পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ ১৮১৪ প্রার্থনা ృ8\లి SS SSASAS SS SS SS TLSS SMSSSS ===s== ـ يساعد صدوكمصدسكسيكس ضد الله পরিবর্তনশীল হইত, তাহা হইলে কোথায় এই সৌষ্ঠব সম্পন্ন মনুষ্যদেহ থাকিত, অার কিরূপেই বা জগতে জ্ঞানধৰ্ম্মের উন্নতি হইত ? তখন এক মুহূর্ত পূর্বে যে আমি ছিলাম, পরমুহূর্তে আর সে আমি থাকিতাম না—তখন কোন আমি বাস্তবিক আমি, এই লইয়াই অন্তরে সন্দেহ উপ স্থিত হইত ; ইহার মীমাংসা হইত না--- | উন্নতির কিছুমাত্র পথ থাকিত না । সেইরূপ এই যে অগণ্য সূৰ্য্য চন্দ্র লইয়া বিশ্বচরাচর অবিশ্রান্ত ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে, কত শত পরিবর্তন এই জগতের উপর দিয়া নিয়তই চলিয়া যাইতেছে ; যদি এই সমস্ত বিশ্ব সেই ধ্রুব সত্য মহান পুরুষের উপর প্রতিষ্ঠিত না হইত, তাহ। হইলে আমরা স্বষ্টি স্থিতির শোভন মূৰ্ত্তির পরিবর্তে মহাপ্রলয়ের এক ভীষণ করাল মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইতাম । যদি সেই মহান পুরুষের সত্য নিয়মের একসূত্রে সমস্ত জগত না গ্রথিত হইত, তাহ হইলে আমরাই কোথায় থাকিতাম ? সকলেই আপন আপন ইচ্ছানুসারে চলিত। হয়তো এগ্রহ ওগ্রহে পড়িতেছে ; পৃথিবীতে হয়তো চন্দ্র পড়িতেছে ; পৃথিবী হয়তো চন্দ্রকে লইয়াই সূর্য্যের ভিতরে পড়িতেছে। একটি নিয়মেরও বন্ধন থাকিত না—কেনই বা থাকিবে ? তাই বলি যে এই সহস্র প্রকার পরিবর্তনের মধ্যেও এক অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সত্য রহি ग्नtaछ्न । আরও বলি । কোন স্থানে যদি কতকগুলি পুস্তক শ্রেণীবদ্ধ ভাবে রক্ষিত দেখিতে পাই, তাহা হইলে তৎক্ষণাৎ বলিব যে, এইগুলি কোন সজ্ঞান মনুষ্য কর্তৃক এরূপ ভাবে রক্ষিত। আবার যদি সেই পুস্তকগুলি খুলিয়া দেখি যে, তাহার মধ্যে ভাষা ভাব প্রভৃতি অনেক বিষয়েই ঐক্য আছে, তাহা হইলে আমরা অনুমান করিয়া লই যে, সেই সকল পুস্তক একই জ্ঞানের দ্বারা লিখিত । এখন একবার প্রকৃতির দিকে চাহিয়া দেখিলেই দেখিতে পাইব যে এই জগতের পশ্চাতে কোন সত্য পুরুষ নিয়ন্ত আছেন কি না । প্র কৃতির কোন দিকে দেখাইব ? যে দিকে দেখাইতে যাই,সেই দিকেই আমার দেব তার হস্ত দেখিতে পাই । এই যে সন্ধ্যা কাল,এই সন্ধ্যাকাল কি প্রতিদিনই ফিরিয়া আইসে না ? প্রতিদিনই কি সন্ধ্যা প্রশান্তির নব নব বেশ ধারণ করে না ? প্রতিদিন সন্ধ্য। সেই গভীর প্রশান্ত ভাব সঙ্গে লইয়া উপস্থিত হয় এবং প্রতিদিন সন্ধ্যার এই প্রশান্ত ভাবের মধ্য দিয়া ঈশ্বর তাহার প্রশান্ত মূৰ্ত্তি আমাদের হৃদয়ে প্রকাশ করেন । প্রতিদিন প্রভাতে দেখ সূৰ্য্য উদয় হইলেই হইবে ; প্রতি গ্রীষ্মে উত্তাপ হইবেই; প্রতি শীতকালে শীত হইবেই ; এবং প্রতি বৎসর শীত গ্রীষ্ম ঋতু সকল পৰ্য্যায়ক্রমে ঘুরিয়া যাইবেই। এই যে জগতের বিচিত্রতার মধ্যে, পরিবর্তনের মধ্যেও এমন অপরিবর্তনীয় সুনিয়ম সংস্থাপিত দেখিতেছি, ইহা দেখিয়াও কি প্র কারে বলিতে ইচ্ছা হয় যে, এই সকল নিয়মের স্রষ্টা এক জ্ঞানস্বরূপ সত্য সনাতন পুরুষ নাই ? এক সামান্য কৌশল দেখিয়াই মুগ্ধ হইয়। যাই, আর হে বিশ্ববিধাতা, তোমার এই অনন্ত কৌশলময় স্বষ্টি দেখিয়াও আমাদের হৃদয়ে সন্দেহ উপস্থিত হয় ? হে সত্যস্বরূপ, তোমার নিকটে প্রার্থনা করিতেছি যে আমাকে তুমি অসৎ হইতে ডাকিয় লও ; আমার চক্ষু এই পরিবর্তনশীল জগতেই পড়িয়া থাকে, তুমি সেই চক্ষু, সৎস্বরূপ তোমার