পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ১৮১৩ মুখ >Nつ র্জগতেও তেমনি সুখ ও দুঃখ । “জোছনা ও যামিনীতে প্রণয় যেমন, তেমনী মিলিয়া এর রোয়েছে দৃজন” দুইট এরূপ ভাবে জড়িত যে একটর অভাবে অন্যটর পূর্ণ বিকাশ হয় না। তাই একজন কবি গাহিয়াছেন নিহি সুখং দুঃথৈবিনা লভ্যতে’ আর এক জন বলিয়াছেন ‘মুখের মুখেতে থাকে দুঃখের কালিমা,দুঃখের হৃদয়ে লগে স্থখের প্রতিমা । সুখ দুঃখে নিত্য সম্বন্ধ । দুঃখ না ভূগিলে সুখ বুঝা যায় না। অমানিশির কালকাদম্বিনী না হেরিলে শরৎশশীর পূর্ণ শোভা পূর্ণরূপে হৃদয়ে অনুভূত হয় না। যে নিরবচ্ছিন্ন স্তখের আশা করে তাহার ভাগ্যে সুখ ঘটে না । সুখের ধারণ এক এক ব্যক্তির এক এক রূপ । কেহ বলেন শারীরিক ও মানসিক বৃত্তি নিচয়ের পূর্ণ বিকাশ ও সামঞ্জস্যই হুগ । কেহ বলেন সুখ দুঃখ অভাব লইয়া যাহার অভাব আছে এবং সেই অভাব যত্ন করিলেই পূর্ণ হয় সেই সুখী । অভাব থাকাও চাই পূর্ণ হওয়াও চাই তবেই সুখ । যার অভাব যে পরিমাণে পূর্ণ হয় সে সেই পরিমাণে তুর্থী ! কেহ বলেন তামাদের হিতাহিতজ্ঞান যাহা করিতে বলে তা ছ। করিতে পারিলেই সুখ । কবি কাউপার বলিয়াছেন "সেই প্রকৃত সুখী যে ইহজীবনেই পারত্রিক সুখের খানিকটা বুঝিতে পারে, যে শান্তিময় নিভৃত জীবন যাপনেই আপনাকে সুখী মনে করে ক্ষু ফু # এবং বিশ্বাসের ফল যে পূণ্য ও পুণ্যেন ফল মে শান্তি সেই পুণ্য ও শান্তি যাহাকে সুখের জন্য প্রস্তুত করে । এfরষ্টটল বলিয়াছেন “যাহা সত্য সেই পথে জ্ঞানকৃত কার্য্যকুশলতাই go (conscious activity in the way of truth) । মনু বলেন যে স্বাধীন সেই স্বর্থী “সৰ্ব্বং পরবশং দুঃখমৃ সৰ্ব্বমাত্মবশং সুখং” । জ্ঞানভাণ্ডার বেকন বলেন সেই সুখী যাহার ‘স্বীয় পারদর্শিতানুযায়ী ব্যবসায় জুটে’ (He is thr happy man whose abilitics sort with his vocation), Cog on মনের অবিচলিত স্থৈৰ্য্যই প্রকৃত সুখ । এইরূপ সুখ সম্বন্ধে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধারণা। সুখের এই বিভিন্ন ধারণা চিরকালই থাকিবে, কেন না যাহার যেমন শিক্ষা তাহার সেইরূপ অভাব ও আকাংক্ষা এবং যাহার যে প্রকৃতির অভাব ও আকাঙক্ষ। তাহার সেই প্রকৃতির সুখের ধারণা। শিক্ষাভেদে আকাঙ্ক্ষাভেদ আবার আকাঙক্ষাভেদে সুখভেদ । বিভিন্ন জনের বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা কাজেই বিভিন্ন প্রকার সুখের ধারণা | হৃদয়-নিহিত ঐশী শক্তির অস্ফুটালোক নে একবার মাত্র অনুভব করিয়াছে সে সেই আলোকের ক্রমিক বিকাশ অনুভব করিতে না পারিলে কোন মতেই সুখী হইতে পারে না কিন্তু যে এই ঐশী শক্তি অনুভব করে নাই সে ইহার স্থখ ও বুঝে ন, এ বিমলানন্দের অভাবও বুঝে না । এইরূপ যে একবার মানসিক চর্চায় অনুরাগী হইয়াছে সে মানসিক উৎকর্ষ সাধন না করিয়া কোন ক্রমেই সুখী হইতে পারে না । পরন্ত যে কোন দিন মানসিক চর্চায় অনুরাগী হয় নাই সে ইহার সুখ ব। অভাব বুঝিতে একান্ত অসমর্থ। অজ্ঞতাই যেখানে সুখের, জ্ঞানী হওয়া সেখানে মূখতা এটা কেবল কবিকল্পন। মাত্রই। জ্ঞান-জনিত কোন অসুখ ও অজ্ঞানজনিত সুখাপেক্ষা শ্রেয়ঃ । বলা আবশ্যক যে সুখ তাতেখের সাপো প্রকার ভেদ আছে । সুখ নানা প্রকারের, অসুখও নানা প্রকারের। জন ষ্ট বাট মিল সুখ দুঃখের মধ্যে গুণভেদ আছে বলিয়া স্বীকার করেন । আমরা নিলে এসানে