পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आए $w७७ মঠপ্রতিষ্ঠা Sb~NᏬ ، -


ব্যয়ে—এই উশর প্রান্তরে বৃক্ষাদি রোপণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন । এই উদ্যানের নির্জনত ধৰ্ম্মসাধনের বিশেষ অনুকূল । শ্ৰীমৎ মহর্ষি অনেক কাল ধরিয়া এই নির্জন কাননে ধ্যান ধারণা অভ্যাস করেন । লোকালয়ের বহুদূরে প্রশান্ত প্রান্তরস্থিত তপোবন চিরকালের জন্য মহর্মির যোগসাধন এবং তপশ্চর্য্যার সাক্ষ্য প্রদান করিবে । অাজ কয়েক বৎসর হইল মহর্ষি সৰ্ব্ব সাধারণের নির্জনে ব্রহ্মসাধনের জন্য এই শান্তিনিকেতন উৎসর্গ করিয়াছেন । এবং যাহাতে ব্রহ্মপিপাস্বমাত্রেই এখানে থাকিয়া ঈশ্বরে যোজিতচিত্ত হইতে পারেন, তাহার জন্য বিশ্বস্ত অধিকারী নিযুক্ত করিয়া তাহাদের হস্তে ব্যয় নির্বাহোপযোগী বিষয় ন্যস্ত করিয়া দিয়াছেন । মহৰ্ষির উদ্দেশ্য ইতিপূর্বে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় টষ্টউডে অর্থাৎ বিশ্বস্ত অধিকারী নিয়োগ-পত্রে প্রকাশিত হইয়াছে এবং তাহার মৰ্ম্ম ব্রাহ্মসাধারণে অবগত আছেন । শান্তিনিকেতনে নূতন ব্রহ্মোপাসনা মন্দিরের ভিত্তি-স্থাপন কার্য্য গত বৎসর সুসম্পন্ন হইয়াছিল। এত দিনে মন্দিরের নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ হইয়াছে । বিগত ৭ই পৌষ ঈশ্বরের প্রসাদে ঐ মঠপ্রতিষ্ঠার কাৰ্য্য স্বসম্পন্ন হয় । এই শুভদিনে শুভক্ষণে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিজ্ঞা পূর্বক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । এই মন্দির বিচিত্র বর্ণের কাচ ও লোঁহে নিৰ্ম্মিত । চারিদিকে প্রস্তরময় সোপানশ্রেণী। উহার পূর্বদিকে উন্নত পঞ্চ छूछ । ঐ পঞ্চ छूञ्जाब শীর্ষদেশে “ওঁ” “তৎ* *সৎ ঋতং সত্যং” এই কয়েককথা সুবর্ণীক্ষরে দীপ্তি পাইতেছে। গৃহের α-αμα ---somo- - - - - দ্বার লৌহময় । ফলত মন্দিরে দৃঢ়তা ও cनोन्नई खेउग्नई डूला झ८° ब्रक्रिङ श३য়াছে । মন্দিরের বহির্দেশ অপেক্ষা ভিতরের সৌন্দর্য্য মন প্রাণ সমধিক আকর্ষণ করে | এই মঠ প্রতিষ্ঠা কাৰ্য্য সুসম্পন্ন করিবার জন্য মহর্ষি ব্রাহ্ম সাধারণকে আহবান করিয়াছিলেন । ২ rপীল রবিবার অপরাহ্লে সকলে হাবড়া হইতে যাত্রা করিলেন । যাত্রীর সা খ্যা ৫০ জন হইবেক । সন্ধ্যার পরেই বোলপুরে গাড়ী উপস্থিত হইল । ষ্টেসনে যাত্ৰীগণের বস্ত্র ও শয্যাদি লইয়। যাইবার জন্য শকট রক্ষিত হইয়াছিল । রেলগাড়ি হইতে অবতরণ করিয়া কেহ বা পদব্রজে কেহব শকট আরোহণে শান্তি নিকেতনাভিমুখে যাইতে লাগিলেন । অনতিবিলম্বেই সকলে মহর্ষির উদ্যানে আসিয়া পৌঁছিলেন। এখানে ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সকলকে সাদরে অভ্যথনা করিলেন । পরদিন প্রত্যুষেই প্রান্তরের নির্জনত ভঙ্গ করিয়া সঙ্কীৰ্ত্তন আরম্ভ হইল। ক্রমে মন্দির প্রতিষ্ঠার নিদিষ্ট সময় আসিয়া পড়িল । সকলে একত্রে মিলিয়া বিনীত ভাবে শ্রদ্ধাভক্তি সহকারে অট্টালিকা হইতে মন্দিরাভিমুখে যাইতে লাগিলেন। বেহালা হইতে আগত কয়েক জন ব্রাহ্মবন্ধু মৃদঙ্গযোগে “প্রাণ ভরে আজ গান কর, ভবে ত্রাণ পাবে অার মাহি ভয়” গাহিতে গাহিতে অগ্ৰে চলিলেন । মন্দিরের দ্বারে আসিবা মাত্র কীর্তন থtমিল । ভক্তিভাজন ঐযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ওজস্বিতার সহিত নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠাপত্র পাঠ করিয়া মন্দিরদ্বার ভক্ত সাধকের ও উপাসকের জন্য উদ্‌ ঘাটিত করিলেন। "