পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭০ অন্নময় কোষে । জড়ের এমন শক্তি নাই যে প্রাণকে প্রসব করে—তিনিই প্রাণ দিয়াছেন । র্তাহার ইচ্ছা কে বুঝিবে, যে, কেমন করিয়া প্রথম গাছ উৎপন্ন হইল—ইহা । বলিতে পারিবে ? উত্তপ্ত ভূমি যখন শীতল হইল, গাছ জন্মাইতে আরম্ভ হইল । কিন্তু প্রথম গাছ কোথা হইতে আসিল, সে র্তাহারই ইচ্ছ—সে কে বুঝিবে ? যখন পৃথিবী উত্তপ্ত ছিল, তখন ধাতু পৰ্য্যন্ত গলিয়া যাইতেছে, তখন কি গাছ থাকিতে পারে ? যখন পৃথিবী শীতল হইল, তখন তিনিই প্রথম গাছ স্বষ্টি করিলেন। প্রত্যেক বৃক্ষের কেমন আশ্চর্ষ্যরূপ আদর্শ করিয়া দিলেন যে, তাহার বীজে সেই আদর্শানুযায়ী শক্তি চিরকাল রহিল । সকলেরই আদিমূল অস্বেযণ করিতে গেলে এক ঈশ্বরের ইচ্ছা ভিন্ন অন্য কোন হেতু বুঝা যায় না । তিনি আপনার ইচ্ছ। আপনি জtনেন ; আবার আমরাও স্বষ্ট্রির কৌশল দেখিয় তাহার ইচ্ছা বুঝিতে পারি। দেখ এই জড় ও প্রাণ আলোচনা করিয়া র্তাহর ইচ্ছা ও জ্ঞানের কত পরিচয় প্রাপ্ত হইলাম । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ হরি ওঁ । حھے نہیے۔-- সঙ্গীত । সঙ্গীতের তুল্য মধুর হৃদয়গ্রাহী বিষয় আর কিছুই নাই ; সঙ্গীতে জীব হৃদয়ের সহিত বশীভূত হয়, মন্ত্রমুগ্ধ হইয়া যায়। সঙ্গীত এমনি সরস শক্তিমান যে তাহার আশ্রয়ে আমাদের বৃত্তি সকল সহজে প্রস্ফুটিত হয়, প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি উভয়ই সমভাবে পুষ্টিলাভ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা 3e कन्न, १ छोग করে। ইহা জীবের প্রতি মঙ্গলময়ের আশীৰ্ব্বাদ ৷ সৰ্ব্বকালে সৰ্ব্বদেশে ইহার বিশেষরূপ প্রভাবের পরিচয় পাওয়া যায় ; ইহা শুনিবা মাত্র ইহার ভাবের সঙ্গে হৃদয়কে টানিয়া লইয়া যায়। সঙ্গীত এ সংসারে দুঃখ শোক যন্ত্রণার উপশমের এক প্রধান উপায় ; ইহার সূক্ষ সরসতা বিদ্যুৎ বেগে জড়তা, মলিনতা দূর করে । সঙ্গীত সৰ্ব্বাপেক্ষ পুরাতন । কবিতা এত যে প্রাচীন, বোধ হয় তাহারে পূর্বে সঙ্গীত বিদ্যমান ছিল । সঙ্গীত ও কবিতার মধ্যে বেশ প্রভেদ দেখিতে পাই ; প্রথমটা যদি রস হয় তবে দ্বিতীয়ট গুড় । সঙ্গীতের অপেক্ষা কবিতায় মননের প্রভাব বেশী ; কবিতা যেন সঙ্গীতের অপেক্ষা মননের দ্বারা ঈষৎ পরিপাক লাভ করিয়াছে । কবিতার প্রধান ক্ষেত্র ভাষায়, সঙ্গীতের প্রধান ক্ষেত্র স্বরে । কিন্তু দুইটী যেন পরস্পর হৃদয়সখা ;—সঙ্গীতও কখন কবিতার সাহায্যে মধুর আকার ধারণ করে, কবিতা ও কখন সঙ্গীতের সাহায্যে মধুর আকার ধারণ করে । এই দুই সখার মধ্যে সঙ্গীত যেন ঈষৎ আশি ক্ষিত সরল, আর কবিতা যেন ঈষৎ শি ক্ষিত সরল । সঙ্গীতকে আমরা স্বরবর্ণ আর কবিতাকে ব্যঞ্জনবর্ণ কহিতে পারি। যেমন স্বরবর্ণের সাহায্যে ব্যঞ্জনবর্ণ পরিস্ফুট হইয়াছে, সেইরূপ সঙ্গীতের সাহায্যে কবিতা পরিস্ফুট হইয়াছে। সঙ্গীতও কাব্য, কবিতাও কাব্য ; সঙ্গীত স্বর-কাব্য আর কবিতা ব্যঞ্জনকাব্য—ইহ। মিশ্র প্রাণ । প্রাচীন কালে, ভারতবর্ষ যেমন সঙ্গীতের গুঢ় অনুশীলনে রত হইয়াছিল এমন কোন দেশ হয় নাই । আমাদের সঙ্গীত শাস্ত্রের সূক্ষভাবময় শ্রুতিনাদ আর রাগ