পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ND8 - - * - سد كعكقصاص- ص.مم-صصد" * - * =on osmos------- হইয়া উঠে না ? ব্রহ্মপ্রীতি নিয়তই ব্ৰহ্মজ্ঞানের অনুগামী । ক্রমে যখন সাধক জ্ঞানমার্গ ও প্রীতি মাগের সন্ধিস্থল হইতে আরও উন্নত হ ইতে থাকেন, তখন তিনি কৰ্ম্মমাগের । মুখে আসিয়া উপস্থিত হয়েন । যাহাকে প্রিযকাৰ্য্য, তাহ। সম্পাদন না করিয়া আমি কি থাকিতে পারি ? শুধু কি মুখে বলি অামি ব্রহ্মেতে প্রীতি স্থাপন করিয়াছি ? প্রীতির নিদর্শন কোথায় ? ব্রহ্মপ্রীতি হৃদয়ে আসিলেই আমরা দুইট কার্য্য না করিয়া থাকিতে পারিব না। — প্রথম তাহার অপ্রিয়কাৰ্য্য পরিত্যাগ, দ্বিতীয় তাহার প্রিয় কার্য সাধন । যদি তাহার অপ্রিয় কাৰ্য্য সকল পরিত্যাগ না করি,তাহা হইলে স্পষ্টই বুঝিলাম যে এখনও হৃদয়ে ব্রহ্ম প্রীতি আসিতেই পারে নাই। আবার যদি র্তাহার প্রিয় কার্য্য সাধন না করি, তাহ হইলেও বুঝিলাম যে তাহার প্রতি প্রীতির উপযুক্ত কাৰ্য্য করিলাম না, অতএব সৰ্ব্বাঙ্গীণ প্রীতি এখন ও হৃদয়কে আয়ত্ত করিতে পারে নাই। পরম স্নেহময় পিতার অনিমেয় নয়ন সৰ্ব্বদা জাগ্রত থাকিয়া সন্তানগণের মঙ্গল-সাধন করিতেছেন ; আমাদেরও কৰ্ত্তব্য যে আমরা সাধনের উদেশে শুভ কৰ্ম্মে রত থাকি । আমাদিগের অলসভাবে কালযাপন করিলে চলিবে না । জ্ঞান, য়াছে। এই ধৰ্ম্মপথের নেতা স্বয়ং ঈশ্বর । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক नl । প্রীতি ও কৰ্ম্মের ত্রিবেণী- ; সঙ্গম হইতে এক সরল ধৰ্ম্মপথ চলি- | >9<叫,》g;臀 “भश्ान् थङ्कटे পুরুষঃ সত্ত্বস্যৈষ প্রবর্তক: | সুনিৰ্ম্মলামি भfए শান্তিমীশানো জ্যোতির ব্যয়: ॥’ এই মহান পুরুষ সকলের প্রভু। এই জ্ঞানজ্যোতিঃস্বরূপ অনন্ত ঈশ্বর স্বনিৰ্ম্মল৷ শান্তির উদেশে ধৰ্ম্মের প্রবর্তক হয়েন । আমরা ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করিয়া এই আমি প্রীতি করি, র্যাহার প্রতি আমার । আী স্তরিক শ্রদ্ধা ভক্তি আছে, তাহার যাহা । সরল ধৰ্ম্মপথ হইতে বহুদূরে পড়িয়া গিয়াছি । কিন্তু তিনি স্বীয় জ্যোতিঃস্বরূপে বিরাজমান থাকিয়া আমাদিগকে বারম্বার তাহারি পথে ফিরাইয়া আনিতেছেন। লেই হয় যে, আমার ব্রহ্মজ্ঞান হইয়াছে, ' র্তাহার নিকট উপস্থিত হইবার এই ধৰ্ম্মপথ ভিন্ন আর দ্বিতীয় পথ নাই । এই ধৰ্ম্মপথ আর কিছুই নহে, কেবল জ্ঞান, প্রীতি ও কৰ্ম্মের উপযুক্ত সমাবেশ । এই জ্ঞান, প্রীতি ও কৰ্ম্মের উপযুক্ত সমাবেশবিশিষ্ট ধৰ্ম্মকে, চাই কেবল ধৰ্ম্মনামেই অভিহিত কর, কিম্বা ভাগবৎধৰ্ম্ম নামেই অভিহিত কর কিম্বা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলিয়াই বল, তাহাতে কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য ঘটিবে যে ধৰ্ম্মের নেতা স্বয়ং ঈশ্বর, সে ধৰ্ম্ম চিরকালই সত্যধৰ্ম্ম থাকিবে—তাহার বিনাশ নাই। দেখ, সেই অতি পুরাকালে যে ব্রহ্মজ্ঞান সমস্ত ভারতবর্ষকে উজ্জ্বল করিয়া রাখিয়াছিল, আজও তাহার অtস্বাদ পাইয়া আমরা কত-না আনন্দ উপভোগ করিতেছি । অামাদিগের কর্তব্য যে সেই পূৰ্ব্বতন ঋষিদিগের ন্যায় আম রাও শরীর ও মনকে সংযত করিয়া কঠোর নিরলস হইয়। র্তাহারই সংসারের মঙ্গল- ' সাধনা দ্বারা সুনিৰ্ম্মল ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে চেষ্টা করি । যতই এই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিতে সমর্থ হইব, ততই ব্রহ্মপ্রীতি হৃদয়ে জাগ্রত হইয়া উঠিবে। আবার যখন ব্রহ্মজ্ঞানে আত্মা উন্নত হইবে, ব্ৰহ্মপ্রীতিতে হৃদয় পরিপূর্ণ হইবে, তখন র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করা অতি সহজ হইয়া যাইবে—ব্রহ্মপ্রদর্শিত ধৰ্ম্মপথে চলা