পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক היtס 3 א • סיג দিকে ফিরাইয়া দেও ; আমার আত্মায় জ্ঞান প্রেরণ কর, যাহাতে আমি তোমাকে জানিতে পারি । হে জ্যোতিঃস্বরূপ, আমাকে অন্ধকার হইতে জ্যোতিঃস্বরূপে লইয়া যাও । এখন জানিয়াছি যে তুমি আছ, এবং সকলেই তোমারি নিয়মে চলিতেছে ; এখন তোমার অভয়পদ লাভ করিয়াছি, তাই হে দয়াময়,তোমাকে আকুল প্রাণে ডাকিতেছি যে তুমি আমাকে অজ্ঞানের মোহ-অন্ধকার হইতে তোমার শুভ্র বিমল জ্যোতির নিকটে লইয়া যাও । বাহিরের অন্ধকার হইতে আমি কিছুমাত্র ভীত নহি, আমি আপনার অন্তরের অন্ধকার হইতে বড়ই ভীত হইতেছি । বাহিরের অন্ধকার দূর করিবার জন্য তুমি চন্দ্রসূৰ্য্য দিয়াছ, এমন কি, ঘোর অমানিশারও অন্ধকার, অসীম আকাশে অগণ্য গ্ৰহ নক্ষত্র তোমারি আদেশে দূর করিতে থাকে। কিন্তু অন্তরের অন্ধকার দূর করিবার সামর্থ্য গ্ৰহনক্ষত্রের নাই, চন্দ্রেরও নাই, সূর্য্যেরও নাই ; একমাত্র জ্যোতির জ্যোতি, তুমি ভিন্ন সে অন্ধকার আর কেহই দূর করিতে পারিবে না । তুমি আমাদের চিরন্তন ব্রহ্ম, তুমি আমাদের গৃহদেবতা, তুমি আমাদের অন্তরের দেবতা ; তুমি আমাকে দেখা দাও, তোমার অনন্তজ্ঞানের, পূর্ণজ্যোতির কণামাত্র দিয়া আমাকে মৃত্যু হইতে রক্ষা কর । মৃত্যু হইতে আমাকে অমৃত স্বরূপে লইয়া যাও । আমরা প্রতি মূহুর্তেই মৃত্যুর পথে অগ্রসর হইতেছি ; প্রতি মূহুর্তেই আমাদের শরীরের ক্ষয় হইতেছে ; কিন্তু তুমি জগতের মঙ্গলময়ী চির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছ জানিয়া আর এই শরীরের মৃত্যুকে বিন্দুমাত্রও ভয় করি না। আমি যেমন مه - سمسمحميمس صيام بتحميض - - অজ্ঞান হইতে ভীত হই, সেইরূপ আত্মার মৃত্যু হইতে অতিমাত্র ভীত হই। যখন দেখি যে তুমি আমাদিগের আত্মার স্বাধীন ইচ্ছা দিয়াছ এবং যখন দেখি যে তুমি আমাদিগকে তোমার পবিত্র স্বরূপের নিকট যাইবার অধিকার ও ক্ষমতা প্রদান করিয়াছ, তখনই ভয়েতে ব্যাকুল হইয়। পড়ি, তখনই হৃদয় কম্পিত হইয়া উঠে যে কি গুরুতর ভারই আমাদের মস্তকের উপরে ন্যস্ত রহিয়াছে। কতবার হৃদয় এই স্বাধীনতার ভাব হারাইয়া ফেলিয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুস্বরূপ রিপুগণের সহিত সংগ্রাম করিতে করিতে পরাস্ত হইয়া মৃত্যুর ক্রীতদাস হইয়। পড়িয়াছে। আজ যখন সেই কথা ভাবি, আজ যখন দেখি যে, আমরা অমৃতের পুত্র হইয়াও, অমৃতের দ্বার মুক্ত দেখিয়াও না বুঝিয়। মৃত্যুর সহিত ক্রীড়া করিয়া কত সময় বৃথায়ই অতিবাহিত করিয়াছি, তখন হৃদয় আর থাকিতে পারে না—প্রাণ কাদিয়া উঠে । হে অমৃতস্বরূপ, এখন আর কাহার নিকটে যাইব ! তোমারি চরণে আসিয়াছি ; তুমি সঞ্জীবনী সুধা দ্বারা আমাকে সঞ্জীবিত কর । আমার হৃদয়ে এমন বল প্রেরণ কর যে, আর কখনও যেন মৃত্যুর প্রলোভনে না পড়ি, সৰ্ব্বদাই তোমাকে চক্ষের সম্মুখে রাখিতে পারি, এবং তোমার নাম জগতে প্রচার করিয়া যাহাতে তামার ন্যায় অন্যান্য সকলকেও মৃত্যুপাশের বন্ধনক্লেশ দেখাইয়া দিয়া মৃত্যুপাশ হইতে মুক্ত করিতে পারি, এরূপ ক্ষমতা প্রদান কর । অামার শরীর মন অt"াকে নিবব্যাধি কর। আমার প্রতি শুভ আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ।