পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراسرايلا তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রসারিত बील আকাশব্যাপী এই উচ্চ ভূমিখণ্ডকে তদুপযোগী মনে করিয়া এখানে এই বনস্পতি লত পুষ্প শোভিত অtশ্রম প্রস্তুত করেন । তিনি সংসারের তীব্রতা এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের অতিরিক্ত পরিশ্রম হইতে আপনাকে বিরাম দিয়া সেই শান্তং শিবং সুন্দরং পরমেশ্বরের শান্তিময় ক্রোড়ের শীতল চছায়ায় বসিয়া অমৃত পান করিবার মানসে মধ্যে মধ্যে এখানে আসিয়া ব্রহ্মসাধন করিতেন । ঐ যে সপ্তপর্ণ বৃক্ষতলে শ্বেত প্রস্তরের বেদিক নিরীক্ষণ করিতেছ, উহাই তাহার যোগাসন । আর এই যে নির্জন রম্য উদ্যান ও দিগন্তপ্রসারী ঐ মাঠ, উহাই র্তাহার প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে ব্রহ্মদর্শনের ক্ষেত্র ও বিচরণ ভূমি । তিনি এখন জরাজীর্ণ শরীরে ব্রহ্মলোকের যাত্রী হইয়া তাহার প্রিয়তম পরমেশ্বরের আহবানের প্রতি অপেক্ষা করিতেছেন। এই সন্ধিক্ষণে–এই অমৃত মুহুর্তে র্তাহার মনে এই মঙ্গল ইচ্ছার উদয় হইল যে ‘‘সংসার তাপে উত্তপ্ত ও বিবিধ কার্য্য ভারে ভারাক্রান্ত হইয়া আত্মার দীপ্তি প্রচ্ছন্ন হইলে যেখানে গিয়া আমি সে সমস্ত অপনয়ন করিতাম ও অমৃতময়ের প্রেমমুখ সন্দর্শন করিতাম, যেখানে বসিয়া আরাধনা করিলে ঈশ্বরের শান্তং শিবমদ্বৈতং ভাব সহজে আত্মায় প্রতিভাত হয়, সেই স্থানে সাধন ভজন করিয়া অামার ন্যায় যাহাতে ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল চিত্ত অন্যান্য নর নারীও তাহার প্রেমমুখ দর্শন করিতে পারেন তাহার পথ মুক্ত করিয়া দিই ।” এই ভাবিয়া ইহার তিন বৎসর পূৰ্ব্বে এই শান্তিনিকেতন আশ্রম তিনি সৰ্ব্বসাধারণের ব্রহ্মোপাসনার উদেশে উৎসর্গ করিয়াছেন। এখন আবার তাহার সঙ্গে ১৩ কল্প, ১ ভাগ - - =ă• Τψη - - .میدهد – --- mm- *** so on এই পবিত্র ব্রহ্মমন্দিরের যোগ করিয়া দিয়া আশ্রমকে পূর্ণাঙ্গ করিলেন। অদ্য ৭ই পৌষ । এই দিন ব্রাহ্মাসমাজের ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন । ব্রাহ্ম নাম এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষার প্রণালী নিৰ্দ্ধারণ করিয়া মহৰ্ষি স্বয়ং এই দিনে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। সেই শুভ দিনকে এবং সেই কল্যাণকর ঘটনাকে স্মরণ রাখিবার জন্যই অদ্য আমরা সকল বন্ধু বান্ধবে মিলিয়া এই মন্দির প্রতিষ্ঠার উৎসবে ব্রহ্মোপাসনা করিয়া ধন্য হইলাম। আর যাহারা এখন হইতে এখানে আসিয়া সাধন ভজন করিবেন তাহারাও ধন্য হইবেন । আমাদের বিশ্রুত পূর্বকালের তপোবনেরই সদৃশ এই আশ্রমের প্রভাব । এখানে কোন প্রকার ধৰ্ম্মবিদ্বেষ বা সম্প্রদায় কোলাহল প্রবেশ করিতে পরিবে না । ঈশ্বর বোধে অচেতন মৃৎ প্রস্তরাদির বা কোন প্রকার প্রতিমূৰ্ত্তির বা চিহ্লের পূজা এখানে হইবে না। যিনি সকল বিশ্বের স্রষ্টা, পাতা, সকল পাপ সকল জ্বালা যন্ত্রণার নিবারক ও শান্তি মঙ্গলের হেতু জ্ঞান স্বরূপ পরমেশ্বর, পবিত্র মনে র্তাহারই উপাসনা অহরহ এখানে হইতে থাকিবে । চিত্ত কলুষিতকারী কোন প্রকার কুৎসিত আমোদ বা আলাপ করিবার জন্য ইহার দ্বার উদযাটিত হইবে না । হৃদয়বিদারক প্রাণিহিংসা বা আমিষ ভোজন করিয়া এখানকার পবিত্রতা নষ্ট করা হইবে না। এখানকার বায়ু যেমন নিৰ্ম্মল, এখানকার আকাশ যেমন মুক্ত ও বিশাল, সেইরূপ পবিত্র ও ভূম আনন্দময় পরমেশ্বরের উপাসনা অহরহ হইতে থtকিবে । অতিথি অভ্যাগত জনেরা সম্মা নের সহিত গৃহীত হইবেন । শ্রদ্ধার সহিত উপস্থিত হইলে সেই জ্ঞান-পিপাস্থকে