পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२b” তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

==

কোন একটি স্বল্পমাত্র অনুষ্ঠিত হইলেই সুবুদ্ধি ব্যক্তির শ্ৰীহরিতে প্রেমোদয় হইয়া থাকে । ভক্তিপ্রভাবে শ্ৰীহরির গুণে অাকৃষ্ট হইয়া ভক্তগণ সকল কামনা ত্যাগ করত হরিপদারবিন্দ আশ্রয় করেন । ংসারপথে ভ্রমণ করিতে করিতে যদি সাধুসঙ্গ লাভ হয় তবে যাগ যজ্ঞাদি সমুদায় কৰ্ম্মকাণ্ড পরিত্যাগ করিয়া সেই সাধক কেবল শ্ৰীহরির ভজনা করেন। ভাগবতে কথিত হইয়াছে, “সৎসঙ্গাযুক্ত দুঃসঙ্গো হাতুং নোংসহঁতে বুধ: | কীৰ্ত্ত্যমানং যশে যন্ত সক্বদাকর্ণা রোচনং ॥” ভাগবত ১মস্কন্ধ । সাধুসঙ্গগুণে যিনি বিষয়রপ দুঃসঙ্গ হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছেন তিনি সাধু- , মুখে কীর্ত্যমান রুচিকর ভগবানের যশঃকথা একবার মাত্র শ্রবণ করিতে পাইলে আর সৎসঙ্গ পরিত্যাগ করিতে পারেন না । হে সনাতন ! তোমার পবিত্র সঙ্গগুণে আমার হৃদয়ে এই সকল অর্থ স্ফৰ্ত্তি লাভ করিল। সনাতন গৌরমুখে ‘আত্মারাম’ শ্লোকের বিবিধ তত্ত্বগর্ভ গভীর ব্যাখ্যা শ্রবণ করিয়া বিস্মিত ও পুলকিত হইয়। বলিলেন, ভাগবতের গভীর তত্ত্ব আপনি ব্যতীত আর কে জানে ? চৈতন্য বলিলেন, কেন আমার স্তুতি করিতেছ ? ভাগবত শাস্ত্র আলোচনা করিলেই জানিতে পাfরবে, প্রশ্নোত্তরচ্ছলে প্রতি শ্লোক প্রতি অক্ষরে নানা অর্থ প্রকাশ করিতেছে । সনাতন ! আমি একজন বাতুল, শ্লোকের ব্যাখ্যাতে যে সকল এলাপোক্তি করিলাম । কে তাহা মান্য করিবে ? অামার ন্যায় বাতুলেরাই ভাগবতের এবম্বিধ অর্থ বুঝিয়। থাকে । “তবে সনাতন প্রভুর চরণে ধরিয়া। পুনরপি কহে কিছু বিনয় করিয়া ॥ ১৩ কল্প, ১ ভাগ পূৰ্ব্বে শুনিয়াছি তুমি সাৰ্ব্বভৌম স্থানে। ७झे cवंitरकब्र श्रांठांब्र अर्थ रुब्रिब्रांछ् बाांधTांन ॥ আশ্চর্য্য শুনিয়া মোর উৎকণ্ঠিত মন । কৃপাকরি কহ যদি জুড়ায় শ্রবণ ॥ প্রভু কহে আমি বাতুল আমার বচনে । সাৰ্ব্বভৌম বাতুলতা সত্য করি মানে ॥ কিবা প্রলাপিলাম কিছু নাহিক স্মরণে। তোমার সঙ্গ বলে যদি কিছু হয় মনে ॥ সহজে আমার কিছু অর্থ নাহি ভাসে। তোম। সব সঙ্গ বলে যে কিছু প্রকাশে ॥ একাদশ পদ এই শ্লোক সুনিৰ্ম্মল । পৃথক নানা অর্থ পদে করে ঝলমল । হেতু শব্দে কহে ভুক্তি আদি বাস্থান্তরে । ভূক্তি সিদ্ধি মুক্তি মুখ্য এ তিন প্রকারে ॥ এক ভুক্তি কহে ভোগ অনন্ত প্রকার। সিদ্ধি অষ্টাদশ মুক্তি পঞ্চ বিধাকার ॥ এই র্যাহ নাহি সেই ভক্তি অহৈতুকী ॥ যাহা হৈতে বশ হয় শ্ৰীকৃষ্ণ কৌতুক । ভক্তি শব্দের অর্থ হয় দশ বিধাকার । এক সাধন প্রেমভক্তি নবপ্রকার । রতি লক্ষণ প্রেম লক্ষণ ইত্যাদি প্রচার । ভা বরূপ মহাভাব লক্ষণ রূপ। অার ॥ শাস্ত ভক্তের রতি বাড়ে প্রেম পর্য্যন্ত । দাস্য ভক্তের রতি হয় রাগ দশ। অন্ত ॥ সখ। গণেব রত অনুরাগ পয্যন্ত । পিতৃ মাতৃ স্নেহ আদি অমুরাগ অস্তু ॥ কাস্তাগণের রতি পায় মক্কা ভাব সামা । ভক্তি শব্দের এই সব অর্থের মহিমা ॥ সৰ্ব্বাকর্যক সৰ্ব্বাহলদিক মহারসায়ন । আপনার বেগে করে সর্ব বিস্মরণ ॥ ভুক্তি সিদ্ধি মুক্তি মুখ ছাড়ায় যার গন্ধে । অলৌকিক শক্তির গুণে কৃষ্ণ কৃপায় বান্ধে ॥ শাস্ত্র যুক্তি নাহি ইহা সিদ্ধান্ত বিচার। এই স্বভাবগুণে যাতে মাধুর্য্যের সার। গুণ শব্দের অর্থ গুণ কৃষ্ণের অনন্ত । সৎচিৎ রূপগুণ সৰ্ব্ব পূর্ণানন্দ । ঐশ্বৰ্য্য মাধুৰ্য্য কারুণ্য স্বরূপ পূর্ণত। ভক্ত বাৎসল্য আত্মা পর্য্যন্ত বদান্যতা ॥ অলৌকিক রূপ রস সৌরভাদি গুণ । কারও মন কোন গুণে করে আকর্ষণ ॥