পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

α-μα (S আমার কুটীরে আসিলে কষ্ট অনুভব করিবেন, অতএব যিনি যেখানে আছেন, তিনি সেই স্থানেই থাকুন, ইহাই সৎ পরামর্শ । দিগ্বিজয়ী আলেকজান্দার কোন সময়ে গ্রীকদেশীয় সন্ন্যাসী দায়োজিনিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে গিয়া রাজগৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত হইয়া বলিয়াছিলেন, “তুমি আমর নিকটে কি প্রার্থনা কর ?” দ’য়োজিনিস তখন রৌদ্র সেবন করিতেছিলেন । তিনি বলিলেন, তোমার নিকটে আমার কিছুই প্রার্থনা নাই, তুমি মৎসমীপে ইবার ব্যাঘাত হইতেছে, অতএব তুমি তাহা হইতে বঞ্চিত করিও না । আরব দেশের কোন মুসলমান তপস্বীর আশ্রমে সেই দেশের বাদসাহ সমাগত হইয়া তপ- | স্বীকে বলিয়াছিলেন, আপনি আমার কাছে কি প্রার্থনা করেন ? তৎশ্রবণে সাধু তপস্বী গম্ভীর স্বরে ব্যক্ত করিয়াছিলেন, “তোমার নিকটে আমার আর কোন কামনা নাই, কেবল এই প্রার্থনা, তুমি আমার সম্মুখ হইতে চলিয়া যাও এবং আর কখনও আসিও না ।” আমাদের ভক্ত সনাতনও আকবরকে বলিয়াছিলেন আমার কিছুই আকাঙ্ক্ষা নাই । শেষে সম্রাট নির্ববন্ধ সহকারে পুনঃ পুনঃ অমুরোধ করাতে সনাতন বলেন, যদি একান্তই আমাদের উপকার করিতে আপনার বাসনা হয়, তবে আমাদের আশ্রমের যে অল্পস্থান টুকু যমুনার স্রোতে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তাহা বান্ধাইয়। দিন। সনাতনের নিস্পৃহ শান্ত বৈরাগ্য প্রভাব, জ্বলন্ত ঈশ্বরপ্রেমিকতা ও অসাধারণ মহত্ত্ব সন্দর্শন করিয়া আকবরের গর্ব অভিমান দূর হইয়া গেল । বিনয়াবনম্র হৃদয়ে বলিতে লাগি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । se कन्न, » छात्रे লেন, “যিনি ত্ৰিজগতের নাথ পরম দুর্লভ ও দুরারাধ্য, তিনি তোমার হৃদয়ধামে সদা বিরাজমান, তুমি সেই দেবদুর্লভ মহাধনে পরমধনী হইয়াছ, আমি তোমার কোন আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করিব, আমার রাজত্বের গৌরব বৃথা অভিমান মাত্র।” যে অনম্য মহত্ত্ব, অলৌকিক ত্যাগস্বীকার, ৬ হৃদয়ের মহানুভাবত এবং পরমেশ্বরে অবিচলিত প্রেমানুরাগের ( ضعيم আত্মবিলয়কারিণী শক্তিতে মানুষ ইতি 6. হাসে দণ্ডায়মান থাকাতে আমার রৌদ্র পোহা- সনাতনের চরিত্রে তৎসমুদায় প্রচুর পরি মাণে বিদ্যমান ছিল । র্তাহারা যেন জ্ঞানসরিয়া দাড়াও, যাহা তুমি দিতে পার না, বরণীয় হইয়া থাকেন, রূপ বৈরাগ্য ভগবৎসেবার জীবন্ত প্রতিকৃতি স্বরূপ ছিলেন । পার্থিব ভোগবাসনা তুচ্ছ করিয়া কি প্রকারে পরমেশ্বরে আত্মসমপণ করিতে হয়, ধন মান পদমর্য্যাদা বিদ্যা বুদ্ধিতে মহাগৌরবান্বিত হইয়া কিরূপে প্রেমিক ভক্ত জিতেন্দ্রিয় পরোপকারী নিরভিমান অহঙ্কারশূন্য সাধু বৈরাগী হইতে হয়, রূপ সনাতন সৰ্ব্বত্যাগী কস্থা-করঙ্গ-ধারী তরুতলবাসী হইয়া তাহ দেখাইয়া গিয়াছেন । ধন মান বিদ্য৷ সকলই তাহারা পরমেশ্বরের সেবাতে উৎসর্গ করিয়াছিলেন । র্তাহাদের প্রদীপ্ত অগ্নিশিখাবৎ জ্বলন্ত রৈরাগ্য ও স্বগীয় জীবনোদগত তপস্যার পুণ্যাগ্নিতে শত শত ব্যক্তির ঘোর সংসারাসক্তি ও ইন্দ্রিয়তৃষ্ণা দগ্ধীভূত হইয়া গিয়াছে। সাধুদিগের কারুণ্যপূর্ণ স্বপ্রশান্ত পুণ্য-বারি-বিধৌত মুখমণ্ডলে যে অপূৰ্ব্ব স্বগীয় মাধুরী সমুদ্ভাসিত হয়, তাহার সংস্পর্শ মাত্রে সংকীর্ণচেত। সংসার-সৰ্ব্বস্ব ইন্দ্রিয়-সুখ-নিরত ভক্তি সহস্ৰ সহস্র ব্যক্তির মোহ-যবনিক মুহূর্ত মধ্যে উদঘাটিত হইয়া যায় । জরা ব্যাধি শোক তাপে সন্তপ্ত, বিবিধ দুনীতি ও