পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هاد اص چوبی ঐচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ >(N○ –=ञ्जन्ताढ्न পাপভারে অত্রান্ত, সংসারামোদে অাসক্তচিত্ত নরনারীর মোহাচ্ছন্ন হৃদয়ে ধৰ্ম্মের বিমল আলোক প্রতিভাসিত করাই ধৰ্ম্মাত্মা মহাপুরুষদিগের জীবনের উদ্দেশ্য । এই সময়ে রূপ সনাতন প্রভৃতি সৰ্ব্বত্যাগী উদাসীন ভক্ত বৈষ্ণবদিগের সাধু দৃষ্টান্তে ও তাহাদের মুখারবিন্দ-বিগলিত ভক্তি-রসামৃত-সিঞ্চিত উপদেশ Dৱচনাবল । শ্রবণ »ঞ্জন করিয়া কত কত ধনী সন্তান পরমার্থ রসপানে প্রমত্ত হইয়া সংসার-সুখ বিসর্জন পূর্বক পথের ভিখারী হইয়াচি- | লেন । যে কেহ ইহঁাদের পবিত্র সংস্পর্শে আসিয়াছেন, তাহারাই নবজীবন লাভ করিয়া ধন্য হইয়াছেন । শ্বাস নির্ভরশীলতা প্রভৃতি সুকোমল হৃদয়ভাবকে বিস্মৃত হইয়া কেবল শুষ্ক কৰ্ম্মবন্ধনে জড়িত ছিল, সেই সময়ে ইহঁারা শুদ্ধভক্তিরূপ অমৃত ফলের আস্বাদন করত পরবর্তী লোকদিগের জন্য গ্রন্থাকারে তাহা দান করিয়া গিয়াছেন । প্রাণময় বাক্যে প্রচার ও জীবনে পরিণত করত নীরসচিত্ত লোকদিগের হৃদয় সুমধুর ভক্তিরসে আপ্লাবিত করিয়া মধুময় হরিনাম সংকীর্তনের জয়ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন, অতীতের অন্ধকার ও কালের অাবরণ ভেদ করিয়া আজও তাহ সুদূরাগত আমাদের কঠোর চিত্তকে উন্মত্ত করিয়া তুলিতেছে। কালের পরিবর্তনে দেশের দুর্ভাগ্য বশত যদিও আমাদের দেশের বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অতিশয় হীনদশা উপস্থিত হইয়াছে, যদিও তাহারা নিৰ্ম্মল জ্ঞানালোচনার অভাববশত নানাপ্রকার কুসংস্কার অন্ধতা ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের আশ্রয় প্রমাণ প্রাপ্ত হই নাই। মাত্র ভ্রাতুপুত্র শ্ৰীজীব গোস্বামীই তাহাচারি শত । বৎসর পূর্বে র্তাহারা যে সকল অমূল্য সত্য । ா யா_ற ভূমি হইয়াছে, তথাপি পূৰ্ব্বতন বৈষ্ণবাচার্য্যদিগের অকপট সরলতা নিৰ্ম্মলপ্রেমপূর্ণ জীবন ও বৈষ্ণব শাস্ত্রের প্রেমভক্তিরসের মধুময় উপদেশ, বৈষ্ণবদিগের ধৰ্ম্মভাব ও বিশুদ্ধ ভক্তিনিষ্ঠাকে অধুনাতন নানাবিধ অসাত্বিকতা ও ভ্রষ্টাচারের মধ্যে ও কিয়ং পরিমাণে সব স ও সঞ্জীবিত করিয়া রাখিয়t.2 । অদ পি এই সম্প্রদায়ে যে পবিমাণ অহৈতুকী হরিভক্তি, আচারনিষ্ঠা হরিনাম এবণ কীৰ্ত্তনাদিতে অনুরাগ ও হৃদয়মুগ্ধকর বিনয় বৈরাগ্য দেখিতে পাওয়া যায়, অন্যৰুে তাহা অতি দুর্লভ । রূপ সনাতনের প্রাকৃত জীবন সম্বন্ধে অধিক কিছু জানিবার উপায় নাই । বৈষ্ণব যখন বঙ্গীয় জনসমাজ ভক্তি শ্রদ্ধা বি- | গ্রন্থ কৰ্ত্তারা তাহাদের আধ্যাত্মিক জীবনের ইতিহাসই বিস্ত তরূপে বর্ণন করিয়াছেন। রূপ ও সনাতনের বিবাহ ও সন্তানাদি সম্বন্ধে আমরা আজিও কোনরূপ সুনিশ্চিত বোধ হয় এক দের অতুল ধনৈশ্বৰ্য্যের উত্তরাধিকারী ছিলেন । কিন্তু তিনিও নশ্বর ধনের মায়া পরিত্যাগ পূর্বক বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া বৈরাগ্য আশ্রয় করিয়াছিলেন । রূপ গোস্বামী রাজকাৰ্য্য পরিত্যাগ করণানন্তর স্বীয় বাসভূমিতে গমন করিয়া ধনসম্পত্তি আত্মীয় কুটুম্বগণকে ও সৎকার্ষ্যের উদেশে দান করিয়াছিলেন, “চৈতন্য চরিতামৃতে” ংশীধ্বনির ন্যায় মৰ্ম্মস্থলে স্পৃষ্ট হইয়া । ইহ। লিখিত আছে, কিন্তু কোথায় তাছা দের বাসস্থান ছিল, বৈষ্ণধৰ্ম্ম অবলম্বন করার পর তাহীদের স্ত্রী পরিরারগণই ব৷ কোথায় গেলেন, ইত্যাদি বিষয় উক্ত গ্রন্থকর্তা কিছুমাত্র লিপিবদ্ধ করেন নাই । উক্ত গ্রস্থে তাহাদের জন্মবিবরণাদির ও কোন উল্লেখ নাই, তবে অস্পৃশ্য পতিত নীচ জাতি বলিয়া তাহারা যে আপনা