পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ ১৮১৩ ' مفس owronommonos----- মঠপ্রতিষ্ঠা ఫ్ఫి اف سقط دفاع======= -- ♔ - - پاسسے بدـصـح -- নিকেতনের সপ্তচ্ছদ বৃক্ষের তলদেশ খনন করিতে গিয়া অসংখ্য নরকঙ্কাল প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে । পরোপ কারের অপেক্ষা আর ধৰ্ম্ম নাই “নোপ কারাৎ পরে ধৰ্ম্মঃ” । অন্নদান বস্ত্রদান ও ধনদানাদি বহু প্রকার উপকারের কার্য্য আছে ; কিন্তু ধৰ্ম্মদানের তুল্য উপকার আর নাই, শাস্ত্রে ভূমিদানদিকে মহাদান বলে ; কিন্তু ভাবিয়া দেখিলে ধৰ্ম্মদানই প্রকৃত প্রস্তাবে মহাদান । ধৰ্ম্মই মনুয্যের জীবন ও ধৰ্ম্মই মানবের পরম ধন । গন্ধহীন পুষ্প আর ধৰ্ম্মহীন মনুষ্য দুই সমান ও দুই আশ্রদ্ধেয় । অামাদিগের এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আর আর সকল ধৰ্ম্মের বীজ ও জীবন-স্বরূপ, যে ধৰ্ম্মে এই পরম ধৰ্ম্মের মূলবীজ নাই তাহ লবণবিহীন ব্যঞ্জনের তুল্য। এই ভারতবর্ষের অনেক লোক নানা রূপ দান করিয়া অশেষ কীৰ্ত্তি রাখিয়। গিয়াছেন সত্য বটে কিন্তু শাক্যসিংহ চৈতন্য রামমোহন রায় ইহারদের ন্যায় কেহই কীৰ্ত্তিভাজন হইতে পারেন নাই । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের এ দান চির কালের জন্য অক্ষয় কীর্তি হইয়া থাকিবে । ধনদানের তারতম্য হইলে দাতার উপর লোকের দ্বেষ ঘৃণা উপস্থিত হইতে পারে, কিন্তু ধৰ্ম্মদানের এমনই মহিমা যে যিনি ; আমাদের নয়ন সমক্ষে স্থির প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মদান করেন র্তাহার উপরে সাধারণের শ্রদ্ধা ভক্তি ও সকলের সঙ্গে তাহার সখ্যতা জন্মে। ইহারই জন্য মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ অামারদের এত প্রিয় এবং এই শান্তিনিকেতন যাহা তিনি সাধারণের হিতার্থে উৎসর্গ করিলেন তাহা অামারদের নিকট এত গুরু এত মহৎ । বিশেযতঃ ধনাদি দান করিয়া লোকের অাশার নিবৃত্তি করিতে পারা যায় না । যথা “निázन्यांद४ि श्रृंठ९ श्रृंडौल**उ१ लक६ न हटवांशि** - --- - লক্ষে শঃক্ষিতিপালতfং ক্ষিতিপতি শচক্রেশ্বরত্বং পুনঃ । চক্রেশঃ পুনরিন্দ্র তাং সুরপতিঃ ব্রহ্মাম্পদং বাঞ্চতি ব্ৰহ্মাবিষ্ণুপদং পুনঃ পুনরছে। আশাবধিং কোগতঃ।” কিন্তু ধৰ্ম্মধন প্রাপ্ত হইলে লোকে সৰ্ব্বদাই পূর্ণ পরিতোয় প্রাপ্ত হইয়া মহা তৃপ্তি লাভ করিতে থাকে। অপিচ দানে ধন ক্ষয় হইতে পারে, কিন্তু ধাৰ্ম্মিকের কৰ্ম্ম ভান ধৰ্ম্মদনে আরও জাগ্রত ও প্রদীপ্ত হইয়া উঠে । মহর্ষি , , বন্দ্রনাথের ধৰ্ম্মজ্ঞান ও ধৰ্ম্মভাব অদ্য কে দান করিবার ইচ্ছা সাধারণের অনুকরণীয়। র্তাহার এই দান স্মরণ করিয়া আইস আমরা প্রতিজনে ঈশ্বরের প্রীতি ও দয়। অনুভব করি । e... mmmM অনন্তর ভক্তিভাজন ক্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করিয়া প্রতিষ্ঠ। কার্য্যের উপসংহার করিলেন— হে পরমাত্মন! তুমি মঙ্গলময় কৃপাসিন্ধু অখিল বিধাতা ; তুমি আমাদিগকে তোমার শান্তিনিকেতনের পথে নিয়তই আহবান করিতেছ। সংসার রেণ্যের ভয় বিপদের মধ্যে ও তুমি তোমার শান্তিনিকেতনের পথ আমাদিগের জন্য উন্মুক্ত করিয়া রাখিয়াছ ; দুঃখ দুদিনের মধ্যে ও তুমি তোমার শান্তিনিকেতনের আলোক করিয়া রাখিয়াছ । পথি-মধ্যে যখন আtমরা সুখসম্পদের কুস্থমাস্তরণে মোহ নিদ্রায় অচেতন থাকি, তখন তুমি মাতার ন্যায় আমাদের পার্শ্বে থাকিয়া পুষ্পাচ্ছাদিত ফণীর দংশন হইতে আমাদিগকে রক্ষা করিতেছ। তোমাকে ছাড়িয়া আtমরা আর কোথায় গিয়া শান্তি লাভ করিব ! এ হৃদয়ের সমস্ত ধন তোমারি— অদ্য আমরা আমাদের হৃদয়ের সমস্ত ভাণ্ডার নিঃশেষিত করিয়া প্রীতি ভক্তি