃদয়ে গুরুতর আঘাত লাগিত। এই কারণেই তিনি চেষ্টা করিয়াছিলেন, যাহাতে হিন্দু বিধবা রমণীগণ মৃত স্বামীর বিষয়ের একাংশের অধিकांद्रौ एcब्रन । র্তাহার স্ত্রীজাতি সম্বন্ধে লেখা পড়িলে স্পষ্টই বুঝা যায় যে তিনি স্ত্রীশিক্ষা ও স্ত্রীস্বাধীনতার পক্ষপাতী ছিলেন । বাস্তবিক প্রকৃত স্ত্রীশিক্ষা ও প্রকৃত স্ত্রীস্বাধীনতা না প্রচলিত হইলে আমাদিগের দেশের শ্ৰেয় নাই। এই স্ত্রীশিক্ষা ও স্ত্রীস্বাধীনতার অর্থে আমি বিশ্ব বিদ্যালয় প্রচলিত | - --or স্ত্রীশিক্ষা অথবা মার্কিণ মুলুকের স্ত্রীস্বাধীনতার কথা বলিতেছি না। স্ত্রীস্বাধীনতা সম্বন্ধে আমি এই বুলি যে, ধৰ্ম্মকাৰ্য্য, গৃহ কৰ্ম্ম, লেখা পড়া প্রভৃতি সকল প্রকার সৎ বিষয়ে যেমন পুরুষের স্বাধীনতা আছে, তেমনি সকল প্রকার সৎবিষয়ে স্ত্রীলোকেরও স্বাধীনতা থাকা কর্তব্য । অসৎ বিষয় হইতে যেমন পুরুষদিগকে ও রক্ষা কর। কর্তব্য, স্ত্রীলোকদিগকেও সেই রূপ রক্ষ করা কর্তব্য । পুরুষদিগকে অসৎ বিষয় হইতে রক্ষা করা যদি না হয়, তাহা হইলে যে স্ত্রীলোকদিগকেও রক্ষা করিবে না, তাহা নহে । এ বিষয়ে পরস্পর পরস্পরকে অপেক্ষা করে না । অসৎ বিষয় হইতে পুরুষদিগকেও নিশ্চয়ই রক্ষা করিতে হইবে, স্ত্রীলোকদিগকেও নিশ্চয়ই রক্ষা করিতে হইবে ; সৎ বিষয়ে পুরুষদিগকেও স্বাধীনতা প্রদান করিতে হইবে, স্ত্রীলোকদিগকেও স্বাধীনতা প্রদান করিতে হইবে । আর বাস্তবিক, স্ত্রীজাতি এমন কি গুরুতর অপরাধ করিয়াছেন যে, র্তাহারা মনুষ্যত্বের অধিকার হইতে বিচু্যত থাকিবেন ; যে র্তাহাদিগকে ঈশ্বরের এই অনন্ত-সুন্দর বিশ্বরাজ্যের আলোচনা হইতে বঞ্চিত করিতেই হইবে ? সকলেই ! জানেন যে, বিগত কলিকাতার মহাপ্রদর্শ নীতে দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের জন্য সপ্তাহে এক দিন বিশেষ রূপে নিৰ্দ্ধারিত ছিল । কিন্তু বঙ্গদেশীয় রমণীদিগের নিতান্ত দুর্ভাগ্য যে, তাহাদিগের অনেকে, মানবের বুদ্ধির ভাণ্ডার স্বরূপ এই মহাপ্রদর্শনী একটবারও চক্ষে দেখিতে পাইলেন না। আমি আমার দুই একটী বন্ধুর নিকট শুনিয়াছি যে তাহারা তাহাদিগের পরিবারস্থ কোন স্ত্রীলোককে এই মহাপ্রদর্শনীতে একটা দিনের তরে ও পাঠান নাই। স্ত্রী