পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԵ-Տ) o ബl-=- --ബ= - - তত্ত্ববোধিনী পত্রিক 》이 관. 》 8 S MMSMS SMSMSMSAAAAAA SAAAAASAAAA _ লিতে পারি দুই দুই চার যেমন সত্য, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এদেশে প্রচার হইবে, তেমনই সত্য । বর্তমানে সমস্ত লোকের মনে অশান্তি আসিয়া পড়িয়াছে; সকলেই যেন সত্য ধৰ্ম্ম জানিবার জন্য ব্যাকুল । প্রচলিত ধৰ্ম্ম সাধারণের বিশ্বাস অণর অt কর্ষণ করিয়া রাখিতে পারিতেছে না। অামারদের এই ভারতবর্ষে চিরকালই বিরুদ্ধ শক্তি বর্তমান । যখন বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবল হইয়া উঠিল, শঙ্করাচার্ষ্য ভারতে জন্মগ্রহণ করিলেন এবং নিজ প্রতিভা-বলে বৌদ্ধধৰ্ম্মকে দেশ হইতে নির্বাসিত করিলেন । কিন্তু শঙ্করাচার্য্য যে ভাবে কৃতকার্য্য হইয়াছিলেন, অামারদের সে পদ্ধতি অবলস্বন করিলে চলিবে না । অামাদের পথে নূতন চিন্তু । তাহার পদ্ধতি বর্তমানে উপযোগী নহে । শঙ্করাচার্য্য পণ্ডিতমণ্ডলীকে তর্ক যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া স্বীয় ধৰ্ম্ম প্রচার । করিয়াছিলেন, কিন্তু বর্তমানে সাধারণ লোকে ধৰ্ম্মক্ষেত্রে যোগ দিয়াছে। এখন- । কার লোক বেদের প্রকৃত তাৎপর্য্য জানিবার জন্য সেরূপ ব্যাকুল নহে। পাশ্চাত্য জগতের বিজ্ঞানের সঙ্গে এদেশে নাস্তিকত আসিয়া পড়িতেছে। প্রাচীন কুসংস্বার ও নবীন নাস্তিকতার সঙ্গে আমাদিগকে সংগ্রাম করিতে হইবে । জগৎকে দেখাইতে হইবে যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম হইতে উভয়েরই শান্তি হইতেছে। এমন অনেক লোক আছেন তাহারা বিষয় কার্ষ্যে এমনই | ব্যতিব্যস্ত এবং সমস্ত দিন এত বিষয় চিন্তা করেন যে র্তাহাদিগকে রাত্রে ঘুমের ঔষধ সেবন করিতে হয় । এইরূপে র্তাহার। ধৰ্ম্মের ভয় পরলোকের চিন্তা মন হইতে দূর করিয়া দেন। কিন্তু যখন প্রাণ জুড়িয়া তাপ হইবে তখনই ধৰ্ম্মের দিকে লোকের মন আকৃষ্ট হইবে এবং ধৰ্ম্ম প্রচার হইবে । হইয়া আইসে । আমি একদিন প্রাতঃকালে বেড়াইতে গিয়া দেখি, এক পশুর মৃতদেহের উপরে দুই একটি পার্থী বসিয়াছে। প্রত্যাবর্তনের সময় দেখি ৫ ৭টি পার্থী জমিয়াছে । বৈকালে গিয়া দেখি ৪০ । ৫০টি পার্থী আসিয়াছে । যাহারা প্রথমে আসিয়াছিল, তাহারা কিছু অপরগুলিকে সংবাদ দিতে যায় নাই। শেষের পার্থীগুলি ভাবিল, যখন প্রথমাগত পার্থীগুলি মৃতদেহে বসিয়া রহিয়াছে, তখন অবশ্যই তাহারা কিছু পাইয়াছে, এই জন্য তাহারা আপনা হইতে আসিল, তাহাদিগকে আর সংবাদ দিতে হয় নাই । ব্ৰহ্মনামে পাপ যন্ত্রণ চলিয়া যায়, আরাম ও শান্তি হৃদয়ে আবিভূত হয় ; তৃষিত উদ্বিগ্ন ও ভারাক্রাস্ত হৃদয় শীতল ব্রহ্মোপাসনাকে সকলে গৃহে প্রতিষ্ঠিত কর। তদ্ভিন্ন কোন মতেই জয় যুক্ত হইতে পারিবে না। কতকগুলি লোক নদীর ধারে দণ্ডায়মান হইয়া অপর সকলকে পারে যাইবার জন্য আহবান করিতেছে । কিন্তু যাহারা ডাকিতেছে, তাহার। নিজে নেীকায় আরোহণ করিয়া পরপারে যাইতেছে না । এরূপ আচরণে সাধারণের অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধা উদ্দীপ্ত হয় । আমরা যেন ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মকে ঐহিক ও পারত্রিক সম্বল করি । ইহা দ্বারা রিপুদমন হইবে, প্রবৃত্তির প্রতিকূলে আমরা দাড়াইতে সমর্থ হইব ; সামাজিক দোষ অপসারিত হইবে, দৈনিক জীবন উন্নত হুইবে । দুৰ্গতি ও ক্লেশ চলিয়। যাইবে । সেই বলে দেশ জয় হইবে, চিত্ত আকৃষ্ট হইবে। দৃঢ় বিশ্বাসে মানবের হৃদয় ফিরে । দেশের মধ্যে ঈশ্বরের নাম প্রচারিত হয় । হৃদয় আনন্দে উৎফুল্প হইয়া উঠে।