পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

داد و د )f সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ९०१ পরিবে না। এখন যদি আমরা এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে সাদরে গ্রহণ করি, এবং জীবনে পরিণত করি, তবে আমরাই ইহার শুভ ফল প্রত্যক্ষ করিব ; র্যাহার প্রসাদে আমরা বিদ্যা, বুদ্ধি ও ধৰ্ম্ম প্রভৃতি সকলই পাইয়াছি, তাহার আদিষ্ট পথে চলিয়া আমরা আপনারাই কৃতাৰ্থ হইব এবং ভবিষ্যদ্বংশের অনন্ত উন্নতিলাভের পথ উন্মুক্ত দেখিয়া আনন্দিতচিত্তে ঈশ্বরকে অহরহ ধন্যবাদ প্রদান করিতে থাকিব । র্তাহার করুণা আমরা আমাদিগের প্রত্যেকের জীবনে কত-না প্রত্যক্ষ করিতেছি । আমাদিগকে তিনি যে আত্মা দিয়াছেন এবং এই আত্মাকে যে র্তাহার সহবাসের অধিকারী করিয়াছেন, ইহা কি র্তাহার কম দয়া ? এই যে আকাশে আমাদিগের এই সৌর জগতের ন্যায় কত । রাখিবে, তাহারই অনন্ত উন্নতি—সেই আত্মা সুন্দর হইতে সুন্দরতর বেশ ধারণ দেখিলে আমাদিগের ক্ষুদ্রতা কেমন স্পষ্ট । উপলব্ধি হয় —তখন আমরা যেন কোথায় । লুক্কায়িত হইয়া পড়ি । কিন্তু সকলের । শত জগৎ ভ্রাম্যমাণ হইতেছে, ভাবিয়া প্রভু সেই ঈশ্বরের কৃপা লাভ করিলে উন্নতশৃঙ্গ পর্বত সকল অতিক্রম করিতে পারে। আমরা ক্ষুদ্র হইয়াও মহান হইয়াছি ; তাহারি প্রসাদে তাহাকে জানিবার অধিকারী হইয়াছি—ইহা অপেক্ষা আর কিসে আমরা মহান হইতে পারি ? *র্তাহাকে জানা অপেক্ষা আমাদিগের জন্মের সার্থক্য আর কিসে হইতে পারে ? তিনি যে আমাদিগকে র্তাহাকে জানিবার অধিকার প্রদান করিয়াছেন, ইহা তাহার সকল কৃপার প্রধান কৃপা । আমরা এই ক্ষুদ্র তিমিরাবৃত পৃথিবীর জন্তু হইয়। সকলের অতীত, সত্যসুন্দর মঙ্গল পুরুষকে সৌভাগ্যের বিষয় আর কি আছে ?” র্তাহাকে যুদি না জানিলাম, তাহার প্রেমে মগ্ন না রহিলাম, ও র্তাহার প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্মাচরণ না করিলাম ; তবে আমাদের কি হইল ? অপূর্ণ স্ব ভাবে প্রেম স্থাপন করিয়! কি প্রেমের সার্থক্য হইতে পারে ? ত"যাদিগের যতটুকু শক্তি আছে, সেই তানুসারেই যদি আমরা ৎ .ঠার অধ্যবসায় সহকারে সেই পূর্ণস্বরূণ পরমেশ্বরকে জtনিতে চেষ্টা করি, তাহী,তই প্রীতি স্থাপন করিতে শিক্ষা করি এবং তঁহারই প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করিতে যত্নবান হই, তবে তাহাতেই আমাদিগের উন্নতি—অনন্তকালেও আমরা এই উন্নতির পথ হইতে বিচু্যত হইব না। যে আত্মা তাহার কণামাত্র কৃপাবারি হৃদয়ে ধারণ করিয়া করিবে । আমাদের সম্মুখে বসন্তকাল উপস্থিত। যাহার ইচ্ছাতে প্রভাতের উদীয়মান সূৰ্য্য আপনার কিরণচ্ছটায় পূৰ্ব্বগগনকে রঞ্জিত “পঙ্গুলঙ্ঘয়তে গিরিং” পঙ্গু যে, সে ও করে; প্রভাতের সুগন্ধবাহী সুশীতল সমীরণ যাহার মঙ্গলবার্তা স্বৰ্গ হইতে মর্ত্যলোকে আনয়ন করিয়া ভুলোকের সহিত দু্যলোকের মিলনসাধন করে, তাহারই ইচ্ছাতে এই বসন্তকালে বৃক্ষ সকল পুরাতন জীর্ণ পত্র পরিত্যাগ করিয়া নূতন পত্রপুষ্পে শোভমান হয় । এই জন্য বসন্তকালকে প্রকৃতির উৎসবকাল বলা যায়। আজ আমাদিগের ও উৎসব—ব্রহ্মোৎসব অtসিয়াছে ; এই ব্রহ্মোৎসব আমাদের সকলেরই হৃদয়ে আনন্দবিধান করিতেছে। আমরা এখন কি করিব ? আমরা কি কেবল উৎসব প্রাঙ্গনকে সুসজ্জিত ক জানিতেছি, ইহা অপেক্ষ আমাদিগের | রিব ? না, তাহা নহে। আমাদিগের