পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ாறு ব্ৰহ্ম-বিদ্যা ও ধৰ্ম্ম-নীতির উপদেশ দেওয়া হইবে। অদ্য এই যে এতগুলি ধৰ্ম্মপরাষ্ট্ৰয়ণ সাধুভক্ত আসিয়া এখানে এই পরম মহেশ্বরের গুণানুকীৰ্ত্তন ও র্তাহার চরণ তলে প্রার্থনা করিলেন, তাহার বলে ব্ৰহ্মiফুপ৷ আবিভূত হইয়া চিরকালের জন্য #খানে শান্তিবিধান করিতে থাকিবে । ༑ ༑མ་རྗེ་ স্থান ধন্য হইল। এই স্থান গৃহী *ান্ন্যাসী সকলের পবিত্র তীর্থ হইল। ইহা ব্রহ্ম সাধনের অতি অনুকূল তীর্থ। হে ধৰ্ম্মপিপাস্থ মনুষ্য সকল, তোমরা তোমাদের অtয়ার মঙ্গলের জন্য এখানে আসিয়া এই মুক্ত আকাশের নীচে, এই শুদ্ধ তপোবনে, সেই শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত-স্বভাব পরমেশ্বরের উপাসনা করিয়া কৃতাৰ্থ হও । তোমাদের জন্য এই শান্তিনিকেতন—এই তীর্থ | ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিবৃত । এই শান্তি নিকেতন যথার্থই শান্তির আবাস-ভূমি । যে দিকে চাহিয়া দেখি, সেই দিকেই প্রকৃতির গম্ভীর প্রশান্ত মূৰ্ত্তি। এখানে সংসারের কোলাহল নাই, কৰ্ম্মের উন্মত্ততা নাই, শোকের আর্তিস্বর নাই, রোগের কাতরধ্বনি নাই। এখানে কেবল শান্তি—শান্তি । এই শান্তিনিকেতনে বাস করিলে অধিবাসীমাত্রেরই চক্ষু সেই শান্তিসমুদ্র পরব্রহ্মের দিকে ধাবিত না হইয়। থাকিতে পারে না । এখানে যখন মস্তকের উপরে কোটি কোটি গ্ৰহ নক্ষত্র স্থিরনেত্রে আমাদিগের প্রতি চাহিয়া আমাদিগের চক্ষুকে সেই জীবনের ধ্রুবতারা পরমেশ্বরের দিকে লইয়া যায় ; যখন এই দিগন্তপ্রসারিত প্রান্তর হৃদয়কে সেই অনন্তস্বরূপ মহান পুরুষের প্রতি লইয়া যায়, মঠপ্রতিষ্ঠা Sbrò তখন আর কি মৃত্যুময় সংসারের কোন কথা হৃদয়ে স্থান পাইতে পারে ? সেই সকল কথা এখানে মনে করিতেও যেন সঙ্কোচ আসিয়া উপস্থিত হয় । হৃদয় কেবল ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিবার জন্য, ব্রহ্ম ধ্যানে আপনাকে পূর্ণ করিবার জন্য আকুল হইয় উঠে। এইরূপ শান্তিময় স্থানে অসিলেই তারা যথা' উপলব্ধি করিতে পারি যে “যোগী জাগ ভোগী রোগী কোথায় জাগে ; ব্ৰহ্মজ্ঞান, ব্রহ্মধ্যান, ব্রহ্মানন্দ রসপান, প্রীতি ব্রহ্মে র্যার সেই জাগে ।” ব্রাহ্মেরা যাহাতে এইরূপ তপঃক্ষেত্র নির্জন পবিত্র অtশ্রমে থাকিয়া ধ্যানধারণর দ্বারা ব্রহ্মের প্রতি আপনাদিগের আত্মাকে স্থির রাখিতে অভ্যাস করেন, যাহাতে র্তাহারা সংসার কোলাহল হইতে দূরে থাকিয়া ব্রহ্মের সাক্ষাৎকার লাভের চেষ্টা করেন, তাহারি জন্য আমার পূজ্যপাদ পিতামহ এই আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন এবং এই মঠ প্রতিষ্ঠা করিতেছেন । এই আশ্রম এখন হইতে ভগবদ্ভক্ত ব্রহ্মোপাসক সাধু ব্যক্তি মাত্রেরই তীর্থস্থান হইতে চলিল । যে স্থানেই ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত অাছে, সেই স্থানই আমাদিগের তীর্থস্থান বটে কিন্তু এই শান্তিনিকেতন তামোদিগের বিশেষরূপ তীর্থ—ইহা অামাদিগের প্রত্যেককে, সংসারাতীত পরব্রহ্মে আনিবার, ব্রহ্মসাধন করাইবার এক উপযুক্ত সুন্দর আশ্রম । ব্রাহ্মসমাজ আমাদিগের ধৰ্ম্মশিক্ষা করিবার স্থান ; শান্তিনিকেতন অামাদিগের ব্রহ্মসাধন করিবার স্থান । ইহা অারও এক কারণে আমাদিগের তীর্থস্থান। ইহা আমার পূজ্যপাদ পিতামহের