পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిం তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २७ कझ, * छन - --- - -- -- -- ------------ ما ----- তপঃক্ষেত্র ছিল । অন্যদেশের কথা বলিতে পারি না ; আমাদের দেশে, এই ধৰ্ম্মপ্রধান ভারতবর্ষের মধ্যে যে যে স্থানে সাধু পুরুষগণ ধৰ্ম্মসাধন করিয়াছেন, সেই স্থানই তীর্থস্থানে পরিণত হইয়াছে। সেইরূপ এই শান্তিনিকেতনের নির্জনতার মধ্যে কত বৎসর বাস করিয়া অামার পিতামহ-দেব ব্রহ্ম সাধন করিয়াছিলেন, তাই ইহা ব্রহ্মোপাসকদিগের তীর্থস্থান হইবে, আশ হয় । হরিদ্বার, কাশী, সেতুবন্ধরামেশ্বর প্রভূতি তীর্থস্থান এখন আর আমাদিগের তীর্থস্থান বলিয়া মনে হয় না—সেই সকল স্থান মূৰ্ত্তিপূজা প্রভৃতি নানা পৌত্তলিক ভাব সম্বন্ধে সম্বদ্ধ । আমাদিগের বtহ্যাড়ম্বর-রহিত ব্রহ্মোপাসনা করিবার জন্য, মিজ্জনে পরমাত্মার সহিত আত্মার যোগ-সাধন করিবার জন্য একটা ব্রহ্ম তীর্থস্থানের অভাব ছিল ; এখন হইতে সেই অভাব ঘুচিয়া গেল । এই ব্রহ্মতাৰ্থ সম্বন্ধে আর একটী বিষয় বিশেষ উল্লেখ যোগ্য আছে । তাহা কি, ন, ইহার অসাম্প্রদায়িকতা । এই যে প্রতিষ্ঠাপত্র পাঠ করা হইল, এই প্রতিষ্ঠাপত্র হইতেই বুঝিতে পারা যাইতেছে যে উদারতা, অসাম্প্রদায়িকভাব যতদূর পারা যায় রক্ষিত হইয়াছে । ইহাতে স্পষ্টরূপে বলিয়া দেওয়া হইয়াছে যে, জাতি, বর্ণ, অবস্থা নির্বিশেষে সকল লোকেই এখানে আসিয়া ব্রহ্মসাধন করিতে পরিবেন। এই ব্রহ্মতীর্থ সম্বন্ধে কোন জাতির অথবা কোন ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের আপত্তি করিবার কথা নাই । ভারতের প্রত্যেক অধিবাসীকে জিজ্ঞাসা কর দেখিবে যে, তাহারা সকলেই ব্রহ্মকে ভগবান, সকলের প্রভু বলিয়া স্বীকার করিয়া পরে সাম্প্রদায়িক দেবতার পূজা করে। যে জাতির মধ্যে ধৰ্ম্ম আছে, সেই জাতি ঈশ্বরকে সকল দেবতার অধিদেবতা স্বীকার করিয়া পরিমিত দেবতার পূজা করে। সুতরাং ব্রহ্ম তীর্থে আসিবার বিরুদ্ধে আপত্তি কোন জাতি-বিশেষ বা কোন সম্প্রদয় বিশেষের পক্ষেই সম্ভবে না। ব্রহ্মই আমাদিগের একই পিতা ; আমরা সকলেই সন্তান । র্তাহার চক্ষে বিজাতীয় স্বজাতীয়, ব্রাহ্মণ শূদ্র, ধনী দরিদ্র সকলেই সমান ; তিনি সকলের প্রতি সমান স্নেহদৃষ্টি রাখিয়াছেন । এই ব্রহ্মতীর্থেও সকল জাতির, সকল বর্ণের, সকল অবস্থার লোকেরই সমান অধিকার । এখন আমাদিগের উচিত যে, আমরা মধ্যে মধ্যে তীর্থ-দর্শনে আসিয়া তীর্থ-দর্শনের ফললাভ করিয়া সংসারে প্রতিগমন করি । শাস্ত্রকারগণ তার্থদর্শনের ফল অতি भश्iम् অতি উচ্চ বলিয়া বলিয়াছেন । সর্ববশেষে আমরা এই আশ্রমের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা পরমেশ্বরের নিকট এই আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করি যে, তিনি আমাদিগের প্রতি স্থপ্রসন্ন থাকুন, তিনি স্থপ্রসন্ন থাকুন। “হংসা; শুক্লীকৃত। যেন শুকাশচ হরিতীকতা: । ময়ুরাশ্চিত্রিত যেন সদেবত্বাং প্রসাদতু।” ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । ত্রযুক্ত নবীনকৃষ্ণ বন্দোপাধ্যায়ের বক্ততা। এই শান্তিনিকেতনের পূর্বাবস্থার বিষয় অনেকে অবগত নহেন । সুপ্রকাগু নদীর বেগ দেখিয়া মনে হয় না যে তাহারই গর্ভে আবার নগর সংস্থাপিত হইবে । শ্রত হওয়া যায় ইহা নরহিংসার স্থান ছিল । যেখানে গেলে চিত্ত প্রশান্ত হয়, ধৰ্ম্মের ভাব জাগ্রত হইয়া উঠে, সেই এই শাস্তি