পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক זיוס נ היא סיג ஆதா-க-க প্রেমধনের বিষয় সংক্ষেপে তোমাকে কহিলাম। অভক্তগণ ইহার রসাস্বাদন করিতে অক্ষম, ভক্ত ভিন্ন ভগবৎপ্রেমের আস্বাদন আর কেহই জানে না । পুৰ্ব্বে প্রয়াগে অবস্থানকালে তোমার ভ্রাতা ! শ্রীরূপকে রসতত্ত্বের বিচার করিয়া এই | সকল বিষয় আমি শিক্ষা দিয়াছি । সনাতন ! তুমি ভক্তিশাস্ত্র প্রচার কর, মথুরার লুপ্ত তীর্থ উদ্ধার কর এবং বৈষ্ণব আচারের স্মৃতিশাস্ত্র প্রচার করিয়া জগতের উপকার কর । শ্রীচৈতন্য এই প্রকারে সনাতন গোস্বামীকে সকল বিষয় শিক্ষা দিয়া বলিলেন, শুষ্ক বৈরাগ্য ও শুষ্ক জ্ঞান বিষয়ে বিশেষ সাবধান হইবে । “কৃষ্ণ প্রেমের চিহ্ন এবে শুন সনাতন ॥ যার চিত্তে কৃষ্ণপ্রেমা করয়ে উদয । তার বাক্য ক্রিয় মুদ্র বিজ্ঞে ন্য বুঝয় ॥ প্রেম ক্রমে বাড়ি হয় স্নেহ মান প্রণয় । রাগ অনুরাগ ভাব মহাভাব হয় ৷ যৈছে বীজ কক্ষরস গুড় খণ্ড সার । শর্করণসিতা মিছfর শুদ্ধ মিছরি অার ॥ ইহা যৈছে ক্রমে নিৰ্ম্মল ক্রমে বাড়ে স্বাদ ! রতি প্রেমাদির তৈছে বাড়য়ে আস্বাদ ॥ অধিকারী ভেদে রতি পঞ্চ প্রকার । শাস্ত দাস্ত সখ্য বাৎসল্য মধুব আর ॥ এই পঞ্চ স্থায়ীভাব হয় পঞ্চরস । যে রসে ভক্ত সুখী কৃষ্ণ হয় বশ । প্রেমাদিক স্থায়ী ভাব সামগ্ৰী মিলনে । কৃষ্ণভক্তি রসরূপে পায় পরিণামে ॥ বিভাব অনুভাব সাত্ত্বিক ব্যভিচারী। স্থায়ীভাব হয় রস মিলে এই চারি । দধি যেন খণ্ড মরিচ কপূর মিলনে । রসালাথ্য রস হয় অপুৰ্ব্বাস্বাদনে ॥ দ্বিবিধ বিভাব অালম্বন উদীপন । বংশী স্বরাদি উদ্দীপন কৃষ্ণাদি অালম্বন ॥ অনুভাব স্মিত নৃত্য গীতাদি উদ্ভাস্বর। স্তম্ভাদি সাত্ত্বিক অমুভাবের ভিতর ॥ fচত্ত, তাহারা সালোক্যাদি চতুৰ্ব্বিধ মুক্তি পাইলেও গ্রহণ করিতে ইচ্ছা করেন না । কালে বিনাশশীল ভোগ্য বস্ত প্রভূতির কথা আর কি । নিৰ্ব্বেদ হর্ষাদি তেত্রিশ ব্যভিচারী । সব মিলি রস হয় চমৎকারকারী ॥ পঞ্চবিধ রস, শান্ত দাস্ত সখ্য বাৎসল্য । মধুর নাম শৃঙ্গার রস সবাতে প্রাবল্য। শাস্তরসে শাস্তরতি প্রেম পর্য্যস্ত হয় । দাস্ত রতি রাগ পর্য্যন্ত ক্রমেতে বাড়য় ॥ সখ্য বাৎসল্য রতি পায় অনুরাগ সীমা । মু বলা দ্যের ভাব পর্য্যস্ত প্রেমের মহিমা ৷ ব্রজেন্দ্রননান কষ্ণ নায়ক শিরোমণি । নায়িকার শিরোমণি রাধা ঠাকুরাণী ॥ অনস্ত কৃষ্ণের গুণ চৌষট্টি প্রধান । এক এক গুণ গুনি জুড়ায় ভক্তকণি ॥ অনস্তগুণ শ্রীরাধিকার পচিশ প্রধান । যেই গুণের বশ হয় কযঃ ভগবান । এই মত দাস্তে দাস সথ্যে সখীগণ । বাৎসল্যে পিতা মাতা আশ্রয় অtলম্বন ॥ এই রসাস্বাদ নাহি আ ভক্তে খ গণে । কৃষ্ণভক্তগণ করে রস অাস্বাদনে ॥ সংক্ষেপে কহিল এই প্রয়োজন বিবরণ । পঞ্চম পুরুষাৰ্থ এই কষ্ণপ্রেম ধন ॥ পূৰ্ব্বে প্রয়াগে অামি রসের বিচারে । তোমার ভাই রূপে কৈল শক্তি সঞ্চারে । তুমিহ করি ই ভক্তি শাস্ত্রের প্রচার । মথুবার লুপ্ত তীর্থেব করিহ উদ্ধাব ॥ বুন্দাবনে কৃষ্ণসেবা বৈষ্ণব আচার । ভক্তি স্মৃতি শাস্ত্র করি করিছ প্রচাব ॥ যুক্ত বৈরাগ্য স্থিতি সব শিক্ষাইল । শুষ্ক বৈরাগ্য জ্ঞান সব নিষেধিল ॥” চৈঃ চ: মধ্যখও ২৩ অধ্যায়। তৎপরে সনাতন গৌরচরণে দীনভাবে নিবেদন করিলেন, আমি নীচ জাতি, নীচসেবা করিয়া পামরের অধীন হইয়াছি, ব্রহ্মার অগোচর যে সকল গভীর সিদ্ধান্ত আমাকে শিক্ষা দিলেন, আশীৰ্ব্বাদ করুন যেন তাহ আমার হৃদয়ে স্ফর্তি পায়। পারাবারশূন্য অনন্ত গম্ভীর সিদ্ধান্তামৃতসিন্ধুর বিন্দুমাত্রও হৃদয়ঙ্গম করিতে আমার শক্তি নাই । পঙ্গুকে নাচাইতে | যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমার