পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'(t8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা •० कन्न, * उान দিগকে পরিচিত করিতেন, ইহা ঐ গ্রন্থ পাঠে জানা যায়। বোধ হয় এই কারণেই অনেকে রূপ সনাতনের মুসলমানকুলে জন্ম সম্বন্ধে সন্দেহ করিয়া থাকেন। কিন্তু “চৈতন্য চন্দ্রোদয় নাটক,” “ভক্তিরত্নাকর,” “লঘুতোষণী” এবং “বৈষ্ণব তোষণী” প্রভৃতি গ্রন্থ পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ভরদ্বাজগোত্রসস্তৃত যজুৰ্বেদীয় ব্রাহ্মণবংশে কর্ণাটরাজ সৰ্ব্বজ্ঞ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি স্বীয় পুত্র অনিরুদ্ধকে রাজ্যভার আপণ করিয়া পরলোক গমন করেন। অনিরুদ্ধের দুই স্ত্রীরঃগর্ভে রূপে শ্বর ও হরিহর নামে দুই পুত্র হয়। রূপে- । শ্বর শাস্ত্রবিদ্যায় ও হরিহর শস্ত্রবিদ্যায় । ছিলেন । পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছিলেন । জ্যেষ্ঠ রূপেশ্বর কনিষ্ঠ কর্তৃক রাজ্যচু্যত হইয়া, মাতা ও স্ত্রীকে সঙ্গে লইয়া পৌরস্তাদেশে শিখরভূমির রাজার অধিকারে আসিয়া বাস করেন। সেইস্থানে তাহার এক পুত্র ভূমিষ্ঠ হয়। পুত্রের নাম পদ্মনাভ । পদ্মনাভি গঙ্গাবাস করিবার অভিপ্রায়ে গঙ্গাতীরবর্তী নবহট্ট (নৈহাটী) গ্রামে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন । ইনি জগন্নাথমৃৰ্ত্তির উপাসক ছিলেন এবং যাগযজ্ঞ ধৰ্ম্মোৎসবাদিতে পরমানন্দে কালযাপন করিতেন। পদ্মনাভের আঠারটি কন্যা ও পাঁচটি পুত্র জন্ম গ্রহণ করিয়াছিল। পুত্ৰগণের নাম পুরুষোত্তম, জগন্নাথ, নারায়ণ মুরারি ও মুকুন্দ। সর্বকনিষ্ঠ মুকুন্দের পুত্র কুমার। কুমার পরম ধাৰ্ম্মিক শুদ্ধাচারী ও নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ ছিলেন। কথিত আছে, যদি কখন দৈবাৎ যবন দর্শন করিতেন, তাহ হইলে প্রায়শ্চিত্ত না করিয়া সেদিন আর অন্নজল গ্রহণ করিতেন না। ইনি অতিশয় নিরীহ প্রকৃতির লোক ছিলেন এবং জ্ঞাতিবর্গের অন্যায় ব্যবহারে উদ্বিগ্ন হইয়া । w two নবহট্টের বাস পরিতfগ পূর্বক পূর্ববঙ্গের বাকলাচন্দ্রদ্বীপে (আধুনিক বাকরগঞ্জ) গিয়া বাস করেন । যাতায়াতের সুবিধার নিমিত্ত যশোহরের অন্তর্গত ফতোয়াবাদ নামক গ্রামে দ্বিতীয় বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়াছিলেন। কুমার দেবের অনেকগুলি সস্তান হইয়াছিল, তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ সনাতন, মধ্যম রূপ কনিষ্ঠঙ্কল্লভ বা অনুপম বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে খ্যাতি লাভ করিয়াছেনশশুরুপ ও সনাতন বাল্যকালেই নানা বিদ্যাতে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । সার্বভৌম ভট্টাচার্য্যের সহোদর বিদ্যাবাচস্পতির নিকটে সনাতন গোস্বামী যথানিয়মে শ্রীতি স্মৃতি প্রভৃতি বিবিধ শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াবৈষ্ণবতোষণী ও দশম টিপ্পনী গ্রন্থে সনাতন স্বীয় গুরুর উল্লেখ করিয়াছেন । রূপ সনাতনের বৈষয়িক বুদ্ধিও বিশেষ প্রখরা ছিল, বঙ্গেশ্বর গৌড়াধিপতি হুসেন সাহা তাহাদের বিদ্যা বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া সনাতনকে সচিবের পদে ও রূপকে প্রধানতম রাজকার্ষ্যে নিয়োজিত করিয়াছিলেন । এই সময়ে ইহঁার রাজ কার্য্যোপলক্ষে গৌড় রাজধানীতে আসিয়া তৎসন্নিহিত রামকেলি গ্রামে বাস করিয়াছিলেন । রূপ সনাতনের পার্থিব জীবন বৃন্দাবন ধামেই নিঃশেষিত হয় । চৈতন্যদেবের অন্তৰ্দ্ধানের ঠিক কত দিন পরে রূপ ও সনাতনের পরলোকপ্রাপ্তি হয়, তাহ আজিও অসংশয়িত রূপে প্রতিপাদিত হয় নাই । মহানুভব কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর “শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত” গ্রন্থ রচনা ১৫৩৭ শকে ধ্রু সম্পূর্ণ হয়, তৎকালে কেবল জীব গোস্বামী মাত্রই জীবিত ছিলেন।

  • “শাকে সিন্ধগ্নি বাণেনো জ্যৈষ্ঠে বুন্দাবনাস্তরে।

স্বৰ্য্যাহেইসিত পঞ্চম্যাং গ্রন্থোইয়ং পূর্ণতাং গত: ”