পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ס כשג ידrtfבס ঐচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ Է(Տ আমার বিবেচনায় জীবে দয়াই সর্বশ্রেষ্ঠ সদাচার। সনাতন বলিলেন, তবে কেন তাহা হয় না ? তখন রূপ এই বাক্যের তাৎপর্য্য হৃদয়ঙ্গম করিয়া জীবকে আহবান করিলেন, এবং স্নেহসহকারে ছলছল নয়নে আলিঙ্গন করিয়া পুনগ্রহণ করিলেন । জীব ও গুরুপদে শত শত প্রণাম করিয়া কৃতাৰ্থ হইলেন। y রূপ বৃন্দাবনে আগমন করার পর অতি কঠোর ব্রত অবলম্বন করিয়াছিলেন। কোন দিন অনাহারে কাটাইয দিতেন, কোন দিন সামান্য দুগ্ধপান করিয়া জীবন ধারণ করিতেন । সনাতন ইহা অবগত হইয়া এক দিন অনুযোগ কয়িয়া রূপকে বলিলেন, তুমি অনশন থাকিয় কৃষ্ণকে কেন দুঃখ দাও, মাধুকরী ভিক্ষা দ্বারা উদর পূর্ণ কর । তদনুসারে রূপ ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেন । প্রথমতঃ রূপ নিজে রন্ধন পূর্বক ভোজন করিতেন, পরে সনাতনের আদেশে স্বপাক ভোজন পরিত্যাগ করেন । তৎকালে মহানুভব আকবর সা দিল্লীর সম্রাট ছিলেন । তিনি সনাতনের মহত্ত্ব ও সাধুতার বিষয় অবগত হইয় তাহার দর্শন প্রত্যাশায় বৃন্দাবনে আইসেন। বিরক্ত বৈরাগী সন্ন্যাসীর পক্ষে রাজদর্শন অবৈধ জ্ঞান করিয়া প্রথমতঃ সনাতন আকবরের সহিত কথা কহেন নাই। পরে আকবর সাকে ঈশ্বর-পরায়ণ ভক্ত জানিয়া সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আলাপ করেন। সনাতনের কোন আকাঙ্ক্ষণ থাকিলে তাহ পূরণ করিবেন আকবরের এই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু নিঃসঙ্গ বীতস্পৃহ ভগবৎপ্রেমিক বৈরাগীর কামনা পূর্ণ করা সম্রাটের সাধ্যায়ত্ত নয়। ভগবৎচিন্তাতে হৃদয়মনকে নিমগ্ন করিয়া সাধুরা যে নিৰ্ম্মল শান্তি ও শাশ্বত সান্দ্রানন্দ সম্ভোগ করেন, তাহ পৃথিবীর অতীত বস্তু । ভক্তের হৃদয় যে পিপাসায় পিপাসিত পৃথিবীর পঙ্কিল বারিতে তাহ নিবারিত হইবার নহে । জল স্থল অন্তরীক্ষ বিশ্বচরাচরের একমাত্র স্বষ্টিকর্তা ও পালয়িতা প্রেমময় পরম পিতাকে হৃদয়সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়া সাধক ভক্ত উদ্ধে চন্দ্র সূৰ্য্য-গ্রপ-নক্ষত্ৰ-খচিত অনন্ত নীলাকাশ এলং নিক্ষে সসাগর সকানন। কুসুমকুন্তল ধরণ এই বিপুল বিশ্বস্বষ্টিতে ও আপনার মানস-পটে প্রেমস্বরূপ পরমেশ্বরের অনন্ত সৌন্দর্য্য ও অনিৰ্ব্বচনীয় মহিমা এবং দীপ্যমান মঙ্গলভাব অবলোকন করত যে সুগভীর আনন্দার্ণবে আপনাকে নিমজ্জিত করেন, তাহার সহিত পার্থিৰ কোন আনন্দের তুলনা হইতে পারে ? কোন আর্য্য ঋষি বলিয়াছেন, "নিস্তবঙ্গে ইতিগম্ভীর; সান্দ্রীনন্দ সুধার্ণবঃ। মাধুর্য্যৈকর।সাধার এক এবাস্তি সব্বত: ॥” ঈশ্বর নিস্তরঙ্গ অতি গম্ভীর নিবিড় আনন্দস্বরূপ স্থধার সমুদ্র এবং মাধুর্য্য রসের একমাত্র আধার। র্যাহারা সেই সুধীসমুদ্রে অবগাহন করিয়াছেন, এবং সেই প্রগাঢ় মাধুর্য্য রসের বিন্দুমাত্র ও আস্বাদন করিয়া আপ্তকাম হইয়াছেন, তাহাদের আর কোন কামনা অবশিষ্ট ও অপূর্ণ আছে যে, র্তাহারা ইতর জনের ন্যায় রাজপ্রসাদের জন্য লালায়িত হইবেন । ফান্স দেশীয় কোন ধৰ্ম্মপরায়ণ মহৎ ব্যক্তি জনকোলাহলময় নগর পরিত্যাগ করিয়া শান্তিময় বিজন পল্লীতে বাস করিতেন । সম্রাট লুই ফিলিপ তাহার ধাৰ্ম্মিকতাতে মুগ্ধ হইয়। র্তাহাকে দর্শন করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে সেই সাধু পুরুষ বলিয়াছিলেন, আমি রাজপ্রাসাদে গমন করিলে হতবুদ্ধি ও অপ্রস্তুত হইয়া যাইব,আর রাজা