পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે8 مصاص-سمسموم সেই বিপদ-প্রেরণে পুণ্যাত্মাকে বলীয়ান তেজীয়ান করিতে থাকেন । পুণ্যাত্মার হৃদয় বিশ্বাসকবচে যতই সুরক্ষিত হইতে থাকে,ততই তাহার ঈশ্বর-প্রীতি পরিবৰ্দ্ধিত হয়, ততই তিনি যোগানন্দ প্রেমানন্দ উপভোগে দেবত্ব লাভ করিতে থাকেন । জগদীশ ! আমরা সম্বৎসর কাল নানা প্রকার ভয় বিপদ কষ্টক্লেশ সুখশান্তির মধ্য দিয়া অাজ বর্ষশেয রজনীতে তোমার দ্বারে আসিয়া পৌছিয়াছি । তোমার রাজ্যে রোগশোক জ্বালাযন্ত্রণার তীব্রতা নাই । তোমার দুর্বল সন্তানগণকে প্রপাড়িত করিবার জন্য ই হারদের স্বষ্টি হয় নাই ! তুমি তোমার শুভ লক্ষ্য সংসিদ্ধ করিবে, ধৰ্ম্মের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করিবে, সকলকে লইয়া প্রেমের পরিবার সংগঠিত করিবে, এই জন্যই ইহারদের স্বষ্টি ! আমরা তোমার শুভসংকল্প বুঝিতে পারি না, এজন্য তোমার মঙ্গল-স্বরূপে দোমারোপ করি এবং আপনাকে মহাপাপে কলঙ্কিত করি । আর কেন, এখনই এখানে তোমার প্রেমের রাজ্য ধৰ্ম্মের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত কর, মর্ত্যধামকে স্বৰ্গ-পদবীতে লইয়। যাও যে আমরা কৃতাৰ্থ হই, তোমার নিকট ইহা অামারদের যোড়করে প্রার্থনা। শ্রীচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ । সনাতন গোস্বামী । (পুৰ্ব্ব প্রকাশিক্তের পর } শ্ৰীগৌরাঙ্গ বলিলেন, হে সনাতন ! বেদাদি শাস্ত্রে সম্বন্ধ অভিধেয় ও প্রয়োজন কথিত হইয়াছে। সকল শাস্ত্রে শ্ৰীকৃষ্ণই মুখ্য সম্বন্ধ, ভক্তিই একমাত্র অভিধেয়, এবং প্রেমই প্রয়োজন । সম্বন্ধ ও অভিধেয় ইতি পূর্বে ব্যাখ্যা করা হইয়াছে ; তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

|iiI|li

দিতে মতি হয় । ১ও কঞ্জ, ১ ভাগ ■-•—• সৰ্ব্বশাস্ত্রের প্রয়োজন স্বরূপ ভক্তিফল প্রেমের বিষয় অতঃপর বলিতেছি শ্রবণ কর । ইহা শ্রবণ করিলে ভক্তিরসের জ্ঞান লাভ হইবে । শ্রীকৃষ্ণে গাঢ় রতি হইলেই তাহ প্রেমনামে অভিহিত হয় ; এই প্রেমের লক্ষণ শ্রবণ কর । ভাগ্যক্রমে যদি কোন জীবের ভগবৎ বিষয়ে শ্রদ্ধা উৎপন্ন হয়, তাহা হইলে সেই শ্রদ্ধাবান মানব সাধু সজ্জনের সঙ্গ লাভ করেন । সাধুসঙ্গের গুণে ভগবানের নামমাধুর্য্য শ্রবণ কীৰ্ত্তনাএইরূপে শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদি সাধনভক্তি দ্বারা সৰ্ব্বানর্থের নিবৃত্তি হইয়া থাকে। অনর্থ নিবৃত্ত হইলে ভক্তিতে নিষ্ঠা হয়, নিষ্ঠ হইতে ভগবৎ মহিমা শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদিতে রুচি জন্মিয়৷ থাকে এবং রুচি হইতে ক্রমে ভগবানে প্রচুর আসক্তি উপস্থিত হয় । এই আসক্তি হইতে চিত্তভূমিতে কৃষ্ণরতি অন্ধুরিত হয় । এই কৃষ্ণরতি গাঢ় হইলে প্রেম বলা যায়। এই সৰ্ব্বানন্দধাম প্রেমই সকল শাস্ত্রের প্রয়োজন স্বরূপ । যে ভাগ্যবান ব্যক্তির হৃদয়ে এই নবভাব ও নবঅঙ্কুর উদ্ভূত হয়, ভক্তিশাস্ত্র অ ভুসারে তঁহার জীবনে এই সকল লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায় । প্রাকৃত ক্ষোভে তাছার ক্ষোভ বোধ হয় না, শ্রীহরির সম্বর ব্যতীত বৃথা কালক্ষয় তিনি বিষণ্ডুল্য জ্ঞান করেন । ভুক্তি সিদ্ধি ও ইন্দ্রিয়লালসা র্তাহার হৃদয়ে আর প্রতিভাত হয় না । ভক্ত সৰ্ব্বোত্তম হইয়াও আপনাকে অতিহীন জ্ঞান করেন, অহংকারের লেশমাত্রও তাহার জীবনে থাকিতে পারে না । ভগবৎ কৃপার প্রতি র্তাহার অটল বিশ্বাস । হরিগুণানুকীৰ্ত্তন ও হরিনামস্থধা পান করিবার জন্য তিনি সমুৎকণ্ঠিত । যেস্থানে হরিলীলা প্রসঙ্গ হয়, সেই স্থানেই তিনি প্রীতির