পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ל צשל איזה মঠপ্রতিষ্ঠা ՏԵ-(t তোমার সর্ববসন্তাপহারী মঙ্গল-চ্ছায়া যেন র্তাহীদের সকল পাপ সকল তাপ সকল শোক দূর করিয়া দেয় এবং এই পবিত্র উপাসনা-মন্দির যেন তোমার সুবিমল প্রেম-সুধার ভাণ্ডারী হইয়া সেই দেবপূহনীয় অমৃত বারিতে অভ্যাগত ভক্তজনের অন্তরাত্মা নিত্য নিত্য পরিতৃপ্ত করিতে থাকে। তুমি প্রসন্ন হইয়া আমাদের প্রার্থনা পূর্ণ কর । ও একমেবাদ্বিতীয়ং । বেদীর পার্শ্বদেশ হইতে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী, পণ্ডিত প্রিয়নাথ শাস্ত্রী, শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নবীনকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্ততা করেন। শিবনাথ বাবুর ও নবীন বাবুর বক্তৃতা আমরা যতদূর সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি তাহ এবং প্রিয়নাথ বাবু ও ক্ষিতীন্দ্র বাবুর বক্তৃত৷ সাধারণের অবগতি জন্য নিম্নে প্রদত্ত হইল । পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর বক্তৃত। অনেক দিন হইল আমার দেশে বাসগৃহের সন্নিকটে দুই চারিজন বন্ধুর সহিত কথোপকথন করিতেছিলাম, এমন সময় এক জন বৃদ্ধ নৈবেদ্য লইয়া উপস্থিত হইল । সে কহিল যে পীড়ার সময় ভগবানকে নৈবেদ্য মেনেছিলাম, তাই অাজ নৈবেদ্য লইয়া দেবোদেশে যাইতেছি । সে অজ্ঞ স্ত্রীলোক, এমন স্থান পাইল না যেখানে ভগবানকে নৈবেদ্য দেয় । আমি বলিলাম ঈশ্বরের স্থান সৰ্ব্ব ত্রই। ঈশ্বরের স্থান তোমার হৃদয়ের ভিতরে । এইরূপ কথাবার্তার পর চিন্তা হইল সকল দেবতার স্থান আছে, কিন্তু ঈশ্বরের স্থান পাব কোথায় । তৎপরেই তিনি প্রাচীন । মহাত্মা রামমোহন রায়কে মনে পড়িল । তিনিই সর্বপ্রথমে ঈশ্বরের উপাসনা মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করেন। বর্তমানে অনু্যন ২২০ ব্রহ্মমন্দির ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হই য়াছে । আমরা এ সময়ে রাজা রামমোহন রায়ের কার্য্যের গুরুত্ব বুঝিতে পারিতেছি ন। তাহার কার্য্যের গুরুত্ব ভাবী বংশীয়ের সুস্থ স্ট অনুভব করিবে । আজিকার মন্দির শুদ্ধবুদ্ধ মুক্ত স্বভাব ঈশ্বরের পূজার জন্ম প্রতিষ্ঠিত হইল। যে মহাত্মার সাধুভাবে ধৰ্ম্মবলে এই মন্দির সুনিৰ্ম্মিত হইল, শারীরিক দৌৰ্ব্বল্য বশতঃ তিনি আজ অামারদের মধ্যে নাই ! আমি যখন তাহার সহিত ইতিপূর্বে দেখা করিতে যাই, তিনি বলিলেন, “আমি যাইতে পারিব না বটে কিন্তু আমার ছায়া তোমারদের সঙ্গে থাকিবে ।” বিষয়ী লোকেরা বলিবেন, কোথায় ব্রহ্মোপাসনা প্রচার হইতেছে ? কি আশা অবলম্বন করিয়া মহর্ষি এত দূরে এত অর্থব্যয়ে এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিলেন ? অtমরা অবিশ্বাসী ; কিন্তু এমন দিন আসিবে যখন ঈদৃশ মন্দির-প্রতিষ্ঠার সার্থকতা সকলে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবেন। বিষয়ী লোকের মনে হইতে পারে বটে, কেন এত অর্থব্যয় করি । কিন্তু যিনি ইহার প্রতিষ্ঠাত তিনি বালক নহেন, যুবা নহেন। তিনি কি অাশা অবলম্বন করিয়া এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করিলেন ? র্তাহার ইহাই বিশ্বাস যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সমস্ত ভারতের ধৰ্ম্ম হইবে । এই জন্য তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উন্নতি কল্পে প্রচুর ব্যয় করিতে বিন্দুমাত্র কুষ্ঠিত নহেন। অনেকে ব্রাহ্মসমাজের প্রতি বিদ্রুপ করেন ; ইহার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সন্দিহান হন। কিন্তু আমরা সাহসের সহিত ব