পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b一8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা 2७ कछ, 5 डोज so--aro" - * প্রতিষ্ঠা পত্র । “অদ্য সর্বসাক্ষী পরম মঙ্গলালয় পরমেশ্বরের কৃপা স্মরণ পূর্বক এই শান্তিনিকেতন অtশ্রমস্থ নুতন ব্রহ্মমন্দিরের দ্বার জাতি বর্ণ অবস্থা নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর ও সকল সম্প্রদায়ের মনুষ্যগণের ব্রহ্মোপাসনার জন্য উন্মুক্ত হইল। এই শান্তিনিকেতনে অপর সাধারণের এক জন অথবা অনেকে একত্র হইয়া নিরাকার এক ব্রহ্মের উপাসনা করিতে পরিবেন । নিরাকার এক ব্রহ্মের উপাসনা ব্যতীত কোন সম্প্রদায় বিশেষের অভীষ্ট দেবতা বা পশু, পক্ষী, মনুষ্যের বা মূৰ্ত্তির বা চিত্রের বা কোন চিহ্লের পূজা বা হোম যজ্ঞাদি এই শান্তিনিকেতনে হটতে পারিবে না । কোন ধৰ্ম্ম বা মনুষ্যের উপাস্য দেবতার কোন প্রকার নিন্দা বা অবমাননা এই স্থানে হইবে না। এরূপ উপদেশাদি হইবে যাহা বিশ্বের অষ্টা ও পাতা ঈশ্বরের পূজা বন্দনাও ধ্যান ধারণাদির উপযোগী হয় এবং যদ্বারা নীতি ধৰ্ম্ম উপচিকীর্ষ এবং সৰ্ব্বজনীন ভ্রাতৃভাব বদ্ধিত হয়। কোন প্রকার অপবিত্র আমোদ প্রমোদ হইবে না । টষ্টড়ীডের উদ্দিষ্ট আশ্রম-ধৰ্ম্মের উন্নতির জন্য ট্রষ্টীগণ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় ও পুস্তকালয় সংস্থাপন, অতিথিসৎকার ও তজ্জন্য আবশ্যক হইলে উপযুক্ত গুহ নিৰ্ম্মাণ ও স্থাবর অস্থাবর বস্তু ক্রয় করিবেন এবং এই আশ্রম ধৰ্ম্মের উন্নতির বিধায় সকল প্রকার কৰ্ম্ম করিতে পারিবেন ।” অনন্তর সকলে মন্দিরে প্রবেশ পূর্বক দণ্ডায়মান হইয়া সমস্বরে অর্চনা পাঠ করিলেন। তৎপরে ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় এবং পণ্ডিত শ্ৰীঅচ্যুতানন্দ স্বামী বেদী গ্রহণ করিয়া উপাসনা কাৰ্য্য -- - স্বসম্পন্ন করিলেন । শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠা কার্য্যের উপযোগী বক্ততা করিলেন। “অদ্য আমরা এখানে এই শান্তিনিকেতনে সবান্ধবে সমাগত হইয়া সুনিৰ্ম্মল শাস্তির পরমধাম পরব্রহ্মের উপাসনা-মন্দির প্রতিষ্ঠা করিতেছি । এই শুভ অনুষ্ঠানে আমরা অামাদের আরাধ্য দেবতা সৰ্ব্বশুভদাতা বিশ্ববিধাতা পরম পুরুষ পরব্রহ্মের প্রসাদ যাচঞা করিতেছি ; সেই তাহার অমোঘ কৃপাবারি যাচূঞা করিতেছি যাহার প্রসাদে শুষ্কতরু মুঞ্জরিত হয় এবং মরু ভূমিতে উৎস উৎসারিত হয় । আদ্য আমরা সকলে মিলিয়া একান্তঃকরণে প্রার্থনা করিতেছি যে, তিনি প্রসন্ন হইয়া এই বিজন প্রান্তর মধ্যে র্তাহার আপার করুণার সাক্ষীরূপে র্তাহার এই উপাসনা মন্দির অটল ভাবে দণ্ডায়মান রাখুন ; যেন তাহার পূজার পুণ্য-প্রবাহিনী স্রোতস্বতী এখান হইতে অপ্রতিহত বেগে প্রবাহিত হইয়া স্বগীয় শান্তি সুধায় নিত্য নিত্য পৃথিবী পবিত্র করিতে থাকে । হে পরমাত্মন! এই কোলাহল-পূর্ণ সুখ দুঃখময় জগৎ সংসারে তুমিই আমাদের শান্তিনিকেতন ! তুমি সৰ্ব্বশুভদাতা— মঙ্গলের মূল প্রবর্তক ; তাই এই শুভ কার্য্যের অনুষ্ঠানে সর্বাগ্রে আমরা তোমার প্রসাদ যাচঞা করিতেছি ; তোমার এই চন্দ্র সূৰ্য্য গ্রহ তার প্রদীপিত বিশ্ব মন্দিরে এবং তোমার প্রেম-প্রদীপিত হৃদয়-মন্দিরে তোমার অনুপম সুন্দর পবিত্র মুক্তি অবলোকন করিয়া নিরুপদ্রবে তোমার প্রেমামুতরস পান করিবার মানসে এখানে র্যাহারা তৃষিত হৃদয়ে আগমন করিবেন,