পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षऽयं श्ाग्नशं ४'*१७ கர்- ை _ _கா_ ல்ம = ==? -- --ജ== =ബ് == আলস্য Ꮪ☾Ꮔ

=

শোক, কত দুর্দশা । যে অলস তাহার এ জগতে রক্ষা পাওয়া ভার, সমস্ত জড় প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত যেন উপহাস-নেত্রে তাহাকে দেখে ; সমস্ত প্রকৃতি একস্বরে আলস্যের প্রতিবাদ করিতে যেন প্রস্তুত । বিশ্বের মাঝে কিছুই অলস হইয়া বিশ্রাম লাভ করিতে পায় না, অষ্টপ্রহর কৰ্ম্মের পরিবর্তন আবর্তন চলিতেছে, আদান প্রদানের তুমুল আন্দোলন চলাচল ক্রমাগত হইতেছে ; নিঃশ্বাসের সময় জীবের বায়ু হইতে স্বভাবতঃ অম্লজান লইয়া অঙ্গার জান পরিত্যাগ করে, উদ্ভিদের পুনরায, রৌদ্রের প্রভাবে, অঙ্গারাংশ গ্রহণ-পূর্বক অম্লজান ত্যাগ করে । এইরূপ সংসারে সকলই কাজে পরিপূর্ণ, সকল পদার্থই কার্য্যগত প্রাণ হইয়া পরম্পর পরস্পরের অভাবমোচনে রত ; অনাবশ্যক বলিয়া কোন পদার্থকেই অবহেলা করিতে পারি না । আবশ্যকের পর আবশ্যক প্রতিমুহূর্তে নিনাদিত হইতেছে, কৰ্ম্মসংগ্রামে জীবগণকে অবিরাম জাগাইয়া রাখিতে চেষ্টা করিতেছে, এই অবিরাম জাগরণে ক্ষুদ্র যাহা মহৎ হইয়া পড়িতেছে ; মহৎ হইতে বাসনা করিলে বসিয়া থাকিলে চলিবে না, কাজের পর কাজ চাই ; কাজের পর কাজ হইয়া মহৎ ব্যাপার সমূহ সম্পন্ন হয় ;—এই বায়ু রাজ্যের অম্লজান ও অজান নামে দুই বায়বীয় পদার্থের পরস্পর সম্মিলনে জলীয় বাষ্প হইয়াছে, অ|वांद्र cनझे बांw घनौङ्कङ श्ध्ना खल श्য়াছে, পুনরায় সেই জল হইতে নদনদী সমুদ্রের উৎপত্তি হইয়াছে । পুনশ্চ এই নদনদীসিন্ধু-পরিব্যাপ্ত, তৃণতরুলতা ফলপুষ্পময়, নানাজীবসমুচ্চয়ে পরিপূর্ণ হইয়া এরূপ উন্নত আকার ধারণ করিতে পৃথিবীর যুগযুগান্তর গিয়াছে। এই হেতু এই | দেখিতে পাই, আমাদের সময় বিন্দুমাত্র আলস্যে ক্ষেপণ করিলে আমাদের মহা ক্ষতি ;—বিন্দুমাত্র সময় আমাদের কতখানি অবসর ! কতপানি জীবন তাহাতে লাভ করা যায়। র্যাহারা বড় লোক বলিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছেন তাহারা ফাকতালে বড় লোক ছন নাই, অবিশ্রান্ত অনলস ভাবে কাজ রিয়া বড়লোক হইয়াছেন। রোমদেশীয় ধাৰ্ম্মিক প্রবর বিজ্ঞ সেন্সর কেটে একদিন অলসভাবে কাটাইবার দরুন সাতিশয় ক্ষুব্ধ হইয়াছিলেন । বীর নেপোলিয়ন, যিনি ইউরোপের আধুনিক অবস্থার মুখপত্রস্বরূপ, তাহার জীবনী পাঠ করিলে কি দেখিতে পাই ? দেখিতে পাই, আলস্য র্তাহার চরিত্রকে আয়ত্ত করিতে সক্ষম হয় নাই ; তিনি যখন যুদ্ধক্ষেত্রে কার্য্য করিতেন তখন এক মুহূৰ্ত্তও আলস্যে অতিবাহিত করিতেন না, চিন্তিত মনে চতুর্দিক পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন, পরীক্ষা অধ্যয়ন অভ্যাসে সতত মনোভিনিবেশ পূর্বক, সময়কে যুদ্ধের কলকোঁশলে একেবারে ছাইয়া রাখিতেন, তাই র্তাহার যুদ্ধে সত্ত্বর জয়লাভ হইত, অল্পবলে শতগুণবলকে পরাভূত করিতেন। অনালস্য র্তাহার জয়লাভের প্রধান বল স্বরূপ ছিল । তিনি অনালস্য মন্ত্রে আপনাকে আপনি দীক্ষিত করিয়াছিলেন, বিন্দুমাত্র সময় সহজে কাহাকেও দিতেন না, সময় যে অমূল্য পদার্থ তাহ। তিনি বেশ বুঝিতেন, তাই তাহার প্রায় কথায় কথায় জয় হইত ; যেখানে তাহার পরাজয় হইয়াছে সেখানে তাহা ঘটিয়াছে প্রায় কেবল র্তাহার অন্যান্য কৰ্ম্মচারীর আলস্য দোষে; আর তাহার সময়ের নিয়ম প্রণালী বন্দোবস্ত র্তাহার কৰ্ম্মচারিদিগের মধ্যে কেহ যে কারণেই হউক, তেমন ধারণ