পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ود v و hsة م প্রথম দেখ যে বরফ সব শ্বেতবর্ণ রহিয়াছে, ক্রমে একটুখানি হলদে বর্ণ বিশিষ্ট হইল, তাহার পরে সমুদয় বরফের ক্ষেত্র একেবারে হলদে হইয়া গেল। কি প্রকারে এই বরফ হলদে হইয়া গেল ? বরফের উপর এক প্রকার শৈবাল হয় ; এই শৈ- | উপদেশ বালের বর্ণে বরফ রঞ্জিত হইয়। গিয়াছে : ; বৃক্ষজাতির মধ্যে দেখ, প্রথমে শৈবাল । হইল । তাছার পরে তদপেক্ষা উন্নত হইল তৃণগুল্ম প্রভৃতি ; আবার তাহা হইতে উন্নত (forn প্রভৃতি) শাখাপ্রশাখাবিহীন বৃক্ষ । ক্রমে শাখাপ্রশাখাবিশিষ্ট বৃক্ষ দেখিতে পাইলাম, তাহীদের আর ফুল ফল হয় না। ক্রমে ক্রমে কেবল ফুলের গাছ হইতে লাগিল, তাহার পরে ফুলফলশোভিত অাত্রাদি বৃক্ষ দেখিতে পাই তেছি । বৃক্ষের কেমন ক্রমোন্নতি দেখি- : লাম। এই সকলেরই লক্ষ্য আছে, উদ্দেশ্য আছে ; বিনা লক্ষ্যে কিছুই উৎপন্ন হয় নাই । দেশে একরকম; গ্রীষ্ম প্রধান দেশে নারিকেল প্রভূতি সরস ফল, শীত প্রধান দেশে বাদাম পেস্তা প্রভূতি। এখানে নারিকেল কেন,ওখানেই বা পেস্তা বাদাম কেন ; তার বরফের উপরে শৈবালই বা কেন ? সকলেরই লক্ষ্য আছে । এই সকল দেখিয়া জানিতেছি যে জগতে ক্রমোন্নতি ও বিচিত্ৰতা আছে । অম্নময় কোষের মধ্যে প্রাণ চলিয়াছে। প্রাণ কি শূন্যে শূন্যে থাকিতে পারে ? অন্নময় কোষের মধ্যেই প্রাণ রহিল ; গাছের মধ্যেই প্রাণ থাকিল—পৃথক থাকিবে কি প্রকারে ? এতক্ষণ যে প্রাণময় কোষের কথা বলিয়া আসিলাম, তাহা স্থাবরের বিষয় ; এই স্থাবর পাদপ ঝড় Y S')ჯა Ra ws Ιαυ جنہـیـیـ جس = جخ= জল সহ্য করিয়া এক স্থানেই রহিয়াছে । ঈশ্বর কেমন কৌশল করিয়া দিয়াছেন, যাহাতে পাদপজাতি এক স্থানে থাকিয়াই প্রাণরক্ষা করিতে পারে। আর এই গাছের আয়ুই বা কত—আমেরিকায় একশত দুই শত বৎসরেরও গাছ অাছে । আবার প্রাণ বীজে যে থাকে, সে পড় আশ্চৰ্য্য। ছেলে এক আছে, একটু জল দিতে থাকিলেই তাহ হইতে তাঙ্কুর বাহির হইবে । এমন কি মিসর দেশীয় মমির ( mummy, বহুকালের রক্ষিত মৃতদেহ ) মধ্যে যে ধান্য প্রভূতি শস্য থাকে, তাহ জলে রাখিয়া দেখা গেল সে তাহা হইতে অঙ্কুর নির্গত হইল ; অপার সেই অঙ্কুরসহিত বীজ মাটীতে রোপণ করিয়া দেখা গেল যে তাহা হইতে ধানের গাছ হইল । একবার ভাবিয়া দেখ যে, প্রায় চারি হাজার বৎসর যে বীজ শুষ্ক হইয়া আছে, তাহা হইতেও প্রাণ বাহির হইয়া যায় প্রাণের মধ্যে বিচিত্রতাও কত দেখা । যায়। গ্রীষ্ম প্রধান দেশে একরকম,শীত প্রধান । নাই। কিন্তু এই প্রাণ স্বয়ং আইসে নাই। প্রাণ না থাকিলে, আপনাপনি যে প্রাণ আসিতে পারে না, তাহ পরীক্ষায় জানা গিয়াছে। পরীক্ষার জন্য উত্তাপের দ্বারা জল হইতে জীবিত কাটাণু ও বীজ প্রভৃতির প্রাণ নষ্ট করিয়া, বোতলের মধ্যে বদ্ধ করিয়া দুই বৎসর কাল পৰ্ব্বত-শৃঙ্গে ফে. লিয়া রাখা হইয়াছিল ; কিন্তু এই দুই বৎসর পরে বোতল খুলিয়া দেখা গেল যে, তাহাতে কোন প্রাণীর লক্ষণ দেখা যায় নাই। প্রাণ আপনি হয় না ; যখন মহাপ্রাণ হইতে প্রাণ তাইসে, তখনই প্রাণ জন্মায় ;–প্রাণের হেতু সেই মহাপ্ৰাণ । জড়ের কার্য্য প্রাণ ধারণ করা ; কিন্তু প্রাণ সেই মহাপ্রাণ হইতে আসিয়াছে । যেমন র্তাহার শক্তি হইতে অন্নময় কোষ হইল, তেমনি তাহার ইচ্ছায় প্রাণ রহিল