পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

घांश »७ ७७ துளுக- - - on on পণ্ডিত প্রিয়নাথ শাস্ত্রীর বক্ততা। মঙ্গলময় পরমেশ্বরের করুণায় অদ্য এই যে ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠিত হইল, ইহা স্ব জাতীয় পবিত্র ব্রহ্মোপাসনা-মন্দির নিৰ্ম্মীণের ইতিহাসে এই প্রথম অঙ্ক ঋষির যখন তাtয় প্রত্যয়-সিদ্ধ পরমাত্মার উপাসনা করিতেন, অরণ্য গিরি কন্দরের মুক্ত স্থানে বসিয়াই তাহারা তাহা করিতেন । পুৰ্ব্বে অধিকৃত বলিয়া গণ্য হইত। কিন্তু জ্ঞান, ধৰ্ম্ম ও অবস্থার উন্নতি সহকারে এখন তাহা ব্রাহ্মসসাজের যত্নে গৃহীর ও অধিকারভূক্ত হইয়া সংসারে আগমন করিয়াছে। এখন প্রত্যেক গৃহই ব্রহ্মোপাসনার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রত্যেক গৃহী ব্যক্তিই পর কোলাহলের মধ্যে থাকিয়া চিত্ত সংযম করা ও নিৰ্ম্মল ব্রহ্ম-সহবাস-সুখ অনুভব করা সকলের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন । সুতরাং সংসারীর জন্য সংসারের সঙ্গে যোগ রক্ষা করিয়া এমন একটি স্থানের প্রয়োজন যেখানে বসিলে সহজে মনে পবিত্র ভাবের উদয় হয়, চিত্ত সমাহিত ও প্রেম ভক্তিতে সিক্ত হইয়। সেই পরম পিতা পরমেশ্বরের চরণতলে ধাবিত হয় এবং তাহাকে হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা অর্পণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতে পারে। যেমন অন্নবস্ত্রাদি গৃহ-সামগ্ৰী আহরণের জন্য গৃহের অবিশ্বক, সেইরূপ নিৰ্ম্মল শান্তি ও পবিত্র ধৰ্ম্মভাব উপার্জনের জন্য বিজন প্রদেশে রম্য আশ্রম ও পবিত্র ব্রহ্মোপাসনা-মন্দিরের প্রয়োজন । সেই প্রয়োজন সিদ্ধির জন্যই এই মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই মন্দিরে প্রবেশ করিলে সহজেই মনে হয় যে, “ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদযশঃ” র্তাহার কোন প্রতিমা নাই যাহার নাম মহদযশঃ। মঠপ্রতিষ্ঠা >b〜? এই মন্দিরে প্রবেশ করিলে সহজে মনে হয় যে, “ন জায়তে ত্রিমতে বা বিপশ্চিমায়ং কুতশ্চিন্ন বভূল কশ্চিৎ” না তিনি জন্মেন, না তাহার মৃতু্য আছে ; তিনি কোথাও হইতে আসেন নাই এবং কিছুই হন নাই। এই ব্রহ্মমন্দিরের অধিষ্ঠাতৃ দেবতার করুণা যেমন সকল মনুষ্যের প্রতিই সমান, সেইরূপ সেই এক ব্রহ্মরূপ পরম তীর্থে গমন করিবার জন্য সকল মনুষ্য আপনার উচ্চ নীচ ভাব বিস্মৃত হইয়া এখানে মিলিত হইবেন, এক সঙ্গে সখ্য ভাবে কথা কহিবেন, এক সঙ্গে সকলের হৃদয় সকলে জানিবেন এবং এক ব্রহ্মের অনুরাগী হইয়া আপনার অক্ষয় মুক্তির পথে অগ্রসর হইবেন। এই মন্দিব্রহ্মের উপাসনার অধিকারী। কিন্তু গৃহের । রের প্রাঙ্গণ হইতে সম্প্রদায়-বিদ্বেষ দূর হইয়া এবং জন্মার্জিত কুটিল কুসংস্কারসকল চলিয়া গিয়াও স্বজাতি ভাবের ও স্বজাতি প্রেমের কিছুমাত্র খর্ব তা হইবে না, বরং আরো উদার বিশুদ্ধ প্রেমে রঞ্জিত হইয়। জাতীয় গৌরবকে বৰ্দ্ধিত করিবে । অগ্নিহোত্রী বৈদিকের অগ্নির ন্যায় অহরহ এই মন্দিরে জ্ঞান ও পুণ্যের জ্যোৎস্ন। প্রদীপ্ত থাকিবে । প্রথমে কোন সূত্র অবলম্বন করিয়া এই শান্তিনিকেতন অtশ্রম এখানে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল হয় তো তাহ অনেকেই জানেন না। পূজ্যপাদ শ্ৰীম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর হিমালয়ে তপস্যা করিয়া যখন বঙ্গদেশে প্রত্যাগমন করিলেন ও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে মন প্রাণ অপণ করিয়া দিবা রাত্র পরিশ্রম করিতে লাগিলেন তখন হইতে এ দেশে তাহার নিজের একান্ত সাধনের জন্য একটি নির্জন স্থানের আবশ্যক হয়। তিনি অনেক স্থানের প্রাকৃতিক ভাব পরীক্ষা করিয়৷ অবশেষে মানব কোলাহল শূন্য