סיי שצ היהןStsהס আলস্য S6o(የ | - ம்_து প্রায় চারি শত বৎসর অতীত হইল রূপ সনাতন এই জরা-মরণ-পাপ-তাপ সস্কুল মর্ত্যভূমি অতিক্রম করিয়া অমরধামে যাত্রা করিয়াছেন, কিন্তু তাহাদের মহৎ জীবনের অত্যুজ্জল দৃষ্টান্ত সকল আজও শত শত ব্যক্তির জীবনকে ধৰ্ম্মপথে পরিচালিত করিতেছে, শত শত ভোগ বিলাসপরায়ণ ধৰ্ম্মহীন মানরের প্রাণে বৈরাগ্য ও ভগবৎপ্রেম উদ্দীপ্ত করিয়া তুলিতেছে । র্তাহীদের পবিত্র নাম উচ্চারিত হইবামাত্র হৃদয় ইতর সুখেচ্ছ বিস্মৃত হয় এবং বৈরাগ্য ও ভগবৎপ্রেমরসে অভিষিক্ত হইয়া উঠে । পুণাপাপদশী প্রেমময় পরমেশ্বরের চরণে কোটি কোটি প্রণাম করিয়া এই পুণ্যশ্লোক সাধু ভ্রাতৃদ্বয়ের পুণ্যকাহিনী আমরা এই স্থানেই উপসংহৃত করিলাম ।* আলস্য । আলস্য আমাদের দূষিত বিলাসের একটা অঙ্গ । ইহা অামাদিগের নিজদোষে উৎপন্ন হয় । পাপাচারজনিত ক্লান্তি— হতাশ—শিথিলতা হইতে ইহার জন্ম । যাহার কায়মনোবাক্যে পরিশুদ্ধ থাকিবার চেষ্টা করেন, আলস্য র্তাহাদের ত্রিসীমায় স্থান পায় না। আলস্য জীবনের মলিন শিথিল আবেশ ; ইহার অধীন হইলে এমন উৎকৃষ্ট মানবজন্ম কি
- অশুদ্ধ-শোধন ।
বিগত ভাদ্র মাসের তত্ববোধিনী পত্রিকার ৮২ পৃষ্ঠার ২য় স্তম্ভের ১ম পংক্তির "লীলা’ এই শব্দের পর ‘ ও দ্বারক লীলা’ এই টুকু সংযোজিত হইবে । এবং ৮৩ পৃষ্ঠার টাকার ২য় স্তম্ভের ২য় পংক্তির ‘ব্রহ্মধামে’ এই শব্দের পরিবর্তে "ব্রজধামে’ হইবে ও ১০ম পংক্তির ‘ব্ৰহ্মলীলা’ এই শব্দের পরিবর্তে ‘ব্রজলীলা হইবে । কুৎসিত নরক সমান হয় ! সৌন্দর্য্য মাধুর্য্য ইহার স্পর্শে নীরস নিম্প্রভ হইয়া যায়,—জাগ্রত হইতে পায় না। প্রাণহীন চেতনায় আলস্য সমুদয় আলিঙ্গন করে । ইহার বশীভূত জন সেই আলিঙ্গন-জনিত মধুর মোহে বিভোর হইয়া থাকেন, জগতের বিশুদ্ধ গভীর স্থির সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করিতে পারেন না । শ হ উপলব্ধি করিতে গেলে আমাদের তান্তরে রীতিমত ধীরভাবের প্রতিষ্ঠা চাই, কিন্তু অলস জনে তাহা নাই ; তিনি বাহিরে দেখিতে ধীর, বাস্তবিক তিনি একজন চঞ্চলধৰ্ম্মী ; তিনি অল্প কোলাহলেই অন্তরে অন্তরে ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠেন, সংসারের গুরুভার নীরবে বহন করা তাহার পক্ষে দুরূহ ব্যাপার । সংসারের গুরুভার বহিতে গেলে সদা-সর্বদা ধৈৰ্য্যোমুখ হইয়া থাকা অt বশ্যক ; আলস্য লইয়া সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করা ঘোর বিড়ম্বনা । আলস্য ধৈৰ্য্যের ভাণ, ভণ্ড ধৈর্য্য। আলস্য ও ধৈর্য, উভয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ বিদ্যমান। ধৈর্য্য বাহিরে দেখিতে নীরব, যেন অলসমূৰ্ত্তি, কিন্তু ভিতরে তাহার কঠিন শ্রমসহ ভাব, ভিতরে তাহার কার্য্যের স্রোত অনবরত অদৃশ্যভাবে প্রবাহিত হয় ; ইহ। ধরণী সদৃশ ; ধরণীর ন্যায় ইহা ধারণগুণযুক্ত—কার্য্যকরী ; ধরণী যেমন স্থাবর জঙ্গম পদার্থসমূহকে বক্ষে ধারণ করিয়া, এবং স্বীয় কেন্দ্রের চতুর্দিকে পরিভ্রমণ পূর্বক, সূর্য্যের চারিধারে পুনরায় নীরবে অদৃশ্যভাবে প্রদক্ষিণ করিয়া আসে, সেইরূপ ধৈৰ্য্য ও দুঃখ শোক সন্তাপকে বক্ষে ধারণ করিয়া আপনার চতুর্দিক পৰ্য্যবেক্ষণ পূৰ্ব্বক বিষয়ের কোলাহলময় সংসারের চারিধার পর্য্যবেক্ষণ করিতে সমর্থ। ধৈৰ্য্যের এইরূপ
