পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चऽयं इfब्रर्थ s४१७ উপদেশ S86 শ্ৰীমৎ প্রধান আচাৰ্য মহাশয়ের উপদেশ। তৃতীয় উপদেশ—অন্নময়কোষ । (২৫ সে কান্ধন,১৮১২ শক, ৬১ ব্রাহ্ম সম্বৎ, রবিবার কৃষ্ণত্রয়োদশা।) যখন দেশ ছিল না, কাল ছিল না, তখন সেই অনাদি সনাতন ব্রহ্ম অাপনার সৌন্দর্য্যে আপনিই মগ্ন ছিলেন । সে ভাব কে বুঝিবে ? জগতে যে কিছু র্তার শক্তি—প্রাণ, মন, জ্ঞান প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা হইতেই আমরা যতটুকু বুঝিতে পারিয়াছি । তিনি আপনার সোঁ.ন্দর্য্যে আপনিই মগ্ন ছিলেন; সে সৌন্দর্য্যের ভাব—তিনি আপনার জ্ঞানে, আপনার প্রেমে, আপনার মঙ্গলভাবে পূর্ণ ছিলেন । আপনার জ্ঞান, আপনার প্রেম, আপনার মঙ্গলভাব তিনি আপনিই জানিতেছেন । এই সৌন্দর্য্যের কণামাত্র জগতের সমস্ত শোভা সম্পাদন করিয়াছে । তার সেই যে মঙ্গলভাব, তাহাতে মঙ্গল ইচ্ছার যোগ আছে । তিনি আপনার মঙ্গল ইচ্ছ। আপনি নিত্যই জানিতেছেন । যখন অপরের সকল ইচ্ছা বুঝিতে পারি না, তখন র্তাহার সমস্ত ইচ্ছা জানিব কি প্রকারে ? তার সেই মঙ্গল ইচ্ছার পরিচয় এই জগৎ ; এই জগতেই বুঝিতে পারিতেছি যে র্তাহার ইচ্ছা কিরূপ । এই জগৎ সংসার দেখিয়া তার জ্ঞান যতটুকু বুঝিতে পারি, তাহার পর ভাবি যে, আরও কত জ্ঞান আছে । এই জগৎসংসার দেখিয়া তার জ্ঞান উপলব্ধি করি । প্রেম এই জগতের কোন স্থানে না আছে ? জগতই তার প্রেমের পরিচয়, র্তার মঙ্গলভাবের পরিচয় । আমরা জ্ঞা নের দ্বারা জানিতেছি যে তিনি জ্ঞানে পূর্ণ; | আবার তাহার সেই জ্ঞানের কার্য্য প্রত্যক্ষ দেখিলাম—পরীক্ষা করিয়া দেখিলাম যে এই সমস্ত জগৎ আমারই দেবতার জ্ঞান প্রকাশ করিতেছে । এইখানে জ্ঞান ও প্রত্যক্ষে মিলিয়া গেল । মঙ্গল ইচ্ছার পরিচয় এই জগতেই রহিয়াছে। যতটুকু জানিতে পারিয়াছি, তাহাতো পারিয়াছি ; আর যতটুকু জানিতে পারি নাই, তাহ তিনি আপনিই জানেন । র্তাহর ইচ্ছার পরিচয় এই যে, স্বষ্টির সময়ে তিনি আকাশে আপনার শক্তি প্রকাশ করিলেন, র্তাহার যে শক্তি র্তাহাতে ছিল, তাহার কতক অংশ তিনি এই অসীম আকাশে বিস্তুত করিয়া দিলেন । ইহাই র্তাহার ইচ্ছ। । তিনি আপনার শক্তি আকাশে ব্যাপ্ত করিয়া দিয়াছেন । সেই যে শক্তি—সেই এই জড় জগৎ, এই জড় জগৎ আকাশে রহিয়াছে । জড় জগতের প্রথম গুণ দুইটি—বিস্তৃতি ও বাধকতা (Extension and resistance); so go go জড় জগতের সঙ্গে ওতপ্রোত হইয়া রহিয়াছে। ঈশ্বর জড়জগতের এই দুইটী বিশেষ গুণ ব্যতীত আরও যে পাচটী অবাস্তর গুণ দিয়াছেন–রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ, তাহাও আশ্চৰ্য্য। জড় জগৎ তার ইচ্ছাতেই এই পাচ গুণ পাইয়াছে, তিনিই সব দিয়ে দিয়েছেন । রূপ—অবয়ব সকল দেখ, কি সুন্দর । আদি সৌন্দর্য্য তাহাতে আছে, তাহার সেই সৌন্দর্য হইতেই এই সমস্তই মৃন্দর হইয়াছে। ফুলেতে ছোট ছোট কেশর অাছে, তাতে কি রকম আশ্চৰ্য্য গন্ধ রহিয়াছে। এই যে জগৎ, সেও তাহার সেই অসীম শক্তি পায় নাই, সে শক্তি র্তাহাতেই পূর্ণরূপে রহিয়াছে— ইহাই তাহার মহিমা । তাহার শক্তি হইতে জড়জগৎ হই